"ডি-লা-গ্রান্ডি মেফিস্টোফিলিস - ইয়াক্, ইয়াক্ !!" ছোটবেলায় যে কতোবার পড়েছি, আর কতোবার আউড়েছি তা বলাবাহুল্য। কিশোর সাহিত্যের জগতে "টেনিদা" একটি অবিস্মরণীয় নাম। তোপসের "ফেলুদা" ছিলেন যেরকম সাহসী, বুদ্ধিদীপ্ত - পটলডাঙ্গার টেনিদা হলেন ঠিক সেরকমই গুলবাজ, পেটুক, আর ভীতু এক চরিত্র।
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের সৃষ্ট এক অসাধারণ চরিত্র হলো "পটলডাঙ্গার টেনিদা"। বাংলা ভাষায় হাস্যরস নিয়ে বহু গল্পের বইই রচিত হয়েছে - ভবিষ্যতেও হবে। কিন্তু "টেনিদা" নামটা চিরটাকালই অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। টেনিদার গল্পগুলোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে যে এখানে কোনো কষ্ট নেই, পুরোটাই নিখাদ হাস্যরসে আর নির্মল আনন্দে ভরপুর। কিশোরদের জন্যে লেখা নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রায় সব গল্পতেই হাস্যরসের মাত্রা লক্ষ্যনীয়, কিন্তু তার মধ্যেও টেনিদাকে নিয়ে লেখা উপন্যাস বা গল্পগুলোতে হাস্য-কৌতুকের মাত্রাটা আসলেই কূল-ছাপানো।
পটলডাঙ্গার টেনিদা এক আজব চরিত্র - সেটি এমনই অনন্য যে তাকে আর কারো সাথেই তুলনা করা যায় না। বারংবার পরীক্ষায় ফেল করার পরেও তার সেটা নিয়ে কোন আফসোস নেই। বরং সে গর্ব করে বলে, "পাশ তো সবাই করে যায় কিন্তু ফেল কয়জন করতে পারে ?" আবার ভোজন রসিক, ওরফে 'পেটুক' টেনিদার মতো খাইয়ে চরিত্র বাংলা সাহিত্যে খুব কমই দেখা যায়। একদমে গোটা আটটা সিঙ্গারা খাওয়া, কিম্বা খান তিরিশেক পিঠে-পুলি হজম করে ফেলা টেনিদার কাছে কোনও ব্যাপারই নয়। আর যখন বিপদ সামনে থেকে চলে যায় তখনই টেনিদার আসল সাহসের পরিচয় পাওয়া যায়। কিন্তু বিপদের সময় তার সব সাহস উধাও। লেখনীর মধ্যে হিউমারের অ্যাতো সার্থক এবং স্বতস্ফুর্ত ব্যবহার খুব কম লেখকের লেখাতেই দেখা যায়।
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের সৃষ্ট এক অসাধারণ চরিত্র হলো "পটলডাঙ্গার টেনিদা"। বাংলা ভাষায় হাস্যরস নিয়ে বহু গল্পের বইই রচিত হয়েছে - ভবিষ্যতেও হবে। কিন্তু "টেনিদা" নামটা চিরটাকালই অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। টেনিদার গল্পগুলোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে যে এখানে কোনো কষ্ট নেই, পুরোটাই নিখাদ হাস্যরসে আর নির্মল আনন্দে ভরপুর। কিশোরদের জন্যে লেখা নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রায় সব গল্পতেই হাস্যরসের মাত্রা লক্ষ্যনীয়, কিন্তু তার মধ্যেও টেনিদাকে নিয়ে লেখা উপন্যাস বা গল্পগুলোতে হাস্য-কৌতুকের মাত্রাটা আসলেই কূল-ছাপানো।
পটলডাঙ্গার টেনিদা এক আজব চরিত্র - সেটি এমনই অনন্য যে তাকে আর কারো সাথেই তুলনা করা যায় না। বারংবার পরীক্ষায় ফেল করার পরেও তার সেটা নিয়ে কোন আফসোস নেই। বরং সে গর্ব করে বলে, "পাশ তো সবাই করে যায় কিন্তু ফেল কয়জন করতে পারে ?" আবার ভোজন রসিক, ওরফে 'পেটুক' টেনিদার মতো খাইয়ে চরিত্র বাংলা সাহিত্যে খুব কমই দেখা যায়। একদমে গোটা আটটা সিঙ্গারা খাওয়া, কিম্বা খান তিরিশেক পিঠে-পুলি হজম করে ফেলা টেনিদার কাছে কোনও ব্যাপারই নয়। আর যখন বিপদ সামনে থেকে চলে যায় তখনই টেনিদার আসল সাহসের পরিচয় পাওয়া যায়। কিন্তু বিপদের সময় তার সব সাহস উধাও। লেখনীর মধ্যে হিউমারের অ্যাতো সার্থক এবং স্বতস্ফুর্ত ব্যবহার খুব কম লেখকের লেখাতেই দেখা যায়।
প্রথম প্রকাশ: ফাল্গুন ১৩৭৭ (বেঙ্গল পাবলিশার্স) |
নগর জীবনে হাজার ব্যস্ততার ভিড়ে আজ আমরা প্রায় হাসতেই ভুলে গেছি। সারাদিন শুধু কাজ, টেনশান, আর হরেক রকমের ব্যস্ততা। তা সেই মেকি ব্যস্ততার ভিড়ে কিছুটা সময়ের জন্যে হলেও নির্মল আনন্দের বড়োই প্রয়োজন - আর সেটা সু-সাহিত্য ছাড়া কেইই বা আমাদের যোগান দিতে পারে ?
পটলডাঙ্গার টেনিদা (SIZE: 16.5 MB) |