Saturday, April 30, 2016

The Girl Phantom by Bil Lignante

In 1962, something new happened for Phantom fans. Western Publishing presented Lee Falk's already popular newspaper strip adventures in an entirely different format. For this series, the art was created for the comic book, not the comic strip. Comic strips which had been originally drawn by the late Wilson McCoy were redrawn by Bill Lignante adding color and new perspectives. While McCoy made tight drawings using photographic reference, Lignante gradually added instances of dramatic angles and foreshortening and capitalized on the wider parameters of design offered by the shape of the comic book page.



A graduate of the Pratt Institute, Bill Lignante first became associated with The Phantom when he was asked to finish a strip which had been uncompleted at the time of Wilson McCoy's death in 1961. He then went on to draw the Sunday strip from August, 1961 to May 1962. He was hired to draw The Phantom for the comic books which were licensed by King Features Syndicate to Gold Key and King Comics.

He also did something controversial - showing the Phantom's eyes and putting bulges in his cowl where each ear would be. There was an unfounded rumor that Lee Falk had fired Lignante for showing the Phantom's eyes. In response to the rumor, he explained, "I am a realist and thought that if you were proposed to by a 400 year-old gorgeous queen, your eyes would pop out, and I showed them for that reason only. Other than that, it was easier not to draw eyes." Lignante said he never heard from Falk about his work and they only crossed paths at National Cartoonists Association functions.

Lignante's participation as an illustrator for "The Phantom" began in 1961 when Wilson McCoy died unexpectedly. Initially, Lignante used an occasional swipe from McCoy like the hero sitting on a skull throne with Devil at his side. After the obligatory transition period where the change of style was more gradual, keeping a sense of continuity, Lignante's easily identifiable style emerged. His ability to envision a scene from different vantage points served him well in his layouts for comics and was a useful ability for his career as an illustrator.

Lignante left comics to become a court room artist for ABC covering some high profile cases like the 'Charles Manson' case and the 'Sirhan B. Sirhan' trial. His ability to envision a scene from different angles and his quickly rendered pastel drawings showed a good likeness of courtroom events ina time when cameras were banned.

~ ~ ~ ~ ~ ~ ~ ~ ~ 

Synopsis:
In a story frame, The Phantom tells Diana of how one of his ancestors became ill. Fearing that the Phantom's absence would threaten jungle peace, his twin sister Julie took his place very successfully, but at last crooks discovered that she was "only" a girl. They tracked her to the Deep Woods and made away with some of the Phantom treasure. She recovers the treasure, but the crooks lose their lives in a waterfall through rejecting her instructions. Her brother never realizes her ruse.

Script: Dick Wood
Pencils: Bill Lignante
Inks: Bill Lignante 
Letters: Ray Holloway 

 
The Girl Phantom
 (Size: 12 MB)

Monday, April 25, 2016

নীহারিকা - ৫টি গল্প

বেশ কিছুদিন পরে ব্লগে ফেরা - কাজের চাপ ছাড়াও বেশ কিছু অন্য চাপের মধ্যে ছিলাম। চাপ থেকে মুক্তি পেতে ঠিক করলাম কিছুটা সময় নষ্ট করে ব্লগে একটা নতুন পোস্ট করেই ফেলা যাক !!   

ফেসবুক, ট্যুইটার আর হোয়াটস-অ্যাপের চক্করে আজকাল বড়ো থেকে মাঝারি কি ছোটো, কারুরই তেমন দম ফেলার ফুরসত নেই। সময় পেলেই সবাই নাকের ডগায় স্মার্টফোন এনে দু'হাতের আঙুলগুলো দিয়ে অনবরত: পুটুর-পুটুর করে কি যেন সব লিখে চলে। "চাঁদ দেখতে গিয়ে আমি তোমায় দেখে ফেলেছি"-র যুগ আজকাল চলে গেছে। এখন সব কিছু তো ফেসবুক আর হোয়াটস-অ্যাপেই আগে চলে আসে !

দেব সাহিত্য কুটীর (১৩৭২)

কিন্তু রাত-গভীরে নি:শব্দ আকাশে দৃষ্টির লাগাম ছেড়ে দিয়ে, চাঁদ তারা ছাপিয়ে, দূর থেকে আরো দূরে, সীমাহীন মহাশুন্যের অন্তহীনতা অনুভব করার মজাই আলাদা। মানুষ যে কতো ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র, নগণ্য, তা উপলব্ধি করার জন্যে পয়সা খরচ করে সমুদ্র বা পাহাড়ের কাছে যাবার দরকার নেই - নির্জন রাতের তারাভর্তি আকাশই যথেষ্ঠ।    
~ ~ ~ * ~ ~ ~

ক্লাস সেভেন কি এইটে পড়ি তখন - গ্রীষ্মের প্রচন্ড খরতাপে এক সপ্তাহ আগে থেকেই আমাদের স্কুলে ছুটি পড়ে গেছে। এর সাথে পাল্লা দিয়ে চলেছে লোডশেডিং। রাতে খাওদায়ার পাট চুকে গেলে ভাই-বোনেরা  সবাই মিলে ঠিক করলাম বাড়ির ছাদে মশারি টাঙিয়ে ঘুমাবো। সেই মতো অনেক কেরামতি, কসরত করে মশারির চারটে খুঁট কোনোমতে টাঙানো হলো। একটা চাদর আর কয়েকটা বালিশ এনে, ট্যারা-বাঁকা সেই মশারির মধ্যে শুয়ে আমরা ফিসফিস করে গল্প করে চলতেই থাকলাম। তারপর একসময় সব শুনশান - কেবল আমি আর তারাভর্তি আকাশ। ঘুম এসে কখন যে আমায় ভাসিয়ে নিয়ে গেলো তা টেরও পেলাম না। হঠাই অনেক রাতে ধড়মড় করে উঠে বসলাম - আকাশে আর কোনও তারা নেই। নিকষ কালো অন্ধকারে ছেয়ে গেছে গোটা আকাশটা - তার সাথে শুরু হয়েছে দমকা ঝড়ো বাতাস। মশারির দড়ি প্রায় ছিঁড়লো বলে - কালবৈশাখী আসছে সবকিছু তছন করে। আশেপাশে চেয়ে দেখি বাকী সবাই কে কখন ভেগে গেছে - পড়ে আছি শুধু আমি একাই !!  কোনোমতে চাদর আর মাথার বালিশটা বগলে চেপে আমিও দিলাম সিঁড়ির দিকে টানা এক দৌড় - মশারি রইলো পড়ে সেই ছাদেই।

সেই সব দিন চলে গেছে চিরকালের জন্যে - ফেসবুক, ট্যুইটার কি হোয়াটস-অ্যাপের হাজার কেরামতিতেও সেই সব অনুভুতি আর কখনও ফিরে আসবেনা। মাঝে মাঝে পুরানো দিনের বিস্মৃত-প্রায় কিছু গল্প পড়ি, আর নিজের মনে নিজেই চমকে উঠি সেই সব হারানো স্মৃতির আচমকা জাগরণে।


এই পোস্টে আমি এমনই কয়েকটি পুরানো দিনের গল্প তুলে ধরলাম দেব সাহিত্য কুটীরের "নীহারিকা" পূজাবার্ষিকী থেকে। আশা করি আমার মতো অনেকেরই হয়তো পড়তে ভালো লাগবে। 


নীহারিকা (৫টি গল্প)
(SIZE: 12.9 MB)




   

Monday, April 4, 2016

বিশ্বাসে মিলায়, তর্কে বহুদূর

ঈশ্বর আছেন কি না তা সত্যিই এক বড় রহস্যময় প্রশ্ন। জীবনে বহুবার এমন কিছু অসহায় পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছি যে মনে হয়েছে যে ঈশ্বরের সরাসরি হস্তক্ষেপ ছাড়া সেখান থেকে পরিত্রাণ পাওয়া আমার পক্ষে সম্ভবপর ছিলো না। আবার অন্যদিকে বহু জটিল পরিস্থিতিতে ঈশ্বরকে একমনে ডেকেও কোনো লাভ হয়নি। হয়তো বা আমার সেই ডাকের মধ্যে তেমন আকুলতা ছিলোনা, বা নিষ্ঠার অভাব ঘটেছিলো। 

ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি আমাদের বাড়িতে নিয়ম করেই দু'বেলা পূজা-আর্চা হতো। নিম্ন-মধ্যবিত্তের সংসারে পুজারী ব্রাহ্মণ ডেকে, মন্ত্র-উচ্চারণ সহ পুজা করার সামর্থ্য আমাদের ছিলো না। অগত্যা ফুল-দূর্বা-ভোগ সহযোগে, কাঁসর-শঙ্খধ্বনি ও ঠাকুর প্রণামের মধ্যে দিয়ে, কিছুটা অনাড়ম্বর ভাবেই মূলত: আমাদের বাড়ির পুজাগুলি সম্পন্ন হতো। সেই কারণেই কি না জানিনা, ছোটবেলায় তেমন কোনো বড়োস দুর্ঘটনা, বা অমঙ্গলের কালো ছায়া আমাদের পরিবারে দেখা দেয়নি। মা-পিসিমা বহুবারই বাড়ির ছাদের ঠাকুরঘরে 'অন্য কোনো এক কিছুর' উপস্থিতি লক্ষ্য করেছিলেন। আমার কপালে তেমন কিছু দেখার সৌভাগ্য না-ঘটলেও গভীর রাতে নূপুরের মিষ্টি-ধ্বনি সহযোগে অদ্ভুত সুন্দর, অপার্থিব কোনো এক কিছুর সুঘ্রাণ বহুবারই আমি ঘুমের মধ্যে উপলব্ধি করেছিলাম।   


'বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর...'

জীবনের মাঝপথে এসে বুঝেছি ঈশ্বরের অস্ত্বিত্ব যুক্তি দিয়ে বোঝা সম্ভব নয় - এটা এক শুধুই অনুভুতি মাত্র। যার মধ্যে ধর্ম নেই, মন্ত্র নেই, বাহ্যিক আড়ম্বর নেই  - আছে শুধু ঐ অনুভুতি। জাগতিক বাস্তব সমস্ত কিছুর বাইরে, অন্য কোনো এক কিছুর অস্তিত্ব। পোশাক, চামড়ার রং, উঁচু জাত-এর গাম্ভীর্য্য থেকে শুরু করে আমরা অনেক কিছু পরে আছি - আস্তরণের পর আস্তরণ দিয়ে আমরা ঢেকে আছি। এক এক রকমের অহংকারের পলেস্তরা ধীরে ধীরে আমাদের মধ্যে থাকা আসল 'আমি'কেই গ্রাস করে  ফেলেছে। সেই আস্তরণ, অহংবোধ থেকে মুক্ত না-হতে পারলে এ জীবনে ঈশ্বরের দর্শন সম্ভবপর নয়। 

ভক্তের মনোবাসনা পূর্ণ করার মানসে যুগে যুগে মানুষের পৃথিবীতে আবির্ভাব ঘটে ভগবানের। ভক্ত মানুষের আকুল প্রার্থণায় সাড়া দিয়ে ভগবান তার সুখ-দুঃখের অংশীদার হয়ে লীলার প্রকাশ করেন। অসহায় বিপন্ন মানুষ ভগবানের সংস্পর্শে এসে জীবনকে পরিপূর্ণতার পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহস পায়।

এই পোস্টে আমি এমনই দুটি গল্প তুলে ধরলাম যেখানে ভক্তের চরম বিপদে স্বয়ং ঈশ্বর সাহায্যের জন্যে এগিয়ে এসেছিলেন। বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দায় রইলো পাঠকদের হাতে।


বিশ্বাসে মিলায়,
তর্কে বহুদূর
(SIZE: 7 MB)

ACK - Gopal and 
the Cowherd
(SIZE: 14.1 MB)



   

Saturday, April 2, 2016

'ফেরিওয়ালা' (The Peddler) - লাকি লুক( Book# 50)

ইন্দ্রজাল, টিনটিন, আর অ্যাস্টেরিকসের পর আর কোন ভালো কমিকস পড়া যায়, তা ভাবতে ভাবতে একসময় "লাকি লুক" পড়া শুরু করেছিলাম। এই সিরিজের সবকটা গল্পই যে দারুণ ভালো, তা কিন্তু নয় ঠিকই - তবুও এর স্ট্যান্ডার্ড অন্যান্য পপুলার হাসির কমিকসের থেকে অনেক বেশি উঁচু-তারে বাঁধা - অন্তত: আমাদের দেশের কমিকসদের থেকে তো বটেই ! আরও আশার কথা হলো যে এই সিরিজটি এখনও নিয়মিত ভাবে প্রকাশিত হয়ে চলেছে। 

বেলজিয়ান কমিকস আর্টিস্ট মরিসের (Maurise De Bevere, 1923-2001) আঁকা ছবিগুলির মধ্যে কথাবার্তা ছাড়াই গল্প বলার প্রবণতা লক্ষ্য করা যেতো, যার ফলে পাঠকের কাছে তাঁর আঁকা ছবিগুলো ঠিক যেন Movie-র ফ্রেম বলে মনে হতো --- চোখ দিয়ে দেখার মধ্যেই পাঠক বুঝে যেতো কি ঘটে চলেছে। 'Basic Four Color Tradition'-এর সীমাবদ্ধতার মধ্যে থেকেও যে কি অসাধারণ, রঙীন কমিকস আঁকা যায়, তা লাকি লুকের এই গল্পগুলি পড়লে বোঝা যায়।   

এই পোস্টে আশির দশকের লাকি লুকের তেমনই সাধারণ এক ছোট্ট গল্প বাংলায় অনুবাদ করার দু:সাহস দেখালাম - ভালো কি মন্দ তা পাঠকেরাই বিবেচনা করে বলতে পারবেন। 

ফেরিওয়ালা (The Peddler) - Book# 50

PLOT:
"The Peddlerগল্পের নামকরণ করা হলো 'ফেরিওয়ালা' - এই গল্পে মরিস পাঠকদের সামনে তুলে ধরেছেন এক দারুণ সুন্দর চরিত্রকে। 'Mr. W FlatShoe', ওরফে 'ঝুনঝুনওয়ালা', যিনি পণ্য ও বস্ত্র বিক্রি করে বেড়ান। ডাকাতরা যখন তাঁকে ঘিরে ফেলে লুঠপাঠ শুরু করেছে, ঠিক তখনই লাকি লুক সেখানে হাজির হয়ে তাঁকে বাঁচান। অত:পর কৃতজ্ঞতাবশত: তিনি লাকি লুককে ডিনারে আমন্ত্রণ জানান তার মজুদে থাকা নানান জিনিষপত্র সাজিয়ে। পরবর্তীকালে দেখা যায়, যে কোনও দুর্যোগের মোকাবিলা করার মতো সরঞ্জাম নিয়ে তিনি সর্বদাই প্রস্তুত। তিনি একাই এক দারুণ মজার চরিত্র। 

গোসিনি-মরিসের যুগলবন্দীতে যে কি নির্মল, সুন্দর গল্প সৃষ্টি হতে পারে তা পড়ে সত্যিই অবাক হয়ে যেতে হয়।    

Stats:
Script & Drawings: René Goscinny & Morris
Series: Lucky Luke - Book# 50 (Seven stories, 44 pages)
Original Release: 1986
Baundule (7 MB)
ফেরিওয়ালা- লাকি লুক 
   (Size: 9.5 MB)