বয়:সন্ধিকালের কিশোর মন সর্বক্ষণ বিচরণ করে বেড়াতো নানান স্বপ্নরাজ্যে। যে গল্পের বইই পড়তাম, বা যে ছায়াছবিই দেখতাম - তাদেরই চরিত্রদের সাথে নিজের চরিত্রের মিল খুঁজে বেড়াতাম। কল্পনাবিলাসী মনের কাজই ছিলো সেটা করার। কিন্তু হাতে-গোনা যে কয়টি মাত্র চরিত্রকে সত্যিকারের হিংসা করতে ইচ্ছা হতো, তাদের মধ্যে অন্যতম ছিল অমর কথাশিল্পী, শ্রী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের 'শ্রীকান্ত' উপন্যাসের 'ইন্দ্রনাথ' চরিত্রটিকে। এই চরিত্রটি ছিলো অ্যাতোটাই মহান আর এতোই বিশাল, যে তার পাশে নিজেকে দাঁড় করালে, মনে খুবই হীনমন্যতা জাগতো।
শরৎচন্দ্রের 'শ্রীকান্ত' ও 'ইন্দ্রনাথ' চরিত্রদুটির সাথে আমার পরিচয় ঘটেছিলো তখনকার দিনের হাইস্কুলের, বাংলা পাঠ্য বইয়ের 'মেজদা' গল্পের হাত ধরে। বাড়ির আলমারীতে থরে থরে শরৎচন্দ্রের নানান গল্প-উপন্যাসের বই সাজানো ছিলো, কিন্তু বাবার কড়া শাসনের জন্যে সেইসব বইতে হাত দেওয়া যেতোনা - কারণ শরৎচন্দ্রের গল্প নাকি কেবলমাত্র 'বড়োদের' জন্যে - ছোটোরা পড়লে নাকি মাথা বিগড়িয়ে যেতে পারে। তো, উচ্চ-মাধ্যমিকে ওঠার পর একদিন বাংলা ক্লাসে, স্কুলের বাংলা স্যার, দেববাবু টেবিলের উপর দুই পা-তুলে, বাবু হয়ে বসে পড়ে শোনাচ্ছিলেন পাঠ্য বইয়ে থাকা শরৎচন্দ্রের সেই "মেজদা" গল্পটি। কি ছিলো কে-জানে সেই গল্পের মধ্যে, না কি সেদিনের স্যারের গলার নাটকীয়তার মধ্যে, কিছুক্ষনের মধ্যেই অনুভব করলাম যে আমি আর ক্লাসের মধ্যে বসে নেই - আমি আছি শ্রীকান্ত আর ইন্দ্রনাথের খুব কাছাকাছি কোনো একখানে - আর সেখান থেকেই যেন স্যারের গল্প পড়ার সাথে সাথে গল্পের সেইসব ঘটনাগুলোকে পুরোপুরি নিজের চোখের সামনে চিত্রায়িত হতে দেখছি। আশেপাশে বসে থাকা বন্ধুরা তো বটেই, মায় বান্ধবীরা পর্যন্ত বেমালুম সব হাওয়া হয়ে গেছে !!! সেই ছিলো শুরু - তারপর একে একে বাড়িতে থাকা শরৎচন্দ্রের সবকটা গল্প উপন্যাস পড়ে শেষ করে ফেলেছিলাম। সাহিত্যের সত্য আর জীবনের সত্যকে এমনভাবে মিলিয়ে মিশিয়ে ফেলতে বোধহয় শরৎচন্দ্রের মতো করে আর কোনও লেখকই পারেন নি।
শরৎচন্দ্রের 'শ্রীকান্ত' ও 'ইন্দ্রনাথ' চরিত্রদুটির সাথে আমার পরিচয় ঘটেছিলো তখনকার দিনের হাইস্কুলের, বাংলা পাঠ্য বইয়ের 'মেজদা' গল্পের হাত ধরে। বাড়ির আলমারীতে থরে থরে শরৎচন্দ্রের নানান গল্প-উপন্যাসের বই সাজানো ছিলো, কিন্তু বাবার কড়া শাসনের জন্যে সেইসব বইতে হাত দেওয়া যেতোনা - কারণ শরৎচন্দ্রের গল্প নাকি কেবলমাত্র 'বড়োদের' জন্যে - ছোটোরা পড়লে নাকি মাথা বিগড়িয়ে যেতে পারে। তো, উচ্চ-মাধ্যমিকে ওঠার পর একদিন বাংলা ক্লাসে, স্কুলের বাংলা স্যার, দেববাবু টেবিলের উপর দুই পা-তুলে, বাবু হয়ে বসে পড়ে শোনাচ্ছিলেন পাঠ্য বইয়ে থাকা শরৎচন্দ্রের সেই "মেজদা" গল্পটি। কি ছিলো কে-জানে সেই গল্পের মধ্যে, না কি সেদিনের স্যারের গলার নাটকীয়তার মধ্যে, কিছুক্ষনের মধ্যেই অনুভব করলাম যে আমি আর ক্লাসের মধ্যে বসে নেই - আমি আছি শ্রীকান্ত আর ইন্দ্রনাথের খুব কাছাকাছি কোনো একখানে - আর সেখান থেকেই যেন স্যারের গল্প পড়ার সাথে সাথে গল্পের সেইসব ঘটনাগুলোকে পুরোপুরি নিজের চোখের সামনে চিত্রায়িত হতে দেখছি। আশেপাশে বসে থাকা বন্ধুরা তো বটেই, মায় বান্ধবীরা পর্যন্ত বেমালুম সব হাওয়া হয়ে গেছে !!! সেই ছিলো শুরু - তারপর একে একে বাড়িতে থাকা শরৎচন্দ্রের সবকটা গল্প উপন্যাস পড়ে শেষ করে ফেলেছিলাম। সাহিত্যের সত্য আর জীবনের সত্যকে এমনভাবে মিলিয়ে মিশিয়ে ফেলতে বোধহয় শরৎচন্দ্রের মতো করে আর কোনও লেখকই পারেন নি।
এই পোস্টে শরৎচন্দ্রের সেই ফেলে-আসা দিনের অসাধারণ, 'শ্রীকান্ত' উপন্যাসের প্রথম পর্ব থেকে 'মেজদার' ঘটনাটি এবং তার সাথে চলে আসা ইন্দ্রনাথের কিছু দু:সাহসিক কান্ড-কারখানার ঘটনা তুলে ধরা হলো - যা পড়লে মন নস্টালজিক হতে বাধ্য।
শ্রীকান্ত ও মেজদা |
akdom thik bolechen kuntalda ................. khub mone pore jai sei sob din gulo lukie shrikanto porar ghatona ....... kichuta bujhe kichuta na bujhe ............ r bondhuder bola janis ami shrikanta pore felechi .............. :):):):)
ReplyDelete