Lucky Luke-এর সৃষ্টিকর্তা ছিলেন Maurice De Bevere, সংক্ষেপে Morris --- "লাকি লুক" হলো পশ্চিমের এক অকুতোভয়, হৃদয়বান, অসম্ভব মজাদার এক চরিত্র - the motto of the series puts it, 'Lucky Luke—The Man Who Shoots Faster Than His Shadow' --- প্রথম প্রকাশের পর খুব দ্রুতই Lucky Luke ইউরোপের বেস্ট-সেলিং কমিকস-এ পরিণত হয়। শুরুতে লাকি লুককে স্মোক করতে দেখা গেলেও 1983 সাল থেকে তার মুখে সিগারেটের বদলে খড়ের টুকরো রাখতে দেখা যায়। এই জন্যে এপ্রিল 1988-এ জেনিভায় World Health Organization থেকে Morris কে অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছিলো।
মরিস এবং গোসিনির যৌথ প্রচেষ্টায় অসাধারণ কিছু অ্যাডভেঞ্চার কাহিনী আমরা পেয়েছি --- কালের অমোঘ নিয়মে একসময় তাঁরা দু'জনেই সেই অন্য ভুবনের দিকে পা বাড়ান। তাঁদেরই প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে Jul and Achdé এই অ্যাডভেঞ্চার কাহিনীটি তৈরী করেছেন। It’s very much in the artistic style of Morris and the narrative style of the Goscinny and Morris - কতো'টা সফল তাঁরা হতে পেরেছেন তা পাঠকরাই নির্ধারণ করবেন। তবে এই কাহিনীটি খুব প্রয়োজনীয় এক বিষয়ের দিকে আমাদের নজর ঘুরিয়ে দিয়েছে, এবং সেটি হলো, racism and discrimination faced by the freed Black slaves in the South.
কাহিনীসুত্র: লাকি লুক এক নির্ঝঞ্ঝাট ছুটির আশায় সব ছেড়েছুড়ে এলেও, ভাগ্যের ফেরে সেই ডালটন ভাইদের সাথেই আবারও একবার তার দেখা হয়ে যায়। তার উপরে এক অপ্রত্যাশিত ২৫০ একরের বিশাল তুলো বাগানের মালিকানা লাকি লুকের উপরে এসে বর্তায়, যা তার জীবন ওলটপালট করে দেবার পক্ষে ছিলো যথেষ্টই !!
অ্যামেরিকার গৃহযুদ্ধ:
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ১৮৬১ সালে দক্ষিণের ১১টি রাজ্য বনাম উত্তরের অন্যান্য রাজ্যের মধ্যে যে যুদ্ধ ঘটেছিলো ইতিহাসে তা ‘অ্যামেরিকার গৃহযুদ্ধ’ নামে বিখ্যাত হয়ে আছে। দাস প্রথার অবসান, এবং দক্ষিণের রাজ্যগুলো দাসপ্রথা অবসানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য সব রাজ্যের সিদ্ধান্ত না মেনে স্বাধীনভাবে নিজস্ব কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে কিনা সে প্রশ্নেই শুরু হয়েছিলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ বনাম উত্তরের রাজ্যগুলোর মধ্যে ঘরোয়া এক বিবাদ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ১৮৬১ সালে দক্ষিণের ১১টি রাজ্য বনাম উত্তরের অন্যান্য রাজ্যের মধ্যে যে যুদ্ধ ঘটেছিলো ইতিহাসে তা ‘অ্যামেরিকার গৃহযুদ্ধ’ নামে বিখ্যাত হয়ে আছে। দাস প্রথার অবসান, এবং দক্ষিণের রাজ্যগুলো দাসপ্রথা অবসানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য সব রাজ্যের সিদ্ধান্ত না মেনে স্বাধীনভাবে নিজস্ব কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে কিনা সে প্রশ্নেই শুরু হয়েছিলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ বনাম উত্তরের রাজ্যগুলোর মধ্যে ঘরোয়া এক বিবাদ।
উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে উত্তরের রাজ্যগুলো কৃষিভিত্তিক অর্থনৈতিক ভাবনা থেকে নিজেদেরকে সরিয়ে এনে শিল্পবান্ধব অর্থনীতির দিকে ঝুঁকে পড়ে। ফলে ব্যাপক হারে নির্মিত হতে থাকে নানা শিল্প-কলকারখানা। দ্রুত নগরায়ণের প্রসার ঘটে। অন্যদিকে দক্ষিণের দেশ সমূহ ছিল পুরোটাই কৃষি নির্ভর - মূলত: কায়িক শ্রমভিত্তিক শিল্প গড়ে উঠেছিলো 'ব্ল্যাক অ্যামেরিকানদের' ব্যবহার করেই। ফলে দুই রাজ্যের মধ্যকার অর্থনৈতিক বৈষম্য ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছিল। দক্ষিণের রাজ্যগুলোতে বিপুল পরিমাণ ফসল, বিশেষ করে তুলা এবং তামাক, উৎপাদিত হতো। এ'সব কৃষিকাজে ব্যবহার করা হতো দাসদের। ১৮০৮ সালে দাসবৃত্তির বিরুদ্ধে অ্যামেরিকায় আইন পাশ হয় এবং ১৮৩০ সাল থকে উত্তরের রাজ্য সমূহ তা বাস্তবায়ন করতেও শুরু করে এবং দক্ষিণের রাজ্য সমূহেও তা বাস্তবায়নে তৎপর হয়ে ওঠে। সুতরাং স্বভাবতই দক্ষিণের প্রভাবশালী দাস মালিকরা দাসবৃত্তি উঠে যাবার ভয়ে থাকেন। কেননা দাসকে কেন্দ্র করেই দক্ষিণের অর্থনীতি পরিচালিত হচ্ছিল। দাসবৃত্তি উঠে যাবার মানেই ছিল দক্ষিণের অর্থনীতি ধসে যাওয়া। সুতরাং যখন আব্রাহাম লিংকন দাস প্রথা বিলোপের ঘোষণা দেন, তখন দক্ষিণ অঞ্চলের রাজ্যগুলোর শ্বেতাঙ্গ মানুষদের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। তাদের মনে হয়, এটি তাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকারের এক হীন ষড়যন্ত্র। ১৮৬০ সালে আব্রাহাম লিংকন রিপাবলিকান দলের হয়ে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন। ইতিমধ্যেই দক্ষিণের সাতটি রাজ্য একসাথে মিলে "কনফেডারেট স্টেটস অফ আমেরিকা" নামে নতুন একটা দেশ গড়ে তোলে। পরপরই তাদের সাথে আরও চারটি রাজ্যও যুক্ত হয়। প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কন এই দেশ-ভাঙ্গনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান এবং দক্ষিণের রাজ্যগুলোকে পুনরায় ইউনিয়ন-এ যোগ দেবার জন্যে সৈন্যদল পাঠান। ১৮৬১ সাল নাগাদ উত্তরের দেশসমূহের সাথে পুরোদমে যুদ্ধ শুরু হয়ে যায় এবং ১৮৬৫ সাল নাগাদ কনফেডারেশনের আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে ১৮৬৫ সালে গৃহযুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে। কম করে হলেও ছয় লক্ষ সৈন্য নিহত হয় এবং আরো হাজার হাজার পঙ্গুত্ব বরণ করে। যুদ্ধ শেষে মোটামুটি দক্ষিণের দেশ সমূহ একপ্রকার ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।
লাকি লুকের এই কাহিনীতে ধরা পড়েছে সেই মরণক্ষয়ী যুদ্ধ পরবর্তী কিছু বিমর্ষ চিত্র...
লাকি লুক - আডভেঞ্চার নং ৭৭ |
স্বগতোক্তি: এক সময় কমিকস নিয়ে বেশ কিছু অনুবাদ শুরু করেছিলাম -- 'Calvin and Hobbes', Lucky Luke, 'Asterix', 'Blake & Mortimer', 'Bringing Up Father', 'Henry', etc. --- হঠাৎই 2017 সালের পুজোর সময় দুর্ভাগ্যক্রমে দেখি আমারই অনুবাদ করা লাকি লুকের "বাউন্ডুলে" গল্পটা সুব্রত চক্রবর্তী নামে এক অকালপক্ক কেউ প্রায় টপ-টু-বটম ঝেঁপে "বহুমুখী" নামে এক ওয়েব ম্যাগাজিনে, সম্পূর্ণ নিজের নামে চালিয়ে দিয়েছে !!! কৃতজ্ঞতা স্বীকারের কোনও বাহুল্যই নেই !!!! এরপর বছর কয়েক আর বাংলায় বিদেশী কমিকস অনুবাদের ইচ্ছা জাগেনি। লকডাউন উঠে যাবার পর আবার নতুন করে লাকি লুকের সম্প্রতি প্রকাশিত এই কমিকস বইটি অনুবাদের কাজ শুরু করেছি -- দেখা যাক পাঠকদের প্রতিক্রিয়া কেমন হয়।
এই কাহিনীটিতে আমি মূল চরিত্রগুলির নাম অক্ষুণ্ণ রেখে বাকীদের নাম সামান্যই অদলবদল করার চেষ্টা করেছি। আপাতত: গল্পটির প্রথম দশ পাতা এখানে PDF ফরম্যাটে দেওয়া হলো -- উপযুক্ত উৎসাহব্যঞ্জক কমেন্ট পেলে বাকী পাতাগুলিও খুব দ্রুতই হয়তো এখানে ধরা দেবে !!!
Stats:
Script & Drawings: Achd'e & Jul
Script & Drawings: Achd'e & Jul
Series: Lucky Luke - Book# 77
Original Release: 2020
Original Release: 2020
নির্ঝঞ্ঝাট জীবন (10 Pages)
(Size: 5.4 MB)
দারুন হয়েছে পুরোটা শেষ করুন। তবে আমার মনে হয় আমেরিকান কাউবয়ের সাথে হোটেল মনোরম, বা দাস কেবিন অথবা লুধিয়ানা ঠিক ভালো লাগছে না কারন ঘটনাটা মোটেও আমাদের দেশের নয়। একটু ভেবে দেখবেন। অনেক শুভেচ্ছা রইল পরবর্তি পৃষ্ঠা গুলোর অপেক্ষায় রইলাম।
ReplyDeleteঠিকই বলেছেন - এই গল্পটিতে Civil War নিয়ে অনেকটা প্লট আছে !! তাই ভারতীয় নাম বদলাতেই হবে !!! আগে ঠিক realize করিনি -- Thanks for the feedback.
Deletedarun darun darun!!! khub sundor!!! cholte thakuk. porer part er opekkhai thaklam- Arup.
ReplyDelete