Friday, March 25, 2016

পটলডাঙ্গার টেনিদা - নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়

"ডি-লা-গ্রান্ডি মেফিস্টোফিলিস - ইয়াক্, ইয়াক্ !!" ছোটবেলায় যে কতোবার পড়েছি, আর কতোবার আউড়েছি তা বলাবাহুল্য। কিশোর সাহিত্যের জগতে "টেনিদা" একটি অবিস্মরণীয় নাম। তোপসের "ফেলুদা" ছিলেন যেরকম সাহসী, বুদ্ধিদীপ্ত - পটলডাঙ্গার টেনিদা হলেন ঠিক সেরকমই গুলবাজ, পেটুক, আর ভীতু এক চরিত্র।

নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের সৃষ্ট এক অসাধারণ চরিত্র হলো "পটলডাঙ্গার টেনিদা"। বাংলা ভাষায় হাস্যরস নিয়ে বহু গল্পের বইই রচিত হয়েছে - ভবিষ্যতেও হবে। কিন্তু "টেনিদা" নামটা চিরটাকালই অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। টেনিদার গল্পগুলোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে যে এখানে কোনো কষ্ট নেই, পুরোটাই নিখাদ হাস্যরসে আর নির্মল আনন্দে ভরপুর। কিশোরদের জন্যে লেখা নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রায় সব গল্পতেই হাস্যরসের মাত্রা লক্ষ্যনীয়, কিন্তু তার মধ্যেও টেনিদাকে নিয়ে লেখা উপন্যাস বা গল্পগুলোতে হাস্য-কৌতুকের মাত্রাটা আসলেই কূল-ছাপানো। 

পটলডাঙ্গার  টেনিদা এক আজব চরিত্র - সেটি এমনই অনন্য যে তাকে আর কারো সাথেই তুলনা করা যায় না। বারংবার পরীক্ষায় ফেল করার পরেও তার সেটা নিয়ে কোন আফসোস নেই। বরং সে গর্ব করে বলে, "পাশ তো সবাই করে যায় কিন্তু ফেল কয়জন করতে পারে ?" আবার ভোজন রসিক, ওরফে 'পেটুক' টেনিদার মতো খাইয়ে চরিত্র বাংলা সাহিত্যে খুব কমই দেখা যায়। একদমে গোটা আটটা সিঙ্গারা খাওয়া, কিম্বা খান তিরিশেক পিঠে-পুলি হজম করে ফেলা টেনিদার কাছে কোনও ব্যাপারই নয়। আর যখন বিপদ সামনে থেকে চলে যায় তখনই টেনিদার আসল সাহসের পরিচয় পাওয়া যায়। কিন্তু বিপদের সময় তার সব সাহস উধাও। লেখনীর মধ্যে হিউমারের অ্যাতো সার্থক এবং স্বতস্ফুর্ত ব্যবহার খুব কম লেখকের লেখাতেই দেখা যায়।

প্রথম প্রকাশ: ফাল্গুন ১৩৭৭ (বেঙ্গল পাবলিশার্স)

নগর জীবনে হাজার ব্যস্ততার ভিড়ে আজ আমরা প্রায় হাসতেই ভুলে গেছি। সারাদিন শুধু কাজ, টেনশান, আর হরেক রকমের ব্যস্ততা। তা সেই মেকি ব্যস্ততার ভিড়ে কিছুটা সময়ের জন্যে হলেও নির্মল আনন্দের বড়োই প্রয়োজন - আর সেটা সু-সাহিত্য ছাড়া কেইই বা আমাদের যোগান দিতে পারে ?

মাত্র ২০ টাকা দিয়ে সেকেন্ডহ্যান্ড এই বইটি আমি কিনেছিলাম আমাদের পাড়ার বইমেলা থেকে। এর মধ্যে প্রকাশিত গল্পগুলি ইতিমধ্যেই বিভিন্ন বইতে বা সংকলনে অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছে। কিন্তু মনে হয়না যে আদি সংস্করণ থেকে সেগুলি পড়ার সুযোগ খুব বেশি কেউ পেয়েছেন। এই পোস্টে সেই দূর্লভ বইটি থেকে দারুন মজাদার পাঁচ-পাঁচটি গল্প আপলোড করা হলো। T20-র উইকেন্ডে আসুন আবার সবাই একটু প্রাণ খুলে হাসি, আর "মওকা, মওকা" গেয়ে ইন্ডিয়াকে সেমিফাইনালে তুলে দিই !!!


পটলডাঙ্গার টেনিদা
(SIZE: 16.5 MB)




Friday, March 18, 2016

A Tribute to Harry Lucey, a forgotten artist

Like so many of the other men who entertained generations of children, Harry Lucey remains as anonymous in death as he was in life.

Born in 1913, Lucey graduated from Pratt University in 1935 as an illustrator, and his career in comics began in the late 1930s. He bounced around various companies in the 1940s, drawing such characters and features as Madam SatanMagnoCrime Does Not Pay, and even, for a handful of issues, Captain AmericaHe worked with Bob Montana in a studio on Union Square (New York) in the early 1940s prior to their induction into the army. Lucey and Montana graphically created the characters in the 'Archie' comic series. 

 Sam Hill, the 'Private Eye' series
During World War II, Lucey, along with Montana, worked as photo interpreters and map makers in Colorado Springs, Colorado. When he was discharged from the army in St. Louis, Missouri, he began doing magazine and other types of illustration for Ralston Purina and Burts, Bakers, and Chandler's Shoes. He eventually moved back to New York with his family, and was re-employed by Archie Comics Publications in 1949. Lucey was one of the regular 'Archie' comic book artists from the 1950s to the 1970s. 

In most years Lucey penciled and inked a page a day, often drawing the complete contents of the Archie comic book every month in the late 1950s and early 1960s.

Lucey’s work is distinguished by his close attention to the body language, or acting, of every character he drew. Each aspect of a Lucey figure is drawn to express what that character is feeling at that moment. Posture, position and facial expression are all geared toward maximizing that moment in the story, and Lucey was equally dedicated to refining the depiction of action with a minimum of lines.

The Private Eye Series
The character Sam Hill, an “Ex Ivy League halfback” private eye with a white streak in his hair, is rendered with loving precision and an acute attention to detail. Lucey was certainly influenced by film noir’s expressionist angles. The sixth page of The Cutie Killer Caper contains six panels, all drawn from a different angle — from below Sam Hill to over a cop’s shoulder, to above Hill and the cop, and finally to a level over-the-shoulder shot from behind Hill.

Lucey never returned to Sam Hill after his final issue, and toward the 1960s he developed an allergy to graphite, reportedly wearing white gloves while drawing. In the 1970s he was diagnosed with Lou Gehrig’s disease and, sometime later, cancer. He refused treatment for the latter and died in Arizona in August, 1984 (based on Ancestry.com search from all these complications.

Read here two vintage detective stories of Sam Hill adventures... Happy Weekend...

Sam Hill's Adventures
(Size: 14.6 MB)



Saturday, March 12, 2016

ওস্তাদের মার - রাজকুমার মৈত্র

"আমপাতা জোড়া জোড়া,
  মারবো চাবুক ছুটবে ঘোড়া   
ওরে বিবি সরে দাঁড়া    
আসছে আমার পাগলা ঘোড়া -
পাগলা ঘোড়া  ক্ষেপেছে ,  
বন্দুক ছুঁড়ে মেরেছে -
অল রাইট ভেরি গুড,       
সাহেব খায় চা-বিস্কুট" 
(প্রচলিত)  


"ছোটবেলা" মানেই অনেক কথা, অনেক স্মৃতি - বেশীরভাগই অনাবিল সুখের স্মৃতি, যার বেশ কিছু অংশ জুড়ে আছে হরেক রকমের গল্পের বই, আর অবশ্যই মোটা মোটা দেব সাহিত্য কুটিরের পূজাবার্ষিকী।

সারাটা বিকেল মাঠ চষে ধুলো মেখে খেলার পর সন্ধ্যে গড়িয়ে গেলে আমরা দঙ্গল বেঁধে হাজির হতাম "হরির লুঠের" বাতাসা লুঠতে। গোবরজল দিয়ে মোছা ঝকঝকে তকতকে, পরিষ্কার উঠোনের চণ্ডী-মণ্ডপটার সামনে বেতের ধামা-বোঝাই বাতাসা নিয়ে বন্ধুর ঠাকুমা থাকতেন দাঁড়িয়ে। আর তাঁর পিছনেই অধীর আগ্রহে থাকতো এক দঙ্গল উঠতি ছেলেদের দল, অর্থাৎ আমরা, যে-যেখানে পারি যেমন ভাবে - কেউ উবু হয়ে, কেউ দাঁড়িয়ে বা বসে, কেউ আবার বসা আর দাঁড়ানোর মাঝামাঝি এক হাস্যকর অবস্থায়.... হাততালি সহযোগে হরিগানের পালা শেষ হতেই আকাশ থেকে যেন ফুলঝুরির মতো করে ঝরে পড়তো ছোট-বড়ো-মাঝারি, নানান সাইজের রসালো বাতাসার ঝাঁক - মুহূর্তের মধ্যেই আমরা পাগলের মতো কুড়োতে লেগে যেতাম, চোখের পলক না-ফেলেই আমরা একে-ওকে ঠেলে-ঠুলে, যে যেক'টা পাই হাতে-পকেটে-মুখে ভরে ফেলতাম। ধুলোভর্তি হাতে খাদ্য-দূষণের প্রহেলিকা তখনও আমাদের মাথাতে আসেনি, আর তাছাড়া হরির লুঠের বাতাসায় আবার দূষণ কি !!

সেই একই রকম সমস্যার মুখোমুখি হতাম যখন কপাল গুণে পূজার সময় বাড়ীতে দেব সাহিত্য কুটিরের পূজাবার্ষিকী আসতো চলে। কে আগে পড়বে, কেন আগে পড়বে, কোন গল্প আগে পড়বে সেই নিয়ে ভাই-বোনেদের মধ্যে মোটামুটি একটা খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়ে যেতো !! বাবার হাঁকুনি সময়মতো না-আসলে হয়তো গোটা বইটাই খণ্ড খণ্ড হয়ে যেতো!! তা, সেই রাজাও আর নেই, রাজত্বও আর নেই - পড়ে আছি শুধু আমি, একরাশ স্মৃতি আর বেশ কিছু হারানো দিনের বিবর্ণ হয়ে যাওয়া বইদের নিয়ে। 

'বগলা মামা' সিরিজের শেষ গল্প পড়তে গিয়ে 'মণিহার' পূজাবার্ষিকী হাতে করে সেই সব দিনগুলোর কথাই খুব বেশী করে মনে পড়েছে। এই গল্পটি নিয়ে এই ব্লগে আমি সর্বসমেত ১৩টি বগলা মামার অ্যাডভেঞ্চার ব্লগ-পাঠকদের সামনে তুলে ধরলাম। আমার জানা মতে আর কোনও 'বগলা মামা'-র গল্প প্রকাশিত হয়নি - তবে দেব সাহিত্য কুটিরের সবক'টি পূজাবার্ষিকী এখনও আমার নেই - আর তাই দুরাশা আছে যে আমার সেই ধারণা ভুল প্রমাণিত করে কেউ একজন নিশ্চয় এখানে জানাবে যে আরও কিছু 'বগলা মামা' রয়ে গেছে আমাদের মাঝে।

'মণিহার' পূজাবার্ষিকী (১৩৭৭)
~ ~ ~ ~ ~ 

বগলা মামার গল্পের সাথে ফাউ হিসাবে রইলো আরও দুটি গল্প। প্রথমটি  হলো স্বপনবুড়ো-র লেখা "রুমমেট" - আর দ্বিতীয়টি হলো শৈল চক্রবর্তীর লেখা হাসির গল্প "বাবল বাবল"। দুটি গল্পই একসময় আমার পড়তে বেশ ভালো লাগতো - এখনও লাগে। আশা করি বাকীদেরও নিশ্চয় ভালো লাগবে...

'মণিহার' পূজাবার্ষিকী (১৩৭৭)

হার্ড বাইন্ডিংয়ের জন্যে স্ক্যান করতে গিয়ে বইটির দু-পাতার মাঝের অংশের লেখা কিছুটা ঝাপসা, আর এঁকেবেঁকে হয়ে গেছে - কিন্তু গল্পের কোয়ালিটির তুলনায় সেই সামান্য ত্রুটি আশা করি পাঠকদেরকে তেমন বিব্রত করে তুলবে না। বইটিকে সময়মতো বাঁধিয়ে ফেলায় এখনও অবধি পঠনযোগ্য অবস্থাতেই রয়ে গেছে, কিন্তু দুঃখের কথা, বইটির কভার পেজটিকে আর ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। 




ওস্তাদের মার ও অন্যান্য  
(Size: 14 MB)