Saturday, January 20, 2024

লেখকের কাছাকাছি

"অনেকে মনে করতেন মেয়েদের নাম দিয়ে লিখলে
সম্পাদকেরা তাড়াতাড়ি ছাপাবেন...
"              
( ~ সবিতেন্দ্রনাথ রায় )  


সাহিত্যিক সবিতেন্দ্রনাথ রায় তিয়াত্তর বছর আগে মাত্র ১৩ বছর বয়সে যোগ দিয়েছিলেন মিত্র এন্ড ঘোষ নামক প্রকাশনালয়ে। বর্তমানে তাঁর বয়স ৮৬ বছর। বাংলা বইয়ের এ সময়ের সব লেখক ও সম্পাদক থেকে শুরু করে নিয়মিত ক্রেতা অবশ্য তাকে ভানুদা বলে চেনেন। এই ভানুদার-ই পোশাকি নাম সবিতেন্দ্রনাথ রায়। মিত্র এন্ড ঘোষে কাজ করার দৌলতে তিনি অগুনতি লেখক, কবি-সাহিত্যিকের সংস্পর্শে এসেছেন। সে'সময়ে জম্পেশ আড্ডা বসতো মিত্র এন্ড ঘোষের আপিসে। সেই আড্ডায় যোগ দিতে আসতেন বাংলা সাহিত্যের অনেক রথী মহারথী - বিভূতিভূষণ, তারাশংকর থেকে শুরু করে নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়, প্রমথনাথ বিশি, সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়, প্রবোধকুমার সান্যাল, কবিশেখর কালিদাস, পরশুরাম, শরদিন্দু, উমাপ্রসাদ, সজনীকান্ত দাস সহ অসংখ্য কবি সাহিত্যিক। সবিতেন্দ্রনাথ রায় প্রথমদিকে সে আড্ডার আলাপচারিতা ও জ্ঞান-গর্ভ আলোচনা নোটবুকে টুকে রাখতেন। পরবর্তীতে অবশ্য মনে রাখাটা তার অভ্যেসে দাঁড়িয়ে যায়। সে'সব ঘটনা, গল্প ও ইতিহাস নিয়েই পরবর্তীকালে লেখা হয় তাঁর সাড়া জাগানো বই: ‘কলেজ স্ট্রিটে সত্তর বছর’। পর পর চার খণ্ডে তার লেখা কলকাতার সাহিত্য জগতের ইতিহাসের মহাকাব্য। এছাড়াও তিনি লিখেছেন ‘লেখকের কাছাকাছি’ ও ‘নিজস্বী’ নামে আরও দুটি গ্রন্থ। 

ব্যক্তি জীবনে সবিতেন্দ্রনাথ রায় হলেন দুই কন্যাসন্তানের জনক। স্ত্রী অর্চনা রায় পরলোকগত হয়েছেন ২০০৮ সালে। জ্যেষ্ঠ কন্যা ইন্দ্রাণী রায় মিত্র বর্তমানে 'মিত্র এন্ড ঘোষ'-এর নির্বাহী পরিচালক। আর কনিষ্ঠ কন্যা সর্বাণী রায় শিক্ষকতা করছেন কলকাতার একটি বিদ্যালয়ে। 


কলেজ স্ট্রীটের মিত্র এন্ড ঘোষ পাবলিকেশনস থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন বইয়ের পান্ডুলিপির তাগাদা দিতে, এবং "কথা সাহিত্য" পত্রিকার জন্য লেখা যোগাড় করতে বিভিন্ন লেখকের সাথে সবিতেন্দ্রনাথের ব্যক্তিগত পরিচয় ও সখ্যতা গড়ে উঠেছিলো। এছাড়া মিত্র এন্ড ঘোষের আড্ডাতে এককালে আসতেন বাংলা সাহিত্যের অনেক রথী মহারথী। সেই সুবাদে অনেক বিখ্যাত সাহিত্যিকদের কাছ থেকে দেখার ও জানার সুযোগ পেয়েছিলেন সবিতেন্দ্রনাথ রায়। তাছাড়া মিত্র এন্ড ঘোষের দুই সহ প্রতিষ্ঠাতা গজেন্দ্র কুমার মিত্র ও সুমথনাথ ঘোষ তো ছিলেনই। "লেখকের কাছাকাছি" বইটিতে রয়েছে এমনই ১৮ জন বিখ্যাত সাহিত্যিকদের ব্যক্তিগত পরিচয়ের স্মৃতিকথা, এবং তাঁদের সম্পর্কে অজানা নানান তথ্য।

এই বইটি থেকে চারটি স্মৃতিকথা এখানে দেওয়া হলো - হাসির রাজা শিবরাম, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৈয়দ মুজতবা আলী,  ও নারায়ন গঙ্গোপাধ্যায়।    



লেখকের কাছাকাছি
(Size: 8 MB)







Sunday, September 11, 2022

লাকি লুক - A Cowboy in High Cotton (Book# 77)

Lucky Luke-এর সৃষ্টিকর্তা ছিলেন Maurice De Bevere, সংক্ষেপে Morris --- "লাকি লুক" হলো পশ্চিমের এক অকুতোভয়,  হৃদয়বান, অসম্ভব মজাদার এক চরিত্র - the motto of the series puts it, 'Lucky Luke—The Man Who Shoots Faster Than His Shadow' --- প্রথম প্রকাশের পর খুব দ্রুতই Lucky Luke ইউরোপের বেস্ট-সেলিং কমিকস-এ পরিণত হয়।  শুরুতে লাকি লুককে স্মোক করতে দেখা গেলেও 1983 সাল থেকে তার মুখে সিগারেটের বদলে খড়ের টুকরো রাখতে দেখা যায়। এই জন্যে এপ্রিল 1988-এ জেনিভায় World Health Organization থেকে Morris কে অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছিলো। 

মরিস এবং গোসিনির যৌথ প্রচেষ্টায় অসাধারণ কিছু অ্যাডভেঞ্চার কাহিনী আমরা পেয়েছি --- কালের অমোঘ নিয়মে একসময় তাঁরা দু'জনেই সেই অন্য ভুবনের দিকে পা বাড়ান। তাঁদেরই প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে Jul and Achdé এই অ্যাডভেঞ্চার  কাহিনীটি তৈরী করেছেন। It’s very much in the artistic style of Morris and the narrative style of the Goscinny and Morris - কতো'টা সফল তাঁরা হতে পেরেছেন তা পাঠকরাই নির্ধারণ করবেন। তবে এই কাহিনীটি খুব প্রয়োজনীয় এক বিষয়ের দিকে আমাদের নজর ঘুরিয়ে দিয়েছে, এবং সেটি হলো, racism and discrimination faced by the freed Black slaves in the South

কাহিনীসুত্র: লাকি লুক এক নির্ঝঞ্ঝাট ছুটির আশায় সব ছেড়েছুড়ে এলেও, ভাগ্যের ফেরে সেই ডালটন ভাইদের সাথেই আবারও একবার তার দেখা হয়ে যায়। তার উপরে এক অপ্রত্যাশিত ২৫০ একরের বিশাল তুলো বাগানের মালিকানা লাকি লুকের উপরে এসে বর্তায়, যা তার জীবন ওলটপালট করে দেবার পক্ষে ছিলো যথেষ্টই !! 

অ্যামেরিকার গৃহযুদ্ধ: 
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ১৮৬১ সালে দক্ষিণের ১১টি রাজ্য বনাম উত্তরের অন্যান্য রাজ্যের মধ্যে যে যুদ্ধ ঘটেছিলো ইতিহাসে তা ‘অ্যামেরিকার গৃহযুদ্ধ’ নামে বিখ্যাত হয়ে আছে। দাস প্রথার অবসান, এবং দক্ষিণের রাজ্যগুলো দাসপ্রথা অবসানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য সব রাজ্যের সিদ্ধান্ত না মেনে স্বাধীনভাবে নিজস্ব কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে কিনা সে প্রশ্নেই শুরু হয়েছিলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ বনাম উত্তরের রাজ্যগুলোর মধ্যে ঘরোয়া এক বিবাদ। 
উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে উত্তরের রাজ্যগুলো কৃষিভিত্তিক অর্থনৈতিক ভাবনা থেকে নিজেদেরকে সরিয়ে এনে শিল্পবান্ধব অর্থনীতির দিকে ঝুঁকে পড়ে। ফলে ব্যাপক হারে নির্মিত হতে থাকে নানা শিল্প-কলকারখানা। দ্রুত নগরায়ণের প্রসার ঘটে। অন্যদিকে দক্ষিণের দেশ সমূহ ছিল পুরোটাই কৃষি নির্ভর - মূলত: কায়িক শ্রমভিত্তিক শিল্প গড়ে উঠেছিলো 'ব্ল্যাক অ্যামেরিকানদের' ব্যবহার করেই। ফলে দুই রাজ্যের মধ্যকার অর্থনৈতিক বৈষম্য ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছিল। দক্ষিণের রাজ্যগুলোতে বিপুল পরিমাণ ফসল, বিশেষ করে তুলা এবং তামাক, উৎপাদিত হতো। এ'সব কৃষিকাজে ব্যবহার করা হতো দাসদের। ১৮০৮ সালে দাসবৃত্তির বিরুদ্ধে অ্যামেরিকায় আইন পাশ হয় এবং ১৮৩০ সাল থকে উত্তরের রাজ্য সমূহ তা বাস্তবায়ন করতেও শুরু করে এবং দক্ষিণের রাজ্য সমূহেও তা বাস্তবায়নে তৎপর হয়ে ওঠে। সুতরাং স্বভাবতই দক্ষিণের প্রভাবশালী দাস মালিকরা দাসবৃত্তি উঠে যাবার ভয়ে থাকেন। কেননা দাসকে কেন্দ্র করেই দক্ষিণের অর্থনীতি পরিচালিত হচ্ছিল। দাসবৃত্তি উঠে যাবার মানেই ছিল দক্ষিণের অর্থনীতি ধসে যাওয়া। সুতরাং যখন আব্রাহাম লিংকন দাস প্রথা বিলোপের ঘোষণা দেন, তখন দক্ষিণ অঞ্চলের রাজ্যগুলোর শ্বেতাঙ্গ মানুষদের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। তাদের মনে হয়, এটি তাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকারের এক হীন ষড়যন্ত্র। ১৮৬০ সালে আব্রাহাম লিংকন রিপাবলিকান দলের হয়ে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন। ইতিমধ্যেই দক্ষিণের সাতটি রাজ্য একসাথে মিলে "কনফেডারেট স্টেটস অফ আমেরিকা" নামে নতুন একটা দেশ গড়ে তোলে। পরপরই তাদের সাথে আরও চারটি রাজ্যও যুক্ত হয়। প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কন এই দেশ-ভাঙ্গনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান এবং দক্ষিণের রাজ্যগুলোকে পুনরায় ইউনিয়ন-এ যোগ দেবার জন্যে সৈন্যদল পাঠান। ১৮৬১ সাল নাগাদ উত্তরের দেশসমূহের সাথে পুরোদমে যুদ্ধ শুরু হয়ে যায় এবং ১৮৬৫ সাল নাগাদ কনফেডারেশনের আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে ১৮৬৫ সালে গৃহযুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে। কম করে হলেও ছয় লক্ষ সৈন্য নিহত হয় এবং আরো হাজার হাজার পঙ্গুত্ব বরণ করে। যুদ্ধ শেষে মোটামুটি দক্ষিণের দেশ সমূহ একপ্রকার ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।

লাকি লুকের এই কাহিনীতে ধরা পড়েছে সেই মরণক্ষয়ী যুদ্ধ পরবর্তী কিছু বিমর্ষ চিত্র... 

লাকি লুক - আডভেঞ্চার নং ৭৭ 


স্বগতোক্তি: এক সময় কমিকস নিয়ে বেশ কিছু অনুবাদ শুরু করেছিলাম --  'Calvin and Hobbes', Lucky Luke, 'Asterix', 'Blake & Mortimer', 'Bringing Up Father', 'Henry', etc. --- হঠাৎই 2017 সালের পুজোর সময় দুর্ভাগ্যক্রমে দেখি আমারই অনুবাদ করা লাকি লুকের "বাউন্ডুলে" গল্পটা সুব্রত চক্রবর্তী নামে এক অকালপক্ক কেউ প্রায় টপ-টু-বটম ঝেঁপে "বহুমুখী" নামে এক ওয়েব ম্যাগাজিনে, সম্পূর্ণ নিজের নামে চালিয়ে দিয়েছে !!! কৃতজ্ঞতা স্বীকারের কোনও বাহুল্যই নেই !!!! এরপর বছর কয়েক আর বাংলায় বিদেশী কমিকস অনুবাদের ইচ্ছা জাগেনি। লকডাউন উঠে যাবার পর আবার নতুন করে লাকি লুকের সম্প্রতি প্রকাশিত এই কমিকস বইটি অনুবাদের কাজ শুরু করেছি -- দেখা যাক পাঠকদের প্রতিক্রিয়া কেমন হয়। 

এই কাহিনীটিতে আমি মূল চরিত্রগুলির নাম অক্ষুণ্ণ রেখে বাকীদের নাম সামান্যই অদলবদল করার চেষ্টা করেছি। আপাত: গল্পটির প্রথম দশ পাতা এখানে PDF ফরম্যাটে দেওয়া হলো -- উপযুক্ত উৎসাহব্যঞ্জক কমেন্ট পেলে বাকী পাতাগুলিও খুব দ্রুতই হয়তো এখানে ধরা দেবে !!! 

Stats:
Script & Drawings: Achd'e & Jul
Series: Lucky Luke - Book# 77 
Original Release: 2020


Baundule (7 MB)
নির্ঝঞ্ঝাট জীবন (10 Pages) 
   (Size: 5.4 MB)


Sunday, July 24, 2022

বগলামামা - ধুম ধাড়াক্কা

"নদী থেকে উঠে আসে পথ,
নাকি পথ নেমে যায় নদীর ভিতরে ?
    
...তবুও কেন যে মনে মনে  
থেকে যায় কাঁচা রাস্তা, ভাঙ্গা পাড়      
অমল কাদায়        
পথ ও নদীর মধ্যে পড়ে থাকে  
পাখির পালক"
              
( ~ তারাপদ রায় )  


ফিরে আসার মতো ভালো আর কিছু নেই। হারিয়ে যাওয়া সময়, হারিয়ে যাওয়া পরিবেশ, হারিয়ে যাওয়া বন্ধু-প্রেমিকা-স্বজনদের মতোই হারিয়ে যাওয়া গল্প ফিরে পাবার মতো অনাবিল আনন্দ আর মজা আর কিই বা হতে পারে !!

বগলামামা সমগ্র
বগলামামা সমগ্র (দেব সাহিত্য কুটীর -- মূল্য: ৩৭৫ /-)


চীনের দান, করোনা আর লকডাউনের চক্করে পড়ে বেশ কিছুকাল দেশে যাওয়া হয়ে ওঠেনি। কিছুটা ঝোঁকের মাথায়, আর কিছু দরকারী কাজ সারতে গিয়েছিলাম দেশে, এই ২০২২-এর গ্রীষ্মকালে। অনেকেই বলেছিলো আহাম্মুকের মতো ডিসিশন নেওয়া !! মাঝে মাঝে যে সে-কথা মনে আসেনি, তা বললে মিথ্যাচারণ করা হবে। কিন্তু এক বন্ধুর মুখে যখন জানতে পারলাম যে রথযাত্রার সময় দেব সাহিত্য কুটীর থেকে বগলামামা সমগ্র প্রকাশিত হয়েছে, তা শুনে যে কি আনন্দ হয়েছিলো, তা লিখে প্রকাশ করা সম্ভব নয়। 
ফিরে আসা যায় - ফিরে তো আসাই যায় - অন্তত: বগলামামার জন্যে তো ফিরে আসাই যায় - একশো বার যায়, হাজার বার যায় !!  

ধুম ধাড়াক্কা

"বগলামামার কান্ডকারখানা" বইটির প্রচ্ছদ মোটেও ভালো লাগেনি - ভেবেছিলাম আমাদের অতিপ্রিয় নারায়নবাবুর আঁকা অজস্র কোনও ছবি থেকে একটা দারুণ প্রচ্ছদ দেব সাহিত্য কুটীর আমাদের উপহার দেবে। কিন্তু এ কি !!!!!  এক বেমানান, রসকষহীন প্রচ্ছদ ছুঁড়ে দিয়েছে দেব সাহিত্য কুটীর। বোধহয় অনান্য সবকিছু মতোই প্রকাশকের বুদ্ধি-বিবেচনার মানও আজ তলানির দিকে যেতে বসেছে। বইটির দাম ৩৭৫/- টাকা, কিন্তু পাতার কোয়ালিটি মোটেও ভালো নয়। যাই হোক, কি আর করা -- নাই-মামার থেকে কানা-মামা ভালো বলে একটা প্রবাদ আছে !! 

এই বইটি থেকে বগলামামার আরও একটি মজাদার কাহিনী, যা আমার আগে পড়া ছিলো না, "ধুম ধাড়াক্কা" এখানে দেওয়া হলো। কোন পূজাবার্ষিকীতে যে মূল গল্পটি প্রকাশিত হয়েছিলো তা আমার এই মুহূর্তে মনে পড়ছে না --- কেউ যদি সন্ধান দিতে পারেন তো কৃতজ্ঞ থাকবো। 



ধুম ধাড়াক্কা  
(Size: 3 MB)







Saturday, April 29, 2017

কেলভিন আর হবস-এর মজার সব অভিযান ~~~

বাংলা কমিকসের জগতে বৈচিত্রতার বড়োই অভাব, বিশেষ করে ছোটদের মনের মতো কমিকস খুঁজতে গেলে এখনো সেই আদ্যিকালের হাঁদা-ভোঁদা-বাঁটুল-নন্টে-ফন্টে ছাড়া আর কোনও নাম তেমন খুঁজে পাওয়া যায় না। সত্তরের দশকে মাসিক আনন্দমেলার হাত ধরে আমার মতো লাখো লাখো বাঙালি কিশোর এক ভিন্ন স্বাদের ইউরোপিয়ান কমিকসের মুখোমুখি হয় - আর কিছুদিনের মধ্যে কি করে জানিনা "টিনটিন, কুট্টুস, ক্যালকুলাস ক্যাপ্টেন, আর জনসন-রনসন" আমাদের চোখের মণি হয়ে ওঠে। ইন্দ্রজাল কমিকসের বাজার কিন্তু তখন বেশ গরমই ছিলো, কিন্তু টিনটিনের আবেদন ছিলো চূড়ান্তরকম ভাবেই অপ্রতিরোধ্য ও অনস্বীকার্য। ইন্টারনেটের দৌলতে আজ বিদেশী সিনেমা, বই বা কমিকস আমাদের সাধ্য ও নাগালের মধ্যে। তাই আজকালকার দিনের বাচ্চাদের কাছে হাঁদা-ভোঁদা-বাঁটুল আর টিনটিন-অ্যাসটেরিক্স-এর বই পাশাপাশি রাখলে, তারা যে কোনটা বুকে জড়িয়ে ধরবে তা বলাই বাহুল্য !    

আমাদের আজকের পোস্ট অবশ্য টিনটিন বা অ্যাসটেরিক্সকে নিয়ে নয়। সম্প্রতি আমার বিচ্ছু ছেলের হাত ধরে, তার মতো করেই আবার আমার ছোটদের কমিকস পড়া শুরু হয়েছে - আর তার সূত্র ধরেই 'কেলভিন আর হবস'-এর সাথে আমার নতুন করে পরিচয়। এর আগেও অবশ্য আমি বেশ কিছু 'কেলভিন আর হবস'-এর কমিকস পড়েছি, কিন্তু তখন সেই কমিকসের মধ্যে লুকিয়ে থাকা সূক্ষ রসিকতা ও বিদ্রুপ-কৌতুকে ভরা স্ক্রিপ্টের মজা তেমন করে পাই নি। হয়তো বিচ্ছু কমিকসের স্বাদ বুঝতে গেলে একজন বিচ্ছু ছেলেকে অবশ্যই কাছাকাছি রাখতে হয় !!

অ্যামেরিকান প্রখ্যাত কার্টুনিস্ট  বিল ওয়াটারসনের (Bill Watterson) এক আসাধারন সৃষ্টি 'কেলভিন' এবং 'হবস'। কেলভিন অতি দুষ্টু এক ছেলে, বয়স তার ছয় কি সাত। সে কোনও এক জায়গায় শান্ত হয়ে বসে থাকতে পারে না। মা, বাবা কিম্বা স্কুলের শিক্ষকদের কথা তার এক কান দিয়ে ঢুকে অন্য কান দিয়ে বেরিয়ে যায়। কেলভিন বুঁদ হয়ে থাকে তার নিজের অদ্ভুত চিন্তার জগতে, এক ভিন্ন কল্পনার জগতে, যেখানে ঘুরে বেড়ায় ভয়ংকর সব ভিনগ্রহের জীব, কিম্ভুত কদাকার এলিয়েন, ডাইনোসর আর নানান রকমের উদ্ভট সব প্রাণীরা। পড়াশুনোয় সে তেমন কিছু না-করতে পারলেও, পাকা পাকা কথার দাপটে যে কাউকে হার মানাতে পারে। প্রাণবন্ত, দস্যি কেলভিনের সর্ব সময়ের খেলার সাথী হলো একটা জলজ্যান্ত বাঘ - নাম তার 'হবস' (Hobbes) - তার সাথে মিলে কেলভিনের দুরন্তপনা যেন আরও হাজার গুণ বেড়ে ওঠে। তবে সবার কাছে হবস কিন্তু নেহাতই এক তুলোয় ভরা, কাপড়ের খেলনা বাঘ মাত্র। কিন্তু কেলভিন তাকে এক জ্যান্ত, বুদ্ধিমান এবং সেই সাথে ভয়ঙ্কর এক বাঘ হিসাবেই দেখে, আর তার যাবতীয় চিন্তা-ভাবনা-আলোচনা শেয়ার করে সে হবস-এর সাথেই।


Corona Virus Special - April 2020
Corona Virus Special - April 2020

Corona Virus Special - April 2020
Corona Virus Special - April 2020
Corona Virus Special - April 2020
Corona Virus Special - April 2020

Corona Virus Special - April 2020
July 30th, 2017 (from 'The Essential Calvin and Hobbes')

July 8th, 2017 (from 'Lazy Sunday' book)

May 27th, 2017 (from 'The Essential Calvin and Hobbes')

May 20th, 2017 (from 'Lazy Sunday' book)

May 12th, 2017 (from 'Lazy Sunday' book)

May 6th, 2017 (from 'Lazy Sunday' book)

April 30th, 2017 (from 'The Essential Calvin and Hobbes')

April 29th, 2017 (from 'The Essential Calvin and Hobbes')

April 22th, 2017 (from 'Lazy Sunday Book')

April 15th, 2017 (from 'Lazy Sunday' book)
কেলভিনের অভিযানে মাঝে মাঝেই ঘুরে ফিরে আসে একটি ছোট্ট মিষ্টি মেয়ে - নাম সুশান ওরফে "সুশী ডারকিন্স" (Susie Derkins) - সুশী থাকে কেলভিনের পাড়াতেই। তবে সে কেলভিনের মতো কল্পনাপ্রবণ নয় - সে কেলভিনের মতোই বরফ দিয়ে স্নো-ম্যান বানাতে ভালোবাসে এবং কেলভিনকে পছন্দও করে। সুশী কেলভিনের থেকে অনেক স্মার্ট, পিয়ানো বাজাতে পারে এবং পড়াশোনাতেও সে যথেষ্ঠ ভালো। অনেকের মতে সুশী-র চরিত্রটি বিল ওয়াটারসন সৃষ্টি করেছিলেন তাঁর স্ত্রী মেলিসা ওয়াটারসনের ছোটবেলার স্মৃতি থেকে। কেলভিন ও সুশী, দুজনের মায়েরা বন্ধু এবং দরকারে একে অপরকে সাহায্য করে।    

~ ~ ~ ~ ~ ~ ~

এই ব্লগে আমি প্রতি সপ্তাহান্তে একটি করে কেলভিন আর হবসের মজায় ভরপুর স্ক্রিপ্ট বাংলায় অনুবাদ করার প্ল্যান করেছি। কতো দিন সেটা চালিয়ে যেতে পারবো সেটা নির্ভর করছে অফিসের কাজের চাপের উপরে, আর কিছুটা এই ব্লগের পাঠকদের উৎসাহের উপরে... তাই ভালো-মন্দ কিছু কমেন্টসের অপেক্ষায় রইলাম।   

চলুন আজ তাহলে পড়া যাক মজায় ভরপুর কেলভিন আর হবসের কয়েকটি স্ক্রিপ্ট - বাংলাতে... 


Sunday, January 15, 2017

পিওন থেকে প্রকাশক - বাদল বসু

বাদল বসু ছিলেন আনন্দ পাবলিশার্সের প্রাক্তন-প্রকাশক। তাঁর জন্ম ১৯৩৭ সালে ঝাড়গ্রামের দহিজুড়িতে। ছোটবেলা গ্রামের বাড়িতে কাটালেও পরে তিনি চলে আসেন কলকাতায়। শুরু হয় জীবন সংগ্রাম। প্রথম জীবনে তিনি ঘি বিক্রি করেছেন, চালের দোকানে বসেছেন। তারপর ছাপাখানার কাজ। জীবনের চরাই-উৎরাই ধাপে-ধাপে পেরিয়ে একসময় তিনি হয়েছিলেন আনন্দ পাবলিশার্সের প্রকাশক। সেই সূত্রে বিভিন্ন বিখ্যাত মানুষদের সান্নিধ্যে আসা, বিশ্বের বিভিন্ন বইমেলায় অংশগ্রহণ করা এবং প্রকাশক হিসাবে অগুন্তি ভালো ভালো বাংলা বই প্রকাশ করা। 

বাদল বসুর জীবন ছিলো সব দিক থেকেই বর্ণময়। সেই বর্ণময় জীবনে তিনি পেয়েছিলেন সত্যজিৎ রায় থেকে রবিশঙ্কর, নীরদচন্দ্র চৌধুরী, অমর্ত্য সেন, শিবরাম চক্রবর্তী, গৌরকিশোর ঘোষ, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, সমরেশ বসু, শক্তি চট্টোপাধ্যায়, শঙ্খ ঘোষ, গুন্টার গ্রাস, সলমন রুশদির মতো বিভিন্ন বিখ্যাত মানুষের কাছে আসা। তিনি মিশেছেন নানান ধরণের মানুষের সাথে। সাক্ষী থেকে গেছেন প্রচুর ঘটনার। সেই সব অভিজ্ঞতার কথাই তিনি টানটান গদ্যে লিখে গিয়েছেন তাঁর আত্মজীবনীমূলক লেখা, "পিওন থেকে প্রকাশক" গ্রন্থে। যে লেখা পড়লে শুধু সেইসব মানুষজনদের নিজস্ব জগৎকেই চেনা যায় না, সেই সঙ্গে চেনা যায় এক সময়কে। 

প্রথম প্রকাশ: এপ্রিল ২০১৬ (আনন্দ পাবলিশার্স,  মূল্য: ৬০০/-)

বাদল বসু আক্ষরিক অর্থেই ছিলেন এক যুগের সাক্ষী। যে যুগ নিয়ে ছিলো বাঙালির প্রচুর গর্ব। দেশ পত্রিকায় ধারাবাহিক হিসেবে প্রকাশিত হওয়ার সময়ই তাঁর এই লেখা আলোড়ন ফেলে দিয়েছিলো। লেখাটি শেষ করলেও 'দেশ' পত্রিকায় তার সম্পূর্ণ প্রকাশ তিনি দেখে যেতে পারেন নি। ২০১৫ সালে ৯ অক্টোবরে তাঁর জীবনাবসান হয়।    
    
আমাদের আজকের এই পোস্টে রইলো তাঁর সেই বিখ্যাত গ্রন্থটি থেকে শ্রদ্ধেয় সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়-কে নিয়ে লেখা ৩৬ পাতার দুটি পরম সুখপাঠ্য আর্টিকেল।

বইটির মূল্য (৬০০/-) আমার মতে একটু বেশিই করা হয়েছে, বিশেষতঃ বিদেশে বই পাঠানোর মাসুলকে গণ্য করলে মূল্যটি চার অঙ্ক ছাড়িয়ে যায়। কিন্তু এরকম প্রাণোচ্ছল, স্বচ্ছ সরল লেখনী সেই অভিযোগ নিমেষেই মিটিয়ে দেয়।    


পিওন থেকে প্রকাশক   
(SIZE: 8.5 MB)




Friday, December 30, 2016

Secret Agent X-9 - The Egyptian Jewel Case


Samuel Dashiell Hammett (1894-1961), one of the best-known pulp writers of the 30's, was an expert to create the swift, breathless suspense and excitement of great new daily strip.  X-9 was a nameless agent, a combination of a secret agent and private eye. He works for a secret agency that specializes in covert operations.

Commissioned by the King Features Syndicate as an attempt to cash in on the popularity of Chester Gould's Dick Tracy, with artwork by Flash Gordon's Alex Raymond, Secret Agent X-9 ran from January 1934 to late 1935.

Artist Alex Raymond was a busy man in the early days of the X-9 strip. He was producing three strips: X-9 on a daily basis, and Flash Gordon Sunday with a Jungle Jim topper.

Hammett's authorship of X-9 was ended in 1935. Raymond is said to have temporarily filled the gap until another famous mystery writer, Leslie Charteris briefly took over the scenario. Then, Raymond too, left the strip to  concentrate of his classic Flash Gordon. He was to create still another strip, Rip Kirby, after returning from his stint in the marines during WWII. All but Jungle Jim are still in production today.


The stark, stirring drama, grim humor and baffling mystery made Hammett's detective novels favorites of all America. The added thrill of SEEING the story in PICTURES bring readers the action with vivid, gripping realism.

There has never been a sleuth like Secret Agent X-9. Read here one of the best written, vintage, crime novels...   

~~~  Happy New Year 2017 ~~~


Pagan's Plight (67 MB)
The Egyptian Jewel Case
   (Size: 16 MB)


Saturday, December 10, 2016

টিনটিন ও দু'হাজারি নোট

২০১৬ সালের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিন ছিলো ৮ নভেম্বর। বছরের শেষ প্রান্তে এসে দেশের অর্থনীতির মোড় ঘুরে গিয়ে ছিলো এই দিন থেকেই। এই দিন, রাত আটটা নাগাদ বেশ নাটকীয় ভাবেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিলের কথা ঘোষণা করেন। দেশজুড়ে হৈচৈ পড়ে যায় - শুরু হয় বেনামে পুরনো নোট দিয়ে সোনা কেনা। ইন্ডিয়ান বুলেটিন এ্যান্ড জুয়েলারস অ্যাসোসিয়েশন (আইবিজেএ)-এর একটি রিপোর্ট বলছে, সেই রাতে মাত্র ৭ ঘণ্টায় ১৫ হাজার কেজি সোনা বিক্রি হয়েছে! এটি নজিরবিহীন বলে জানাচ্ছে খোদ আইবিজিএ। হিসাব বলছে, ৮ নভেম্বর রাত ৮টা থেকে পরের দিন অর্থাৎ ৯ নভেম্বর রাত ৩টে পর্যন্ত রেকর্ড ১৫ টন সোনা বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছে আইবিজেএ। যার বাজার মূল্য প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা। মোট সোনার অর্ধেক বিক্রি হয়েছে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ এবং পঞ্জাব থেকে। তাদের আরও দাবি, দেশজুড়ে ৬ লক্ষের মধ্যে মাত্র এক হাজার ব্যবসায়ী সোনা বিনিময় করতে ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট নিয়েছিলেন সেই রাতে।

এদিকে পাঁচশো ও হাজারের নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করে চলেছেন বিরোধীরা - যেমন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন, "কাঁধ চওড়া হলেই প্রধানমন্ত্রী হওয়া যায় না, রাবণেরও কাঁধ চওড়া ছিল। ও সব দেখানোর ইচ্ছা থাকলে সিনেমা বা যাত্রা করাই ভালো !!" অর্থমন্ত্রী জেটলি দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে এক অনুষ্ঠানে  বলেন, ‘‘নোট বাতিলের দায় বহনের জন্য চওড়া কাঁধ রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।’’ ঠারেঠোরে তিনি বুঝিয়ে দেন, নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত একা প্রধানমন্ত্রীর। এর কুফলও ভোগ করবেন তিনি একাই। যা শুনে দলের আরেক নেতা বলেন, ‘‘সকাল থেকে এক আডবাণী সামাল দিতেই জেরবার, বিকেলে আবার নতুন বোঝা !’’

অন্যদিকে টাইম ম্যাগাজিনের অনলাইন সমীক্ষার বিচারে ২০১৬-র ‘পার্সন অব দ্য ইয়ার’ নির্বাচিত হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অনলাইনের সমীক্ষা শেষে দেখা যায় ১৮ শতাংশ ভোট পেয়ে বিশ্বের তাবড় তাবড় ব্যক্তিত্বকে পিছনে ফেলে দিয়েছেন মোদী। ৭ শতাংশ ‘ইয়েস’ ভোট পেয়ে মোদীর পরেই রয়েছেন বারাক ওবামা, ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং উইকিলিক-এর প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। ভোটের হারে মোদীর অনেক পিছনে ফেসবুকের সিইও মার্ক জুকেরবার্গ। তিনি পেয়েছেন মাত্র ২ শতাংশ ভোট। আর হিলারি ক্লিন্টন পেয়েছেন ৪ শতাংশ ভোট।২০১৪-তেও টাইমের ‘রিডার্স পোল’-এ ১৬ শতাংশ ভোট পেয়ে সেরা ব্যক্তিত্বের মুকুট জিতেছিলেন মোদী। 

সুতরাং ভালো হোক বা মন্দ হোক এ মুহূর্তে দেশের যাবতীয় খবরের মূলে রয়েছেন মোদী ও তাঁর বাজেয়াপ্ত করা সেই পাঁচশো ও হাজারের নোট বাতিলের কথা। তারই সাথে পাল্লা দিয়ে চলেছে মোদীকে নিয়ে অজস্র কৌতুক, ব্যাঙ্গাত্মক ছড়া, হাসির কার্টুন ও কমিকস স্ক্রিপ্ট। আমাদের আজকের এই পোস্টে তুলে ধরা হলো সেই রকমেই বেশ কয়েকটি মজার কার্টুন। এগুলি করা হয়েছে নিছকই হাস্যরস উদ্রেকের উদ্দেশ্যে - কাউকে হেয়জ্ঞান করা, ছোটো করা কিম্বা প্রধানমন্ত্রীর কার্যকলাপের কোনোরকম সমালোচনা করার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা আমাদের নেই... 


Source: Tintin in Tibet



Source: Prisoners of the Sun





Source: Prisoners of the Sun (unofficial)




Source: Land of Black Gold



Source: Red Rackham's Treasure



Source: Red Rackham's Treasure
Concept:  Achyuta Das



Source: The Seven Crystal Balls
Concept:  Yubanaswa Chakraborty





Source: The Crab with the Golden Claws



Source: Tintin in Tibet



Source: The Seven Crystal Balls


To be continued...


Sunday, November 20, 2016

Maus II: A Survivor's Tale

Art Spiegelman’s “Maus,” the most unconventional great book yet written about the Holocaust, the one that turned Nazis into cats and Jews into mice and Poles into pigs. It was the first comic book to win a Pulitzer Prize, and it changed the way comics — the term seems wrong for “Maus” — are viewed in America. It proved they could be serious art.

Art Spiegelman doesn't draw comics. It might be clever to say he draws tragics, but that would be inaccurate too. Like its predecessor, "Maus: A Survivor's Tale II. And Here My Troubles Began" is a serious form of pictorial literature, sustaining and even intensifying the power of the first volume. 

The author and artist Art Spiegelman continues the story of the character Artie Spiegelman, who is trying to reconstruct in cartoon form the lives of his father, Vladek, and his mother, Anja, both survivors of Auschwitz. In 1968 Anja committed suicide, and the first part of "Maus" ends with the young Artie calling his father a "murderer" for having destroyed Anja's wartime memoirs without even having read them. 

With a distinctly post-modern flourish, Mr. Spiegelman reminds us throughout his text that "Maus II" is a narrative about incidents that, in many of their details, may be incommunicable. One might conclude that a "comic strip" portraying the Jews as mice, the Germans as cats, the Poles as pigs, the French as frogs, the Americans as dogs and the Swedes as reindeer would divert the reader from a meaningful pursuit of Artie's troubled questions -- but this is not at all the case.

The "meaning" is in the effort, not the results, and the animal characters create a distancing effect that allows us to follow the fable without being drowned in its grim, inhuman horrors. Tensions abound: Vladek has forgotten little of his ordeal, but he doesn't like to think about it and he only speaks of it at Artie's prodding. 


Maus II: A Survivor's Tale (Sep 1992)


But Maus is not about rounding off the edges of the past. It’s an attempt to understand a man and his place in history through small, evocative drawings. Spiegelman’s mice are no Disney concoctions — their blocky solemnity defies cuteness. They’re intentional abstractions, meant to put off pathos until we can take in the details of what happened. Then, and only then, are we allowed to get closer. At the very end of this brilliant memoir, Spiegelman prints a photo of his father in 1945 — and with one devastatingly simple step leads us back into the world of man. 


Read here the powerful, pantheon graphic novel by Spiegelman about the Holocaust, which revolves around his survivor father's experiences, and won a 1992 Pulitzer Prize.


   >> MAUS II (Size: 13.7 MB)