Friday, July 31, 2015

সব খেলার সেরা গল-দের 'তুমি ফুটবল'

সত্তরের দশকে ফুটবল খেলা নিয়ে সেই তুমুল হাসির বাংলা ছায়াছবি, 'ধন্যি মেয়ে'-র কথা নিশ্চয় যেকোনও বাঙালির মনে আছে। সিনেমাটি যেমন পপুলার হয়েছিলো, তেমনি পপুলার হয়েছিলো মান্না দের গলায় গাওয়া সেই ছায়াছবির গানটি: সব খেলার সেরা বাঙালির 'তুমি ফুটবল'... গানটা শুনলেই সেই সময়ে শরীরের মধ্যে কেমন যেন উত্তেজনার একটা ভাব চলে আসতো !! পাড়ার ক্লাবে ক্লাবে তখন ফুটবল খেলাটা একটা খুব নিয়মিত একটা ব্যাপার ছিলো। সেই সত্তরের দশকেই পূজাবার্ষিকীতে প্রকাশিত হলো 'ফুটবল খেলা' নিয়ে মতি নন্দীর লেখা অসাধারণ এক প্রেরণামূলক উপন্যাস, 'স্ট্রাইকার' - খুব সম্ভবত: আনন্দমেলা পূজাবার্ষিকীতে। কিশোর উপন্যাসের মধ্যে লুকিয়ে থাকা মিষ্টি প্রেমের ছোঁয়া সেই বয়সে আমাদের মন ছুঁয়ে গিয়েছিলো। সেই সময়কার বাঙালিদের খেলার জগতের গোটাটাই জুড়ে ছিলো ফুটবল, আর ফুটবল। গাভাসকার-কপিলদেবরা-অমরনাথেরা কিন্তু তখনও ছিলেন, কিন্তু তাঁরা কখনোই মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গলের উন্মাদনাকে ছাপিয়ে বড়ো হয়ে উঠতে পারেন নি। 

বাংলা ফুটবলের সেই স্বর্নযুগ বহুদিনই হলো বিদায় নিয়েছে - আজ কি মোহনবাগান, কি ইস্টবেঙ্গল, সব ক্লাবেই বাইরে থেকে আসা, ঝড়তি-পড়তি বিদেশী প্লেয়ারদের রমরমা। বাঙালিরা অবশ্য এখনও ফুটবল খেলে, কিন্তু ম্যাচ জেতানোর জন্যে কোচ, ক্লাব-কর্তারা স্রেফ বিদেশীদের উপরই ভরসা রাখেন। আর আমাদের ন্যাশনাল টিমেও আজ বাঙালি প্লেয়ারদের সংখ্যা দৃষ্টিকটু ভাবে কমে এসেছে। আধুনিকমনস্ক বাঙালিরা আজকাল ফুটবল ছেড়ে ক্রিকেট খেলাকেই আঁকড়ে ধরেছেন, এমন কি দেশী ক্লাবের খেলা দেখার চেয়ে বার্সোলানা, জুভেন্টাস বা ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের খেলা দেখতে মুখিয়ে থাকেন!! কিন্তু বিদেশী কোচেদের কাছে ট্রেনিং, আধুনিক সরঞ্জামের সুব্যবস্থা, বাইরে খেলতে যাওয়ার সুযোগ, ইত্যাদি থাকা স্বত্তেও ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে ভারতীয় ফুটবলের অবস্থান শোচনীয়। নব্বইয়ের দশকেও আমরা র‍্যাঙ্কিংয়ে ১০০-র কাছাকাছি থাকতাম, যেটা বাড়তে বাড়তে ইদানিং ১৫০-১৭০-এর মধ্যে ঘোরাফেরা করছে!! আশেপাশের সবাই এগিয়ে গেছে, থমকে গেছি শুধু আমরাই...


অ্যাস্টেরিকস ও তার বন্ধুরা (2015)

দু:খের কথা বাড়িয়ে আর লাভ নেই - এবার বরং একটু হাসির কথায় আসা যাক। ফুটবল খেলার জন্ম যে ঠিক কবে হয়েছিলো তার কোনো সুস্পষ্ট প্রমান না থাকলেও, জানা গেছে যে খ্রীস্ট্রের জন্মের আগের তৃতীয়, কি দ্বিতীয় শতাব্দী থেকে ফুটবলের মতো একধরণের খেলার প্রচলন শুরু হয়েছিলো। প্রাচীনকালে গ্রীক ও রোমানরা বল নিয়ে নানান ধরণের খেলা খেলতো  - তার মধ্যে পা-দিয়ে বল খেলাও ছিলো। গোসিনির লেখা গল-দের গল্পের সময়কাল দেখানো হয়েছে খ্রীস্ট্রের জন্মের ৫০ বছর আগে। সুতরাং ধরে নেওয়া যেতেই পারে যে গল-রাও নিশ্চয় ফুটবল খেলতো, যদিও গোসিনি তাঁর লেখা গল্পের কোথাও সে'কথা বলে যান নি। কিন্তু, বলেন নি বলেই যে গল-রা ফুটবল খেলতো না, সেকথা কিন্তু জোর দিয়ে বলা যাবে না - অন্তত: আজকের পর থেকে তো নয়ই !!   

সত্যি কথা হলো কি ফুটবলের মহিমায় মুগ্ধ হয়ে শেষমেষ গলেরাও একসময় রোমানদের পেটানোর পাশাপাশি ফুটবল খেলা শুরু করে দেয়! কি বিশ্বাস হচ্ছে না তো ? না হবারই কথা, কারণ এটা কোনো পাবলিশড ইংরাজি বা বাংলা অ্যাস্টেরিকসের গল্পে পাওয়া যাবে না। কিন্তু তাতে কি যায় আসে ? বিশেষ করে 'গল' আর 'গোল'-এর মধ্যে তফাৎ তো বেশি কিছু নেই ! তো, চলুন - শুরু করে দেওয়া যাক এই সপ্তাহের পড়াশুনা !!   

A group of writers and artists, from different cultures and backgrounds, across the world, paid a tribute to Albert Uderzo on his 80th Birthday by contributing to the album, "Asterix Et Ses Amis".  Here I have made a humble attempt to translate couple of stories from that collection. In other words you may consider this to be my tribute to one of the greatest Comics Writers, world have ever seen so far....

*** Thanks to "Rupak Ghosh" for converting the Cover page of this Album in a stylish way.


Asterix and the Magic Carpet (29 MB)
অ্যাস্টেরিকস ও
তার বন্ধুরা (17 MB)









Saturday, July 25, 2015

নক্ষত্রলোকের দেবতাত্মা - নারায়ন সান্যাল

'প্রব্যাবিলিটি' বা সম্ভাব্যতার বিচারে আজ পৃথিবীর বিজ্ঞানীদের মধ্যে এক বিরাট অংশ বিশ্বাস করেন যে বিপুলা এ বহির্বিশ্বে আমাদের মতো, এবং আমাদের থেকে বহু, বহুগুণ উন্নত জীবেরা আছে। Swiss লেখক এরিক ভন দানিকেন তাঁর রচিত একাধিক গ্রন্থে বলে গিয়েছেন যে বহির্বিশ্বের সেই উন্নততর সভ্যতার জীবেরা, যাঁদেরকে হয়তো আমরা ঈশ্বর রূপে মেনে এসেছি, প্রাগৈতিহাসিক যুগে কোনো একসময়ে পৃথিবীতে এসেছিলেন। আমাদের সৌরমন্ডলের সেরা গ্রহ, অর্থাৎ পৃথিবীর বাসিন্দাদের সাথে বহির্বিশ্বের সেই উন্নততর জীবদের সাক্ষাকে মূলধন করে কথাসাহিত্যিকেরা বহুযুগ ধরেই রচনা করে চলেছেন বিজ্ঞানভিত্তিক হরেক রকমের গল্প-উপন্যাস, কমিকস - হয়ে চলেছে অদ্ভুত অদ্ভুত সায়েন্স-ফিকশন ছায়াছবি।  

বর্তমান যুগের সায়েন্স-ফিকশন মুভিগুলির মধ্যে, English-American ফিল্ম ডিরেক্টর Christopher Nolan-এর সাম্প্রতিক ছায়াছবি: Interstellar আমাদের যুক্তিবাদী, বিচার-বুদ্ধি সম্পন্ন মস্তিষ্ককে ধরে বেশ ভালোমতো ঝাঁকিয়ে দিয়ে গেছে বেশ কয়েকটি ব্যাপারে। তাদের মধ্যে অবশ্যই অন্যতম হলো 'Tesseract', আর কি করে ছবিটির নায়ক Cooper (এবং তাঁর সাথে রোবট TARS) এই 'Tesseract'-এর মধ্যে গিয়ে হাজির হলো। এতোদিন ধরে শুধু 'Tesseract'-এর দ্বিমাত্রিক ছবিই নানান বইয়ের পাতায় দেখে এসেছি, কিন্তু এই ছবিতে পরিচালক ফিল্মের পর্দায় সেটির সার্থক রুপায়ন ঘটিয়েছেন। অবশ্য Fifth Dimensional সেই সব Super beings-রা কেনই বা Cooper-কে বাঁচিয়ে রাখলো, আর কি করেই বা Cooper ব্ল্যাক-হোলে পড়ে যাবার প্রচন্ড আঘাতের হাত থেকে বেঁচে গেলো, সেসব ভাবার ভার পরিচালক সুকৌশলে স্রেফ দর্শকদের হাতে ছেড়ে দিয়েছেন।    

নক্ষত্রলোকের দেবতাত্মা - নারায়ন সান্যাল
প্রথম প্রকাশ: দেজ পাবলিশার্স (Nov, 1975)

সিনেমাটি দেখতে দেখতে ভাবছিলাম আমাদের দেশের মেগা-মেগা, বাহুবলী পরিচালকেরা এরকম একটা সিনেমা করার সাহস কেন দেখাতে পারেন না !! ছবি তৈরির বাজেট, বা টেকনিক্যাল লিমিটেশান-এর অজুহাত দেবার বয়স, এবং সময় আমরা বহুকাল আগেই পেরিয়ে এসেছি। 

'Tesseract'-এর কথা প্রথম পড়েছিলাম বহুবছর আগে প্রয়াত, যশস্বী লেখক নারায়ণ সান্যালের লেখা 'নক্ষত্রলোকের দেবতাত্মা' বইটিতে। আমার মনে হয়না সেই বইটি ছাড়া বাংলাতে লেখা অন্য কোনো কল্পবিজ্ঞানের বইতে 'Tesseract'-এর উল্লেখ আছে। থাকলেও, অন্তত: আমার তা পড়া হয়ে ওঠেনি। 'Space-Time Continuum'-এর জটিল গাণিতিক-সূত্র নিয়ে ইংরাজি ভাষায় লেখা একাধিক বই থাকলেও, বাংলা গল্পের বইতে এ জাতীয় আলোচনা তেমন দেখা যায় না। এই পোস্টে সেই বাংলা বইটি থেকে, সব থেকে ইন্টারেস্টিং একটি অধ্যায় এখানে দেওয়া হলো। কৌতুহলী কিছু বাংলাপ্রেমী পাঠকের জানার আকাঙ্খা হয়তো সামান্য হলেও, কিছুটা মিটবে তাতে...


Walk The Plank (1.6 MB)
নক্ষত্রলোকের দেবতাত্মা
(Size: 15 MB)








Sunday, July 19, 2015

'বাউন্ডুলে' (Maverick) - লাকি লুক( Book# 50)

আজ থেকে বছর বিশ-তিরিশেক আগে মানুষের জীবন ছিলো অনেক বেশি সহজ সরল। সাধারণ মানুষের ঝগড়া-ঝাঁটি, বিবাদ-অশান্তি-কলহের কারণগুলোও ছিলো খুব সাধারণ মাপের, এবং তা অনেক সহজেই সমাধান হয়ে যেতো। আজকালকার মতো অ্যাতো নৃশংস, জঘন্য অপরাধ বলতে গেলে প্রায় হতোই না - আমি অন্তত: আমার জীবনের প্রথম কুড়ি বছরে যুদ্ধ ছাড়া অন্য কোন নৃশংস ঘটনার কথা তেমন শুনিনি। 

সেই সরলতার প্রভাব গিয়ে পৌঁছেছিলো গান-সিনেমা-নাটকের পাশাপাশি গল্প-কমিকসের মধ্যেও। কি সাধারণ, তুচ্ছাতিতুচ্ছ ঘটনা নিয়ে কতো দারুন সুন্দর, সুন্দর গল্পের জন্ম হয়েছিলো সে সময়কার দিনগুলোতে। ট্যেকনোলজি হয়তো দিয়েছে আমাদের অনেক 'Cool & advanced' গ্যাজেটস, কিন্তু কেড়ে নিয়েছে তার থেকে অনেক, অনেক বেশি কিছু। অথচ আশ্চর্য্যের বিষয় হলো সেই সময়ে আমরা খালি ভাবতাম যে কতো তাড়াতাড়ি আমরা 'বড়ো' হতে পারবো! তখন যে সময়টাকে আমার 'বিরক্তিকর' বলে মনে হতো, আজ পিছু ফিরে সেই সময়টা রোমন্থন করে পুলকিত হই - হয়তো হয়েই চলবো, আজ থেকে অনেক বছর পরেও। 

এই পোস্টে আশির দশকের লাকি লুকের তেমনই সাধারণ এক ছোট্ট গল্প বাংলায় অনুবাদ করে দেওয়া হলো।  

বাউন্ডুলে (Maverick) - Book# 50

বেলজিয়ান কমিকস আর্টিস্ট মরিসের (Maurise De Bevere, 1923-2001) আঁকা ছবিগুলির মধ্যে কথাবার্তা ছাড়াই গল্প বলার প্রবণতা লক্ষ্য করা যেতো, যার ফলে পাঠকের কাছে তাঁর আঁকা ছবিগুলো ঠিক যেন Movie-র ফ্রেম বলে মনে হতো --- চোখ দিয়ে দেখার মধ্যেই পাঠক বুঝে যেতো কি ঘটে চলেছে। 'Basic Four Color Tradition'-এর সীমাবদ্ধতার মধ্যে থেকেও যে কি অসাধারণ, রঙীন কমিকস আঁকা যায়, তা লাকি লুকের এই গল্পগুলি পড়লে বোঝা যায়।   

Stats:
Script & Drawings: René Goscinny & Morris
Series: Lucky Luke - Book# 50 (Seven stories, 44 pages)
Original Release: 1986

Baundule (7 MB)
বাউন্ডুলে - লাকি লুক 
   (Size: 7 MB)


Sunday, July 12, 2015

Asterix & Obelix's Birth Day (The Golden Book)


In my childhood days most of the parents would never buy toys, rather buy books and sometime puzzles. Books were considered as a high-esteemed, lovable gifts for any social occasions like Birthday, Wedding, Thread Ceremony... even as Puja gifts. I did not grow up as a hardcore comic book fan, but I was in deep love with IJC, Tintin and later Asterix comic stories since my childhood days.

For 50 years the Asterix comic strips have provoked readers belly-laughs with its satire and slapstick, while weaving in thoughtful commentary on history, politics, and culture. In spite of the contemporary nods, most Asterix books run to timeless formulas. One standard plot is that the Romans have come up with some ingenious plan to destroy the village, whether it’s by corrupting the Gauls or starving them of magic potion. 
Asterix & Obelix's Birth Day
Asterix Book# 34 (2009)
Fifty years on from Asterix’s debut in Pilote magazine, this 34th Asterix album was released as part of the jubilee celebrations. But this was more of a homage to the beloved characters, and the fantastic series. Twelve birthday-related ‘short stories’ show various villagers and guests proposing different ways to celebrate the birthday - everything from Cacofonix’s parodies of famous album covers, to Cleopatra forcing Caesar to provide a gift. 

It’s fun, but the Golden Book will make you smile rather than laugh out loud - the humor did not really match the layers and high standards of past years, or the continued vibrancy and brilliance of Uderzo’s illustrations. 


The story may be a little weak, but this book was not drawn for the story. It is a great tribute to 50 years of Asterix. The humor is a little subtle in this book, but the illustrations in this book are outstanding.

Friday, July 10, 2015

"নেকলেস কান্ড" - ব্লেক ও মর্টিমার

মুন্ধ: 
আবারও ব্লেক-মর্টিমার, আবারও প্রায়-অক্ষম বঙ্গানুবাদ - অনেকটা ঠিক "ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো"-র মতো করেই !! কিন্তু সেটাই বোধ হয় "বাঙালিদের" বিশেষত্ব  - at least আগেকার দিনের বাঙালিদের তো বটেই  !! 

হার্জের লেখা টিনটিনের "ক্যালকুলাসের কান্ড"-এর আদলে এই অ্যাডভেঞ্চার কাহিনীর নামকরণ করা হলো: "নেকলেস কান্ড"। প্রখ্যাত বেলজিয়ান আর্টিস্ট "এডগার পি. জ্যাকবস"-এর লেখা ব্লেক-মর্টিমার সিরিজের দশম কমিকস বই হলো, "The Necklace Affair" - বই হিসাবে প্রকাশিত (1967) হবার আগেই 1965 সালে, "টিনটিন" ম্যাগাজিনে এই কমিকসটি প্রকাশিত হয়ে যায়। পরবর্তীকালে "Cinebook Publishers"-এর সৌজন্যে এই গল্পটি ইংরাজি ভাষায় প্রকাশিত হয় 2010 সালের জানুয়ারীতে। তার অনেক পরে, বাংলাতে এটা প্রকাশিত হয়... ইয়ে... তা তো আপনারা ভালো করেই জানছেন এখন !!! গল্পের প্রচ্ছদপত্রটি ভাষান্তরে সহায়তা করেছেন "রূপক ঘোষ" মহাশয় - এই ব্লগের সূত্রেই আলাপ আমার তাঁর সাথে । 

গল্পের মান অনুযায়ী অনেকেই বলেন যে এটি হলো ব্লেক-মর্টিমার সিরিজের অন্যতম দূর্বল গল্প, যদিও আমি তা মনে করিনা। বরং আমার মনে হয় এটাই ব্লেক-মর্টিমার সিরিজের সবথেকে ভালো "ক্রাইম স্টোরি"। আগা-গোড়া টানটান উত্তেজনায় ভরপুর, বিড়াল-ইঁদুরের লুকোচুরি খেলায় ভরা, গতিময়, এক সুন্দর ডিটেকটিভ কমিকস। আর আর্টওয়ার্কের গভীরতা, কিম্বা গল্পের ছবিতে আঁকা স্থান-কাল-পাত্র, বিষয়বস্তুদের মধ্যে অবিশ্বাস্য বাস্তবতার ছোঁয়া, সেগুলোর কথা না'হয় ছেড়েই দিলাম !  রঙের দিক দিয়েও দেখা যায় গতানুগতিক "Four-Color Palette"-এর বদলে এক নতুন ধরনের রঙেদের বিচিত্র সমাহার ঘটেছে এই সিরিজের গল্পগুলিতে। সত্যি কথা বলতে কি আজকালকার দিনের কম্পিউটার গ্রাফিক্সের স্নেহ-ধন্য হয়ে আঁকা, নব্যযুগের "গ্রাফিক নভেল"-দের চেয়ে আমি কয়েক যুগ আগেকার, মান্ধাতা আমলের এইসব Franco-Belgian Comics চড়া দাম দিয়ে কিনতেও একপায়ে রাজী থাকবো !!


গল্পের সূত্র: 
মহিমান্বিত রাণী "ম্যারী অ্যান্টোইনেট"-এর বহুমূল্য, রত্নখচিত নেকলেসটি বহু শতাব্দী আগেই ধ্বংস হয়ে গিয়েছিলো - এইটাই ছিলো ঐতিহাসিকদের বিশ্বাস। কিন্তু সম্প্রতি স্যার হেনরি উইলিয়ামসন, ফ্রান্সে অধিষ্ঠিত এক ব্রিটিশ ধনকুবের (ও সংগ্রাহক), সেটি আবিষ্কার করে ফেলেন। সদ্য আবিস্কৃত এই নেকলেসটি বর্তমানে কোন দেশের মিউজিয়ামে থাকা উচিত সেই নিয়ে কাগজে বিস্তর জল-ঘোলা হতে থাকে। এদিকে লন্ডন থেকে ব্লেক-মর্টিমার প্যারিসে এসে পৌঁছান তাঁদের চিরশত্রু "কর্নেল ওলরিক"-এর বিচারে সাক্ষ্য দিতে। জেল থেকে আদালতে নিয়ে যাবার সময় লরিক সুকৌশলে পুলিশ-ভ্যান থেকে উধাও হয়ে যেন হাওয়ায় মিলিয়ে যায়। আর তার পরেই শুরু হয়ে যায় ব্লেক-মর্টিমারদের সাথে তার চিরাচরিত ইঁদুর-বিড়াল খেলা। কখনো সে জেতে, আবার কখনো বা তার প্রতিপক্ষ। কিন্তু শেষ হাসি কে হাসবে, বা কেমন করে হাসবে, তা নিয়েই এই গল্প  "নেকলেস  কান্ড"....

ব্লেক ও মর্টিমারের দশম অভিযান 

সংহা:
পরিশেষে জানাই যে ব্লেক-মর্টিমারের গল্পে "স্পীচ বাবল"-এর সংখ্যা অ্যাতো বেশী, আর সেগুলো অ্যাতো বেশী ডায়ালগে ভরা, যে মাঝে মাঝে গল্প পড়তেই মাথা ধরে যায়। সুতরাং অ্যামেচার অনুবাদকের দশা যে কি হতে চলেছে তা বলাই বাহুল্য !!  তাই পরবর্তী অংশগুলির জন্যে পাঠকদেরকে অপেক্ষা করে চলতে হবে - হয়তো বা কয়েক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে, এবং অবশ্যই মাঝে মাঝে দু'চারটে ভালো-মন্দ কমেন্ট এখানে করে যেতে হবে !!  

চলুন তা'হলে এবারে শুরু করা যাক 'পড়াশুনা' - প্রথম বেশ কিছু পাতার বঙ্গানুবাদ এখানে আপলোড করা হলো।  ছবির পাতায় ছোটো সাইজের ফন্ট ব্যবহার করতে বাধ্য হওয়ার জন্যে পাঠকদেরকে কিন্তু যথেষ্ঠ 'zoom' use করে এই কমিকস পড়তে হবে। কেমন লাগলো পড়ে তা জানালে অশেষ বাধিত থাকবো... 

   >> প্রথম অংশ - ৯ পাতা (জুলাই, ২০১৫)
   >> দ্বিতীয় অংশ - ৯ পাতা (জুলাই, ২০১৫)
   >> তৃতীয় অংশ - ৮ পাতা (জুলাই, ২০১৫)   
   >> চতুর্থ অংশ - ৮ পাতা ( অক্টোবর, ২০১৫)
   >> শেষ অংশ - ২৮ পাতা ( জুলাই, ২০১৬) ***




Monday, July 6, 2015

Asterix and the Magic Carpet


A fakir from India (Watziznehm) arrives at the village, in search of the "Gaulish madmen who can make it rain," in order to prevent the sacrifice of the Princess Orinjade to appease the gods. 'Asterix and the Magic Carpet' story represents very much an Arabian Nights pastiche which rids it of any satirical bite. Though the story lacks the usual Chauvinist dynamic of Asterix adventures (i.e. no fight with the Romans), still it's a well-paced story, it's amusing in places and it's - needless to say - fabulously drawn.

Asterix and the Magic Carpet is the 28th volume of the Asterix comic book series, by René Goscinny (stories) and Albert Uderzo (illustrations). It was first published in 1987. It is the fourth book to be published after the death of René Goscinny and is thus both written and drawn by Albert Uderzo alone. The story line flowed with the last story (Asterix and Son). But the story never explained why Cacofonix's voice brought rain every time he singed.
Asterix and the Magic Carpet
Asterix Book# 28 (1987)


Trivia:
1. This is the first reference to India in an Asterix book. Although some things are depicted in historical fashion, many of the architectural details and styles of clothing are distinctly Islamic, as is the concept of a fakir. 

2. This is the first time that readers see Cacofonix in battle, and the only time of his drinking the magic potion.

3. The gag that Cacofonix' singing induces rain, was used for the first time in this book. The gag appears later in Asterix and the Secret Weapon.

4. When Cacofonix sings in Vitalstatistix' hut, it begins to rain indoors (causing an angry Impedimenta to chase them outside). However, when he first sings in his own hut, it rains all over the village. 


5. When Cacofonix sings in his own hut, causing Watziznehm to fall from his carpet, the song is "Raindrops Keep Falling on My Head"by B.J. Thomas. Upon recovering his voice, Cacofonix sings "Singin' in the Rainby Arthur Freed and Nacio Herb Brown.


6. On page 29 Asterix, Obelix and Cacofonix eat caviar, just a meal for "poor people", according to the cooks. This is of course a reference to the fact that nowadays only rich people eat it.

[[ All information was taken from Internet...]]

The adventures of Asterix and Obelix were full of witty and endearing characters who win against insurmountable odds by the use of their wits and the occasional glug of a magic potion. The flying carpet is just as fanciful as the magic potion, but the excursion to the mysterious Orient gives Cacofonix the chance to be a star again. It's refreshing, especially with all the downpours the bard brings on… 
Read that lovely, hilarious story once again...

Asterix and the Magic Carpet (29 MB)
Asterix and the Magic Carpet
   (Size: 29 MB)


Friday, July 3, 2015

Walk The Plank (বাংলায়)


"Walking the plank" was a form of punishment thought to have been practiced on special occasion by pirates, mutineers, and other rogue seafarers. For the amusement of the perpetrators (and the psychological torture of the victims), captives were forced to walk off a wooden plank or beam extended over the side of a ship, until falling into the water. 

The plank was used due to the shape of the hulls. The sides of the ship would slant in, near the main deck to help prevent boarding. When the prisoners were bound, and in some cases weighted, the plank was used to get them away from the side of side of ship so they would drop straight down and didn't have to be thrown out to clear the ship.
Walk The Plank !
Pirates' captive walking the plank, as painted by Howard Pyle

The phrase itself, Walking The Plank, dates back to 1769, with the first documented reference being when a seaman named George Wood confessed to a chaplain that he had made several men “walk the plank.” 

The phrase became more popular in the 1800s when authors began to use it in literature. In 1837, Charles Ellms wrote a boys’ story book called "The Pirates Own Book" which made the claim that an amateur American pirate, Stede Bonnet, made people walk the plank. In 1881, Treasure Island by Robert Louis Stevenson was published. Walking the plank is mentioned at least three times in the book and the book’s popularity is undoubtedly the reason walking the plank became such a popular theme in fictional pirate stories. Movie-makers publicized the practice still further, as demonstrated by the catchy number from Disney’s Peter Pan. 

In modern times the term has been used  to describe the resignation of a public figure which occurs amidst controversy, or was demanded by the public, corporate shareholders and such like. 

[[ Source: Internet ]]

Plot: Haunted spirit came back from the sea to take his revenge against the evil, murderer Captain of the ship.

~ ~ ~ * ~ ~ ~
Comic Strip: Walk The Plank!
Writer: Len Wein
Illustration: Len Wein
Year: 1982


Walk The Plank (1.6 MB)
Walk The Plank
  (Size: 1.7 MB)


Thursday, July 2, 2015

Steed's Holidays (বাংলায়) - The Avenger Series


"The Avengers" was a spy-fi British TV series created in early 60s by a Canadian named Sydney Newman. The Avengers initially focused on Dr. David Keel (Ian Hendry) and his assistant John Steed (Patrick Macnee). Hendry left after the first series and Steed became the main character, partnered with a succession of assistants. Steed's most famous assistants were intelligent, stylish and assertive women: Cathy Gale (Honor Blackman), Emma Peel (Diana Rigg), and later Tara King (Linda Thorson). 

John Steed was a suave, sophisticated, impeccably dressed agent of an unspecified branch of British intelligence service active primarily in 1960-70s. Steed's trademarks were a bowler hat and an umbrella. He was a top agent, skilled in every aspect of intelligence gathering and in several forms of both armed and unarmed combat, and an expert marksman. Steed specialized in unusual and often quite bizarre cases which nobody else could have tackled.
Steed's Holiday

The Avengers, by the mid-sixties, existed in a surreal world which was basically Britain dialed up as far as it would go --- a world of retired Army types in country houses plotting world domination, of disgruntled clowns turned professional assassins, and of sexy women in leather catsuits kicking the stuffing out of beetle-browed henchmen, while the dapper, bowler hatted Steed, umbrella in hand, suavely strode through the chaos to save the nation on a weekly basis. 

By 1969 "The Avengers" was shown in more than 90 countries. ITV produced a sequel series "The New Avengers" (1976-1977) with Patrick Macnee returning as John Steed, and two new partners. In 2007 The Avengers was ranked #20 on TV Guide's Top Cult Shows Ever. 

Plot: John Steed, the sophisticated, impeccably dressed agent of an unspecified branch of British intelligence service goes on a much needed fishing holiday only to stumble onto a mysterious enemy plot. 

~ ~ ~ * ~ ~ ~


Comic Strip: Steed's Holiday
Writer: Unknown
Illustration: John Stokes
Format: Thirteen pages - black, white and yellow print 


Steed's Holidays (7 MB)
Steed's Holidays  (Size: 5.2 MB)