সত্তরের দশকে ফুটবল খেলা নিয়ে সেই তুমুল হাসির বাংলা ছায়াছবি, 'ধন্যি মেয়ে'-র কথা নিশ্চয় যেকোনও বাঙালির মনে আছে। সিনেমাটি যেমন পপুলার হয়েছিলো, তেমনি পপুলার হয়েছিলো মান্না দের গলায় গাওয়া সেই ছায়াছবির গানটি: সব খেলার সেরা বাঙালির 'তুমি ফুটবল'... গানটা শুনলেই সেই সময়ে শরীরের মধ্যে কেমন যেন উত্তেজনার একটা ভাব চলে আসতো !! পাড়ার ক্লাবে ক্লাবে তখন ফুটবল খেলাটা একটা খুব নিয়মিত একটা ব্যাপার ছিলো। সেই সত্তরের দশকেই পূজাবার্ষিকীতে প্রকাশিত হলো 'ফুটবল খেলা' নিয়ে মতি নন্দীর লেখা অসাধারণ এক প্রেরণামূলক উপন্যাস, 'স্ট্রাইকার' - খুব সম্ভবত: আনন্দমেলা পূজাবার্ষিকীতে। কিশোর উপন্যাসের মধ্যে লুকিয়ে থাকা মিষ্টি প্রেমের ছোঁয়া সেই বয়সে আমাদের মন ছুঁয়ে গিয়েছিলো। সেই সময়কার বাঙালিদের খেলার জগতের গোটাটাই জুড়ে ছিলো ফুটবল, আর ফুটবল। গাভাসকার-কপিলদেবরা-অমরনাথেরা কিন্তু তখনও ছিলেন, কিন্তু তাঁরা কখনোই মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গলের উন্মাদনাকে ছাপিয়ে বড়ো হয়ে উঠতে পারেন নি।
বাংলা ফুটবলের সেই স্বর্নযুগ বহুদিনই হলো বিদায় নিয়েছে - আজ কি মোহনবাগান, কি ইস্টবেঙ্গল, সব ক্লাবেই বাইরে থেকে আসা, ঝড়তি-পড়তি বিদেশী প্লেয়ারদের রমরমা। বাঙালিরা অবশ্য এখনও ফুটবল খেলে, কিন্তু ম্যাচ জেতানোর জন্যে কোচ, ক্লাব-কর্তারা স্রেফ বিদেশীদের উপরই ভরসা রাখেন। আর আমাদের ন্যাশনাল টিমেও আজ বাঙালি প্লেয়ারদের সংখ্যা দৃষ্টিকটু ভাবে কমে এসেছে। আধুনিকমনস্ক বাঙালিরা আজকাল ফুটবল ছেড়ে ক্রিকেট খেলাকেই আঁকড়ে ধরেছেন, এমন কি দেশী ক্লাবের খেলা দেখার চেয়ে বার্সোলানা, জুভেন্টাস বা ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের খেলা দেখতে মুখিয়ে থাকেন!! কিন্তু বিদেশী কোচেদের কাছে ট্রেনিং, আধুনিক সরঞ্জামের সুব্যবস্থা, বাইরে খেলতে যাওয়ার সুযোগ, ইত্যাদি থাকা স্বত্তেও ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ভারতীয় ফুটবলের অবস্থান শোচনীয়। নব্বইয়ের দশকেও আমরা র্যাঙ্কিংয়ে ১০০-র কাছাকাছি থাকতাম, যেটা বাড়তে বাড়তে ইদানিং ১৫০-১৭০-এর মধ্যে ঘোরাফেরা করছে!! আশেপাশের সবাই এগিয়ে গেছে, থমকে গেছি শুধু আমরাই...
দু:খের কথা বাড়িয়ে আর লাভ নেই - এবার বরং একটু হাসির কথায় আসা যাক। ফুটবল খেলার জন্ম যে ঠিক কবে হয়েছিলো তার কোনো সুস্পষ্ট প্রমান না থাকলেও, জানা গেছে যে খ্রীস্ট্রের জন্মের আগের তৃতীয়, কি দ্বিতীয় শতাব্দী থেকে ফুটবলের মতো একধরণের খেলার প্রচলন শুরু হয়েছিলো। প্রাচীনকালে গ্রীক ও রোমানরা বল নিয়ে নানান ধরণের খেলা খেলতো - তার মধ্যে পা-দিয়ে বল খেলাও ছিলো। গোসিনির লেখা গল-দের গল্পের সময়কাল দেখানো হয়েছে খ্রীস্ট্রের জন্মের ৫০ বছর আগে। সুতরাং ধরে নেওয়া যেতেই পারে যে গল-রাও নিশ্চয় ফুটবল খেলতো, যদিও গোসিনি তাঁর লেখা গল্পের কোথাও সে'কথা বলে যান নি। কিন্তু, বলেন নি বলেই যে গল-রা ফুটবল খেলতো না, সেকথা কিন্তু জোর দিয়ে বলা যাবে না - অন্তত: আজকের পর থেকে তো নয়ই !!
সত্যি কথা হলো কি ফুটবলের মহিমায় মুগ্ধ হয়ে শেষমেষ গলেরাও একসময় রোমানদের পেটানোর পাশাপাশি ফুটবল খেলা শুরু করে দেয়! কি বিশ্বাস হচ্ছে না তো ? না হবারই কথা, কারণ এটা কোনো পাবলিশড ইংরাজি বা বাংলা অ্যাস্টেরিকসের গল্পে পাওয়া যাবে না। কিন্তু তাতে কি যায় আসে ? বিশেষ করে 'গল' আর 'গোল'-এর মধ্যে তফাৎ তো বেশি কিছু নেই ! তো, চলুন - শুরু করে দেওয়া যাক এই সপ্তাহের পড়াশুনা !!
A group of writers and artists, from different cultures and backgrounds, across the world, paid a tribute to Albert Uderzo on his 80th Birthday by contributing to the album, "Asterix Et Ses Amis". Here I have made a humble attempt to translate couple of stories from that collection. In other words you may consider this to be my tribute to one of the greatest Comics Writers, world have ever seen so far....
*** Thanks to "Rupak Ghosh" for converting the Cover page of this Album in a stylish way.
বাংলা ফুটবলের সেই স্বর্নযুগ বহুদিনই হলো বিদায় নিয়েছে - আজ কি মোহনবাগান, কি ইস্টবেঙ্গল, সব ক্লাবেই বাইরে থেকে আসা, ঝড়তি-পড়তি বিদেশী প্লেয়ারদের রমরমা। বাঙালিরা অবশ্য এখনও ফুটবল খেলে, কিন্তু ম্যাচ জেতানোর জন্যে কোচ, ক্লাব-কর্তারা স্রেফ বিদেশীদের উপরই ভরসা রাখেন। আর আমাদের ন্যাশনাল টিমেও আজ বাঙালি প্লেয়ারদের সংখ্যা দৃষ্টিকটু ভাবে কমে এসেছে। আধুনিকমনস্ক বাঙালিরা আজকাল ফুটবল ছেড়ে ক্রিকেট খেলাকেই আঁকড়ে ধরেছেন, এমন কি দেশী ক্লাবের খেলা দেখার চেয়ে বার্সোলানা, জুভেন্টাস বা ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের খেলা দেখতে মুখিয়ে থাকেন!! কিন্তু বিদেশী কোচেদের কাছে ট্রেনিং, আধুনিক সরঞ্জামের সুব্যবস্থা, বাইরে খেলতে যাওয়ার সুযোগ, ইত্যাদি থাকা স্বত্তেও ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ভারতীয় ফুটবলের অবস্থান শোচনীয়। নব্বইয়ের দশকেও আমরা র্যাঙ্কিংয়ে ১০০-র কাছাকাছি থাকতাম, যেটা বাড়তে বাড়তে ইদানিং ১৫০-১৭০-এর মধ্যে ঘোরাফেরা করছে!! আশেপাশের সবাই এগিয়ে গেছে, থমকে গেছি শুধু আমরাই...
অ্যাস্টেরিকস ও তার বন্ধুরা (2015) |
দু:খের কথা বাড়িয়ে আর লাভ নেই - এবার বরং একটু হাসির কথায় আসা যাক। ফুটবল খেলার জন্ম যে ঠিক কবে হয়েছিলো তার কোনো সুস্পষ্ট প্রমান না থাকলেও, জানা গেছে যে খ্রীস্ট্রের জন্মের আগের তৃতীয়, কি দ্বিতীয় শতাব্দী থেকে ফুটবলের মতো একধরণের খেলার প্রচলন শুরু হয়েছিলো। প্রাচীনকালে গ্রীক ও রোমানরা বল নিয়ে নানান ধরণের খেলা খেলতো - তার মধ্যে পা-দিয়ে বল খেলাও ছিলো। গোসিনির লেখা গল-দের গল্পের সময়কাল দেখানো হয়েছে খ্রীস্ট্রের জন্মের ৫০ বছর আগে। সুতরাং ধরে নেওয়া যেতেই পারে যে গল-রাও নিশ্চয় ফুটবল খেলতো, যদিও গোসিনি তাঁর লেখা গল্পের কোথাও সে'কথা বলে যান নি। কিন্তু, বলেন নি বলেই যে গল-রা ফুটবল খেলতো না, সেকথা কিন্তু জোর দিয়ে বলা যাবে না - অন্তত: আজকের পর থেকে তো নয়ই !!
সত্যি কথা হলো কি ফুটবলের মহিমায় মুগ্ধ হয়ে শেষমেষ গলেরাও একসময় রোমানদের পেটানোর পাশাপাশি ফুটবল খেলা শুরু করে দেয়! কি বিশ্বাস হচ্ছে না তো ? না হবারই কথা, কারণ এটা কোনো পাবলিশড ইংরাজি বা বাংলা অ্যাস্টেরিকসের গল্পে পাওয়া যাবে না। কিন্তু তাতে কি যায় আসে ? বিশেষ করে 'গল' আর 'গোল'-এর মধ্যে তফাৎ তো বেশি কিছু নেই ! তো, চলুন - শুরু করে দেওয়া যাক এই সপ্তাহের পড়াশুনা !!
A group of writers and artists, from different cultures and backgrounds, across the world, paid a tribute to Albert Uderzo on his 80th Birthday by contributing to the album, "Asterix Et Ses Amis". Here I have made a humble attempt to translate couple of stories from that collection. In other words you may consider this to be my tribute to one of the greatest Comics Writers, world have ever seen so far....
*** Thanks to "Rupak Ghosh" for converting the Cover page of this Album in a stylish way.
অ্যাস্টেরিকস ও তার বন্ধুরা (17 MB) |