বর্তমান কালের প্রথিতযশা কবিদের মধ্যে কবি শঙ্খ ঘোষের নাম তালিকার একেবারে উপরের দিকে থাকবে। তাঁর লেখা কবিতার সাথে প্রথম পরিচয় ঘটেছিলো কিছুটা পরিণত বয়সেই। সেই যে সেই বিখ্যাত লাইনগুলি: "একলা হয়ে দাঁড়িয়ে আছি / তোমার জন্য গলির কোণে / ভাবি আমার মুখ দেখাবো / মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে..." সহসাই আমার চোখে আঙ্গুল দিয়ে নাগরিক জীবনের অসারত্বকে নির্মমভাবে তুলে ধরেছিলো। তারপর থেকে ওনার লেখা কবিতার তো বটেই, ওনার রচিত গদ্য ও প্রবন্ধগুলিরও বিশেষ ভক্ত হয়ে গেছিলাম। ''ঘুমিয়ে পড়া অ্যালবাম'', ''জার্নাল'', "নিঃশব্দের তর্জনী", ''কবিতার মুহূর্ত'', ''ছেঁড়া ক্যাম্বিসের ব্যাগ'', বইগুলি একের পর এক শেষ করে ফেলেছিলাম।
তাঁরই কথায়, ‘শিকড় দিয়ে আঁকড়ে’ আছেন। তাই কবি শঙ্খ ঘোষ-এর কোনও বিশেষ পরিচয় হয় না। তাঁর অস্তিত্বই তাঁর পরিচয়। বাংলা কবিতায় প্রায় ষাট বছর ধরে তিনি তৈরি করে নিয়েছেন এমন এক পথ, যে-পথে স্বল্প যাত্রী, যে-পথে সামান্য আলো জ্বলে। সমালোচনায় নিয়ে এসেছেন সর্বজনবোধ্য এক জ্ঞানচর্চার দিশা, সংক্রামকভাবে বারবার সাড়া দিয়েছেন সংকট সময়ে। বাণারিপাড়া, পাকশি আর সুপুরিবনের সারি ঘেরা মামাবাড়ি – তাঁর লেখায় এই পরিসরটাই বারবার ফিরে আসে দেশ হয়ে। তাঁর মামাবাড়ি ছিলো চাঁদপুরে, ঢাকার কাছে। আর সুপুরিবনটা ছিলো কাকা-ঠাকুর্দার বাড়ি। তাই তাঁর লেখায় ঐসব জায়গাগুলো ফিরে ফিরেই আসে। তারও মধ্যে পাকশি বিষয়ে টানটা একটু বেশি, কেননা সাত থেকে পনেরো বছর বয়স পর্যন্ত পদ্মাপারের, একেবারে আক্ষরিক ভাবেই পদ্মাপারের – ছোট সেই মফস্বলে সময় কেটেছিলো তাঁর - সেইখানেই পড়াশোনা। পিছনে বন, সামনে নদী, ডাইনে-বাঁয়ে ক্ষেত-ছড়ানো গ্রাম, এরই মধ্য দিয়ে বড় হবার একটা সুযোগ পেয়েছিলেন। আর ওই বয়সটা তো সবারই পক্ষে সবচেয়ে গ্রহণের, সবচেয়ে সঞ্চয়ের, সবচেয়ে সংলগ্নতার সময়। তাই পাকশিকে তিনি কখনোই ভুলতে পারেন নি।
তাঁরই কথায়, ‘শিকড় দিয়ে আঁকড়ে’ আছেন। তাই কবি শঙ্খ ঘোষ-এর কোনও বিশেষ পরিচয় হয় না। তাঁর অস্তিত্বই তাঁর পরিচয়। বাংলা কবিতায় প্রায় ষাট বছর ধরে তিনি তৈরি করে নিয়েছেন এমন এক পথ, যে-পথে স্বল্প যাত্রী, যে-পথে সামান্য আলো জ্বলে। সমালোচনায় নিয়ে এসেছেন সর্বজনবোধ্য এক জ্ঞানচর্চার দিশা, সংক্রামকভাবে বারবার সাড়া দিয়েছেন সংকট সময়ে। বাণারিপাড়া, পাকশি আর সুপুরিবনের সারি ঘেরা মামাবাড়ি – তাঁর লেখায় এই পরিসরটাই বারবার ফিরে আসে দেশ হয়ে। তাঁর মামাবাড়ি ছিলো চাঁদপুরে, ঢাকার কাছে। আর সুপুরিবনটা ছিলো কাকা-ঠাকুর্দার বাড়ি। তাই তাঁর লেখায় ঐসব জায়গাগুলো ফিরে ফিরেই আসে। তারও মধ্যে পাকশি বিষয়ে টানটা একটু বেশি, কেননা সাত থেকে পনেরো বছর বয়স পর্যন্ত পদ্মাপারের, একেবারে আক্ষরিক ভাবেই পদ্মাপারের – ছোট সেই মফস্বলে সময় কেটেছিলো তাঁর - সেইখানেই পড়াশোনা। পিছনে বন, সামনে নদী, ডাইনে-বাঁয়ে ক্ষেত-ছড়ানো গ্রাম, এরই মধ্য দিয়ে বড় হবার একটা সুযোগ পেয়েছিলেন। আর ওই বয়সটা তো সবারই পক্ষে সবচেয়ে গ্রহণের, সবচেয়ে সঞ্চয়ের, সবচেয়ে সংলগ্নতার সময়। তাই পাকশিকে তিনি কখনোই ভুলতে পারেন নি।
প্রথম প্রকাশ: বইমেলা ২০০৭ |
প্রতিটি কবিতারই একটা নিজস্ব আবরণ আছে - তার ভিতরে প্রচ্ছন্ন রেখে অনেক কথা বলিয়ে নেওয়া যায় - কিন্তু গদ্যে নিজের বিষয়ে লিখতে সবাই পারেন না, কারণ গদ্য বড়ো বেশি সরাসরি কথা বলে, সব কিছু জানিয়ে দেয়।
আমাদের আজকের এই পোস্টে রইলো কবি শঙ্খঘোষের আত্মপ্রসঙ্গ মূলক বই "ছেঁড়া ক্যাম্বিসের ব্যাগ' থেকে বেশ কয়েকটি অমূল্য রচনা।
আমাদের আজকের এই পোস্টে রইলো কবি শঙ্খঘোষের আত্মপ্রসঙ্গ মূলক বই "ছেঁড়া ক্যাম্বিসের ব্যাগ' থেকে বেশ কয়েকটি অমূল্য রচনা।
ছেঁড়া ক্যাম্বিসের ব্যাগ (SIZE: 8.8 MB) |