আমাদের কৈশোরের মুগ্ধ স্মৃতিতে 'হেমেন্দ্রকুমার রায়' নামটি অবিস্মরণীয় ভাবে জড়িয়ে আছে। তাঁর সৃষ্ট কিশোর গোয়েন্দা জয়ন্ত এবং মানিক আজকের ফেলুদা কিম্বা ব্যোমকেশ বক্সির সাথে জনপ্রিয়তায় প্রায় সমানে সমানে পাল্লা দিয়ে চলতো। জয়ন্ত-মানিকের বুদ্ধিদীপ্ত বিশ্লেষণ আর দারোগা সুন্দরবাবুর ভোজন-রসিকতায় এই গোয়েন্দা গল্পগুলি ছিলো তখন আমাদের কাছে অত্যন্ত উপাদেয়। গল্পের মাঝে মাঝে সরস টিপ্পনি আর সুন্দরবাবুর হাস্যকর আচরণ তাদের আরো আকর্ষনীয় করে তুলেছিলো।
তবে গোয়েন্দা গল্প ছাড়াও হেমেন্দ্রকুমার রায় গা-শিরশির করা ভূতের গল্প এবং রোমাঞ্চকর সত্য কাহিনী রচনাতেও অস্বাভাবিক ধরণের দক্ষ ছিলেন, এবং সব রকমের কাহিনীতেই পাঠকদের মনোযোগ আগাগোড়া টেনে ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন।
তবে গোয়েন্দা গল্প ছাড়াও হেমেন্দ্রকুমার রায় গা-শিরশির করা ভূতের গল্প এবং রোমাঞ্চকর সত্য কাহিনী রচনাতেও অস্বাভাবিক ধরণের দক্ষ ছিলেন, এবং সব রকমের কাহিনীতেই পাঠকদের মনোযোগ আগাগোড়া টেনে ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন।
দেব সাহিত্য কুটীর - বই হিসাবে প্রথম প্রকাশ: বইমেলা, ২০০৮ |
এই উপন্যাসটি বহুবছর আগে মাসিক শুকতারা পত্রিকায় ১২টি পর্বে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিলো ১৩৭০-১৩৭১ সালে। তবে বই হিসাবে এটি প্রথম প্রকাশিত হয় দেব সাহিত্য কুটীর থেকে, 2008 সালের জানুয়ারী মাসের বইমেলায়। শুকতারায় প্রকাশিত কাহিনীতে ছবিগুলির অলঙ্করণ করেছিলেন নারায়ন দেবনাথ মহাশয়, তবে বই হিসাবে প্রকাশিত গল্পের ছবিগুলির অলঙ্করণ করেন অন্য কোনো শিল্পী (খুব সম্ভবত: গৌতম দাশগুপ্ত মহাশয়)। শুকতারাতে ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত এই গল্পটি পাওয়া যাবে ইন্দ্রনাথের ব্লগে। এ ছাড়াও পরবর্তীকালে হেমেন্দ্র কুমার রায়ের বিভিন্ন সমগ্রতেও এই কাহিনীটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
Trivia
বাংলার নবাবী আমলের বিখ্যাত ধন কুবের তথা পলাশি যুদ্ধের কুখ্যাত খলনায়ক জগতশেঠের বাড়ির প্রবেশদ্বার। মুর্শিদাবাদের লালবাগে রয়েছে এই বিখ্যাত বাড়ি। সাহিত্যিক হেমেন্দ্রকুমার রায় এই বাড়িটির পটভূমিতেই লিখেছিলেন "জগৎ শেঠের রত্নকুঠী" উপন্যাসটি।এই বাড়িতেই রয়েছে জগৎ শেঠের রাখা ধনরত্নের গুপ্ত কুঠুরি। যদিও এখন আর ধনররত্নের চিহ্নমাত্র নেই - তবে গুপ্ত কুঠুরিতে যাওয়াই যায়।
বর্তমান যুগের ক্ষুদে পড়ুয়াদের কাছে হেমেন্দ্রকুমার তেমন পরিচিত কোনো নাম হয়ত নন। সে'জন্যেই তাঁর সৃষ্ট এক অসাধারণ গোয়েন্দাকাহিনী এখানে একটু সহজভাবে, বই ফর্ম্যাটে তুলে ধরা হলো।
Trivia
বাংলার নবাবী আমলের বিখ্যাত ধন কুবের তথা পলাশি যুদ্ধের কুখ্যাত খলনায়ক জগতশেঠের বাড়ির প্রবেশদ্বার। মুর্শিদাবাদের লালবাগে রয়েছে এই বিখ্যাত বাড়ি। সাহিত্যিক হেমেন্দ্রকুমার রায় এই বাড়িটির পটভূমিতেই লিখেছিলেন "জগৎ শেঠের রত্নকুঠী" উপন্যাসটি।এই বাড়িতেই রয়েছে জগৎ শেঠের রাখা ধনরত্নের গুপ্ত কুঠুরি। যদিও এখন আর ধনররত্নের চিহ্নমাত্র নেই - তবে গুপ্ত কুঠুরিতে যাওয়াই যায়।
বর্তমান যুগের ক্ষুদে পড়ুয়াদের কাছে হেমেন্দ্রকুমার তেমন পরিচিত কোনো নাম হয়ত নন। সে'জন্যেই তাঁর সৃষ্ট এক অসাধারণ গোয়েন্দাকাহিনী এখানে একটু সহজভাবে, বই ফর্ম্যাটে তুলে ধরা হলো।
জগৎ শেঠের রত্ন্কুঠী (SIZE: 16 MB) |
বার বার পড়লেও ভালো লাগে ।
ReplyDeleteThank for the upload.
ReplyDelete