"আনন্দমেলা" - নামটা শুনলেই সেই সুদূর অতীতের একরাশ ভালোলাগার কথা মনে এসে যায়, আর সেই ভালোলাগার উৎসমূলে দেখা যায় গেঁড়ে বসে আছে সহজ, সরল ভাষায় লেখা এক অসাধারণ কমিকস - টিনটিন!! আনন্দমেলা’র সূত্রেই মাতৃভাষায় টিনটিনের সাথে আপামর বাঙালীর প্রথম আলাপ। যদিও এই পত্রিকার জন্ম ১৯৭৫ সালে, কিন্তু প্রথম যখন টিনটিনকে হাতে পাই, তখন আমি ক্লাস ফাইভ কি সিক্সের ছাত্র। রুদ্ধশ্বাসে পড়ে চলতাম টিনটিনের ‘কাঁকড়া রহস্য’. 'মমির অভিশাপ', 'সূর্যদেবের বন্দি' - টিনটিন থেকে শুরু করে কুট্টুস, ক্যাপ্টেন হ্যাডক, জনসন-রনসন, প্রফেসর ক্যালকুলাস আমার মন জয় করে নিতে এক মুহূর্তও দেরী করেনি। সেই যে সেই প্রেমে পড়া, আজও অবধি সেই বেলজিয়ান সাহেব জর্জ র্যেমি, ওরফে হার্জে-র কমিকস-ম্যাজিকের মায়াজাল কেটে বার হতে পারলাম না - আর বাকি জীবনটুকুতেও যে পেরে উঠবো, সে ভরসাও খুব একটা দেখছি না !! টিনটিনের জন্যেই সেই সময়ে একটা ছোট্ট, সাদা কুকুরছানা পোষার জন্যে বাবা-র কাছে কি বায়নাই না করে ছিলাম! রাস্তাঘাটে টলে টলে চলা পাঁড় মাতালকে দেখেও ভালো লাগতো, স্রেফ ক্যাপ্টেনের কথা ভেবেই !!
আবার অন্যদিক দিয়ে দেখলে বলতেই হয় যে বাংলায় প্রকাশিত বোকা-বোকা, নিরামিষ কমিকসদের অসারত্ব চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিলো এই টিনটিনই!! পাঠকমহলে টিনটিনের কমিকসগুলির লাগামহীন জনপ্রিয়তার মূলে ছিলো গল্পগুলিতে ঘটনার অভাবনীয় চমকপ্রদতা, চরিত্রদের বৈচিত্রতা, দুরন্ত সব পটভূমিকা, অসাধারন রসবোধ, তেমনি ডিটেলস ড্রয়িং, এবং ঘটনাবলীর নিঁখুত বর্ণনা - সুপারডুপার হিট না-হয়ে যায় কোথা !! তার সাথে জুড়ে ছিলো হার্জের অনবদ্য ‘লিনেউ ক্লেয়ার’ (Ligne Claire) স্টাইল।
গোটা দুনিয়া জুড়ে প্রায় ৭০টিরও বেশী সংখ্যক ভাষায় টিনটিনের কমিকস প্রকাশিত হয়েছে - এমন কি রুপোলি পর্দাতেও টিনটিন ভীষণভাবে জনপ্রিয়। তবে অ্যামেরিকার বাজারে টিনটিন কখনোই জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারেনি, তার একটা কারণ যেমন ছিলো টিনটিন ইউরোপীয়ান (নাক-উঁচু), তেমনি অন্যদিকে সেই সময়ে, অর্থাৎ চল্লিশ থেকে ষাটের দশকে, অ্যামেরিকার কমিকস জগৎ তোলপাড় করে রেখেছিলো 'মার্ভেল" আর 'ডি.সি. কমিকস' থেকে প্রকাশিত হওয়া একগাদা দুর্দান্ত সব ক্যারেক্টার। তাই বাইরে থেকে আর নতুন করে কোনো কমিকস ক্যারেক্টার আমদানি করার দরকার অ্যামেরিকান পাঠকদের হয়ে ওঠেনি !!
টিনটিনকে নিয়ে তার অগুন্তি ভক্তেরা যে কি অস্বাভাবিক ধরণের পাগলামো করে থাকে সেটা অন্য আরেক দিন বলা যাবে। আমাদের আজকের এই ছোট্ট পোস্টের উদ্দেশ্য হলো এমনই এক ভক্তের মাত্রাহীন ভালোবাসার কথা তুলে ধরা।
কাকা রাই (Kaka Rai) হলেন একজন ইন্দোনেশিয়ান, গ্রাফিক ডিজাইনের ছাত্র, এবং টিনটিনের এক অন্ধ ভক্ত। টিনটিনকে নিয়ে তিনি বেশ কিছু ছোটো-খাটো কমিকস প্রকাশিত করে চলেছেন। গল্পের প্লট ও ছবি আঁকা, দুয়েরই দায়িত্ব তুলে নিয়েছেন তিনি নিজেই। তবে এইসব সংক্ষিপ্ত গল্পগুলিকে কিন্তু হার্জের লেখা টিনটিনের মূল গল্পদের সাথে তুলনা করতে যাওয়াটা একটু বোকামিই হবে। তাঁর লেখা এই গল্পগুলির বৈশিষ্ট্য হলো যে প্রতিটি গল্পেই তিনি স্বয়ং নিজে টিনটিনের সাথে আছেন, ঠিক যে রকমটি ভাবে আমরা আমাদের কিশোর বয়সে টিনটিনের সাথে মনে মনে রোল-প্লে করে খেলে চলতাম আর কি !!
সেই রকমই একটি ছোটো গল্প আজ বাংলায় অনুবাদ করে এখানে দেওয়া হলো। এই কমিকসটির প্রচ্ছদপট অলংকরণে সহায়তা করেছেন আমাদের সকলের প্রিয় রূপক ঘোষ মহাশয়। অনেক ধন্যবাদ ও প্রশংসা রইলো তাঁর জন্যে...
আবার অন্যদিক দিয়ে দেখলে বলতেই হয় যে বাংলায় প্রকাশিত বোকা-বোকা, নিরামিষ কমিকসদের অসারত্ব চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিলো এই টিনটিনই!! পাঠকমহলে টিনটিনের কমিকসগুলির লাগামহীন জনপ্রিয়তার মূলে ছিলো গল্পগুলিতে ঘটনার অভাবনীয় চমকপ্রদতা, চরিত্রদের বৈচিত্রতা, দুরন্ত সব পটভূমিকা, অসাধারন রসবোধ, তেমনি ডিটেলস ড্রয়িং, এবং ঘটনাবলীর নিঁখুত বর্ণনা - সুপারডুপার হিট না-হয়ে যায় কোথা !! তার সাথে জুড়ে ছিলো হার্জের অনবদ্য ‘লিনেউ ক্লেয়ার’ (Ligne Claire) স্টাইল।
গোটা দুনিয়া জুড়ে প্রায় ৭০টিরও বেশী সংখ্যক ভাষায় টিনটিনের কমিকস প্রকাশিত হয়েছে - এমন কি রুপোলি পর্দাতেও টিনটিন ভীষণভাবে জনপ্রিয়। তবে অ্যামেরিকার বাজারে টিনটিন কখনোই জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারেনি, তার একটা কারণ যেমন ছিলো টিনটিন ইউরোপীয়ান (নাক-উঁচু), তেমনি অন্যদিকে সেই সময়ে, অর্থাৎ চল্লিশ থেকে ষাটের দশকে, অ্যামেরিকার কমিকস জগৎ তোলপাড় করে রেখেছিলো 'মার্ভেল" আর 'ডি.সি. কমিকস' থেকে প্রকাশিত হওয়া একগাদা দুর্দান্ত সব ক্যারেক্টার। তাই বাইরে থেকে আর নতুন করে কোনো কমিকস ক্যারেক্টার আমদানি করার দরকার অ্যামেরিকান পাঠকদের হয়ে ওঠেনি !!
টিনটিনকে নিয়ে তার অগুন্তি ভক্তেরা যে কি অস্বাভাবিক ধরণের পাগলামো করে থাকে সেটা অন্য আরেক দিন বলা যাবে। আমাদের আজকের এই ছোট্ট পোস্টের উদ্দেশ্য হলো এমনই এক ভক্তের মাত্রাহীন ভালোবাসার কথা তুলে ধরা।
![]() |
টিনটিন - মাশরুম কাণ্ড (2015) |
কাকা রাই (Kaka Rai) হলেন একজন ইন্দোনেশিয়ান, গ্রাফিক ডিজাইনের ছাত্র, এবং টিনটিনের এক অন্ধ ভক্ত। টিনটিনকে নিয়ে তিনি বেশ কিছু ছোটো-খাটো কমিকস প্রকাশিত করে চলেছেন। গল্পের প্লট ও ছবি আঁকা, দুয়েরই দায়িত্ব তুলে নিয়েছেন তিনি নিজেই। তবে এইসব সংক্ষিপ্ত গল্পগুলিকে কিন্তু হার্জের লেখা টিনটিনের মূল গল্পদের সাথে তুলনা করতে যাওয়াটা একটু বোকামিই হবে। তাঁর লেখা এই গল্পগুলির বৈশিষ্ট্য হলো যে প্রতিটি গল্পেই তিনি স্বয়ং নিজে টিনটিনের সাথে আছেন, ঠিক যে রকমটি ভাবে আমরা আমাদের কিশোর বয়সে টিনটিনের সাথে মনে মনে রোল-প্লে করে খেলে চলতাম আর কি !!
সেই রকমই একটি ছোটো গল্প আজ বাংলায় অনুবাদ করে এখানে দেওয়া হলো। এই কমিকসটির প্রচ্ছদপট অলংকরণে সহায়তা করেছেন আমাদের সকলের প্রিয় রূপক ঘোষ মহাশয়। অনেক ধন্যবাদ ও প্রশংসা রইলো তাঁর জন্যে...