২০১৬ সালের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিন ছিলো ৮ নভেম্বর। বছরের শেষ প্রান্তে এসে দেশের অর্থনীতির মোড় ঘুরে গিয়ে ছিলো এই দিন থেকেই। এই দিন, রাত আটটা নাগাদ বেশ নাটকীয় ভাবেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিলের কথা ঘোষণা করেন। দেশজুড়ে হৈচৈ পড়ে যায় - শুরু হয় বেনামে পুরনো নোট দিয়ে সোনা কেনা। ইন্ডিয়ান বুলেটিন এ্যান্ড জুয়েলারস অ্যাসোসিয়েশন (আইবিজেএ)-এর একটি রিপোর্ট বলছে, সেই রাতে মাত্র ৭ ঘণ্টায় ১৫ হাজার কেজি সোনা বিক্রি হয়েছে! এটি নজিরবিহীন বলে জানাচ্ছে খোদ আইবিজিএ। হিসাব বলছে, ৮ নভেম্বর রাত ৮টা থেকে পরের দিন অর্থাৎ ৯ নভেম্বর রাত ৩টে পর্যন্ত রেকর্ড ১৫ টন সোনা বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছে আইবিজেএ। যার বাজার মূল্য প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা। মোট সোনার অর্ধেক বিক্রি হয়েছে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ এবং পঞ্জাব থেকে। তাদের আরও দাবি, দেশজুড়ে ৬ লক্ষের মধ্যে মাত্র এক হাজার ব্যবসায়ী সোনা বিনিময় করতে ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট নিয়েছিলেন সেই রাতে।
এদিকে পাঁচশো ও হাজারের নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করে চলেছেন বিরোধীরা - যেমন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন, "কাঁধ চওড়া হলেই প্রধানমন্ত্রী হওয়া যায় না, রাবণেরও কাঁধ চওড়া ছিল। ও সব দেখানোর ইচ্ছা থাকলে সিনেমা বা যাত্রা করাই ভালো !!" অর্থমন্ত্রী জেটলি দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘‘নোট বাতিলের দায় বহনের জন্য চওড়া কাঁধ রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।’’ ঠারেঠোরে তিনি বুঝিয়ে দেন, নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত একা প্রধানমন্ত্রীর। এর কুফলও ভোগ করবেন তিনি একাই। যা শুনে দলের আরেক নেতা বলেন, ‘‘সকাল থেকে এক আডবাণী সামাল দিতেই জেরবার, বিকেলে আবার নতুন বোঝা !’’
অন্যদিকে টাইম ম্যাগাজিনের অনলাইন সমীক্ষার বিচারে ২০১৬-র ‘পার্সন অব দ্য ইয়ার’ নির্বাচিত হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অনলাইনের সমীক্ষা শেষে দেখা যায় ১৮ শতাংশ ভোট পেয়ে বিশ্বের তাবড় তাবড় ব্যক্তিত্বকে পিছনে ফেলে দিয়েছেন মোদী। ৭ শতাংশ ‘ইয়েস’ ভোট পেয়ে মোদীর পরেই রয়েছেন বারাক ওবামা, ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং উইকিলিক-এর প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। ভোটের হারে মোদীর অনেক পিছনে ফেসবুকের সিইও মার্ক জুকেরবার্গ। তিনি পেয়েছেন মাত্র ২ শতাংশ ভোট। আর হিলারি ক্লিন্টন পেয়েছেন ৪ শতাংশ ভোট।২০১৪-তেও টাইমের ‘রিডার্স পোল’-এ ১৬ শতাংশ ভোট পেয়ে সেরা ব্যক্তিত্বের মুকুট জিতেছিলেন মোদী।
সুতরাং ভালো হোক বা মন্দ হোক এ মুহূর্তে দেশের যাবতীয় খবরের মূলে রয়েছেন মোদী ও তাঁর বাজেয়াপ্ত করা সেই পাঁচশো ও হাজারের নোট বাতিলের কথা। তারই সাথে পাল্লা দিয়ে চলেছে মোদীকে নিয়ে অজস্র কৌতুক, ব্যাঙ্গাত্মক ছড়া, হাসির কার্টুন ও কমিকস স্ক্রিপ্ট। আমাদের আজকের এই পোস্টে তুলে ধরা হলো সেই রকমেই বেশ কয়েকটি মজার কার্টুন। এগুলি করা হয়েছে নিছকই হাস্যরস উদ্রেকের উদ্দেশ্যে - কাউকে হেয়জ্ঞান করা, ছোটো করা কিম্বা প্রধানমন্ত্রীর কার্যকলাপের কোনোরকম সমালোচনা করার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা আমাদের নেই...
এদিকে পাঁচশো ও হাজারের নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করে চলেছেন বিরোধীরা - যেমন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন, "কাঁধ চওড়া হলেই প্রধানমন্ত্রী হওয়া যায় না, রাবণেরও কাঁধ চওড়া ছিল। ও সব দেখানোর ইচ্ছা থাকলে সিনেমা বা যাত্রা করাই ভালো !!" অর্থমন্ত্রী জেটলি দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘‘নোট বাতিলের দায় বহনের জন্য চওড়া কাঁধ রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।’’ ঠারেঠোরে তিনি বুঝিয়ে দেন, নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত একা প্রধানমন্ত্রীর। এর কুফলও ভোগ করবেন তিনি একাই। যা শুনে দলের আরেক নেতা বলেন, ‘‘সকাল থেকে এক আডবাণী সামাল দিতেই জেরবার, বিকেলে আবার নতুন বোঝা !’’
অন্যদিকে টাইম ম্যাগাজিনের অনলাইন সমীক্ষার বিচারে ২০১৬-র ‘পার্সন অব দ্য ইয়ার’ নির্বাচিত হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অনলাইনের সমীক্ষা শেষে দেখা যায় ১৮ শতাংশ ভোট পেয়ে বিশ্বের তাবড় তাবড় ব্যক্তিত্বকে পিছনে ফেলে দিয়েছেন মোদী। ৭ শতাংশ ‘ইয়েস’ ভোট পেয়ে মোদীর পরেই রয়েছেন বারাক ওবামা, ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং উইকিলিক-এর প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। ভোটের হারে মোদীর অনেক পিছনে ফেসবুকের সিইও মার্ক জুকেরবার্গ। তিনি পেয়েছেন মাত্র ২ শতাংশ ভোট। আর হিলারি ক্লিন্টন পেয়েছেন ৪ শতাংশ ভোট।২০১৪-তেও টাইমের ‘রিডার্স পোল’-এ ১৬ শতাংশ ভোট পেয়ে সেরা ব্যক্তিত্বের মুকুট জিতেছিলেন মোদী।
সুতরাং ভালো হোক বা মন্দ হোক এ মুহূর্তে দেশের যাবতীয় খবরের মূলে রয়েছেন মোদী ও তাঁর বাজেয়াপ্ত করা সেই পাঁচশো ও হাজারের নোট বাতিলের কথা। তারই সাথে পাল্লা দিয়ে চলেছে মোদীকে নিয়ে অজস্র কৌতুক, ব্যাঙ্গাত্মক ছড়া, হাসির কার্টুন ও কমিকস স্ক্রিপ্ট। আমাদের আজকের এই পোস্টে তুলে ধরা হলো সেই রকমেই বেশ কয়েকটি মজার কার্টুন। এগুলি করা হয়েছে নিছকই হাস্যরস উদ্রেকের উদ্দেশ্যে - কাউকে হেয়জ্ঞান করা, ছোটো করা কিম্বা প্রধানমন্ত্রীর কার্যকলাপের কোনোরকম সমালোচনা করার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা আমাদের নেই...
![]() |
Source: Tintin in Tibet |
![]() |
Source: Prisoners of the Sun (unofficial) |
![]() |
Source: Land of Black Gold |
![]() |
Source: Red Rackham's Treasure |
![]() |
Source: Red Rackham's Treasure Concept: Achyuta Das |
![]() |
Source: The Crab with the Golden Claws |
![]() |
Source: The Seven Crystal Balls |
To be continued...
দারুন কুন্তলদা ...............।। শেশ তিনটে দুধর্ষ ............
ReplyDeleteআঃ হাঃ ...দারুন পোস্ট ।
ReplyDeletejust awesome, Kuntalda!!!! anobodyo.....aar kono bhasha khuje pachhi na prosongsa korar jonyo
ReplyDeleteদারুন হয়েছে কুন্তলবাবু। তবে নোট বাতিল প্রসঙ্গে শত কষ্ট হলেও মোদীজির সাথে আছি।
ReplyDeleteঅসাধারণ সংগ্রহ। এত কস্ট করে সংগ্রহ করার জন্য ধন্যবাদ।
ReplyDeleteআমার ইবুক সংগ্রহশালা থেকে ঘুরে আসতে পারেন http://www.bnebookspdf.com/