মুখবন্ধ:
আবারও ব্লেক-মর্টিমার, আবারও প্রায়-অক্ষম বঙ্গানুবাদ - অনেকটা ঠিক "ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো"-র মতো করেই !! কিন্তু সেটাই বোধ হয় "বাঙালিদের" বিশেষত্ব - at least আগেকার দিনের বাঙালিদের তো বটেই !!
হার্জের লেখা টিনটিনের "ক্যালকুলাসের কান্ড"-এর আদলে এই অ্যাডভেঞ্চার কাহিনীর নামকরণ করা হলো: "নেকলেস কান্ড"। প্রখ্যাত বেলজিয়ান আর্টিস্ট "এডগার পি. জ্যাকবস"-এর লেখা ব্লেক-মর্টিমার সিরিজের দশম কমিকস বই হলো, "The Necklace Affair" - বই হিসাবে প্রকাশিত (1967) হবার আগেই 1965 সালে, "টিনটিন" ম্যাগাজিনে এই কমিকসটি প্রকাশিত হয়ে যায়। পরবর্তীকালে "Cinebook Publishers"-এর সৌজন্যে এই গল্পটি ইংরাজি ভাষায় প্রকাশিত হয় 2010 সালের জানুয়ারীতে। তার অনেক পরে, বাংলাতে এটা প্রকাশিত হয়... ইয়ে... তা তো আপনারা ভালো করেই জানছেন এখন !!! গল্পের প্রচ্ছদপত্রটি ভাষান্তরে সহায়তা করেছেন "রূপক ঘোষ" মহাশয় - এই ব্লগের সূত্রেই আলাপ আমার তাঁর সাথে ।
গল্পের মান অনুযায়ী অনেকেই বলেন যে এটি হলো ব্লেক-মর্টিমার সিরিজের অন্যতম দূর্বল গল্প, যদিও আমি তা মনে করিনা। বরং আমার মনে হয় এটাই ব্লেক-মর্টিমার সিরিজের সবথেকে ভালো "ক্রাইম স্টোরি"। আগা-গোড়া টানটান উত্তেজনায় ভরপুর, বিড়াল-ইঁদুরের লুকোচুরি খেলায় ভরা, গতিময়, এক সুন্দর ডিটেকটিভ কমিকস। আর আর্টওয়ার্কের গভীরতা, কিম্বা গল্পের ছবিতে আঁকা স্থান-কাল-পাত্র, বিষয়বস্তুদের মধ্যে অবিশ্বাস্য বাস্তবতার ছোঁয়া, সেগুলোর কথা না'হয় ছেড়েই দিলাম ! রঙের দিক দিয়েও দেখা যায় গতানুগতিক "Four-Color Palette"-এর বদলে এক নতুন ধরনের রঙেদের বিচিত্র সমাহার ঘটেছে এই সিরিজের গল্পগুলিতে। সত্যি কথা বলতে কি আজকালকার দিনের কম্পিউটার গ্রাফিক্সের স্নেহ-ধন্য হয়ে আঁকা, নব্যযুগের "গ্রাফিক নভেল"-দের চেয়ে আমি কয়েক যুগ আগেকার, মান্ধাতা আমলের এইসব Franco-Belgian Comics চড়া দাম দিয়ে কিনতেও একপায়ে রাজী থাকবো !!
গল্পের সূত্র:
মহিমান্বিত রাণী "ম্যারী অ্যান্টোইনেট"-এর বহুমূল্য, রত্নখচিত নেকলেসটি বহু শতাব্দী আগেই ধ্বংস হয়ে গিয়েছিলো - এইটাই ছিলো ঐতিহাসিকদের বিশ্বাস। কিন্তু সম্প্রতি স্যার হেনরি উইলিয়ামসন, ফ্রান্সে অধিষ্ঠিত এক ব্রিটিশ ধনকুবের (ও সংগ্রাহক), সেটি আবিষ্কার করে ফেলেন। সদ্য আবিস্কৃত এই নেকলেসটি বর্তমানে কোন দেশের মিউজিয়ামে থাকা উচিত সেই নিয়ে কাগজে বিস্তর জল-ঘোলা হতে থাকে। এদিকে লন্ডন থেকে ব্লেক-মর্টিমার প্যারিসে এসে পৌঁছান তাঁদের চিরশত্রু "কর্নেল ওলরিক"-এর বিচারে সাক্ষ্য দিতে। জেল থেকে আদালতে নিয়ে যাবার সময় ওলরিক সুকৌশলে পুলিশ-ভ্যান থেকে উধাও হয়ে যেন হাওয়ায় মিলিয়ে যায়। আর তার পরেই শুরু হয়ে যায় ব্লেক-মর্টিমারদের সাথে তার চিরাচরিত ইঁদুর-বিড়াল খেলা। কখনো সে জেতে, আবার কখনো বা তার প্রতিপক্ষ। কিন্তু শেষ হাসি কে হাসবে, বা কেমন করে হাসবে, তা নিয়েই এই গল্প "নেকলেস কান্ড"....
>> প্রথম অংশ - ৯ পাতা (জুলাই, ২০১৫)
>> দ্বিতীয় অংশ - ৯ পাতা (জুলাই, ২০১৫)
>> তৃতীয় অংশ - ৮ পাতা (জুলাই, ২০১৫)
>> চতুর্থ অংশ - ৮ পাতা ( অক্টোবর, ২০১৫)
>> শেষ অংশ - ২৮ পাতা ( জুলাই, ২০১৬) ***
আবারও ব্লেক-মর্টিমার, আবারও প্রায়-অক্ষম বঙ্গানুবাদ - অনেকটা ঠিক "ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো"-র মতো করেই !! কিন্তু সেটাই বোধ হয় "বাঙালিদের" বিশেষত্ব - at least আগেকার দিনের বাঙালিদের তো বটেই !!
হার্জের লেখা টিনটিনের "ক্যালকুলাসের কান্ড"-এর আদলে এই অ্যাডভেঞ্চার কাহিনীর নামকরণ করা হলো: "নেকলেস কান্ড"। প্রখ্যাত বেলজিয়ান আর্টিস্ট "এডগার পি. জ্যাকবস"-এর লেখা ব্লেক-মর্টিমার সিরিজের দশম কমিকস বই হলো, "The Necklace Affair" - বই হিসাবে প্রকাশিত (1967) হবার আগেই 1965 সালে, "টিনটিন" ম্যাগাজিনে এই কমিকসটি প্রকাশিত হয়ে যায়। পরবর্তীকালে "Cinebook Publishers"-এর সৌজন্যে এই গল্পটি ইংরাজি ভাষায় প্রকাশিত হয় 2010 সালের জানুয়ারীতে। তার অনেক পরে, বাংলাতে এটা প্রকাশিত হয়... ইয়ে... তা তো আপনারা ভালো করেই জানছেন এখন !!! গল্পের প্রচ্ছদপত্রটি ভাষান্তরে সহায়তা করেছেন "রূপক ঘোষ" মহাশয় - এই ব্লগের সূত্রেই আলাপ আমার তাঁর সাথে ।
গল্পের মান অনুযায়ী অনেকেই বলেন যে এটি হলো ব্লেক-মর্টিমার সিরিজের অন্যতম দূর্বল গল্প, যদিও আমি তা মনে করিনা। বরং আমার মনে হয় এটাই ব্লেক-মর্টিমার সিরিজের সবথেকে ভালো "ক্রাইম স্টোরি"। আগা-গোড়া টানটান উত্তেজনায় ভরপুর, বিড়াল-ইঁদুরের লুকোচুরি খেলায় ভরা, গতিময়, এক সুন্দর ডিটেকটিভ কমিকস। আর আর্টওয়ার্কের গভীরতা, কিম্বা গল্পের ছবিতে আঁকা স্থান-কাল-পাত্র, বিষয়বস্তুদের মধ্যে অবিশ্বাস্য বাস্তবতার ছোঁয়া, সেগুলোর কথা না'হয় ছেড়েই দিলাম ! রঙের দিক দিয়েও দেখা যায় গতানুগতিক "Four-Color Palette"-এর বদলে এক নতুন ধরনের রঙেদের বিচিত্র সমাহার ঘটেছে এই সিরিজের গল্পগুলিতে। সত্যি কথা বলতে কি আজকালকার দিনের কম্পিউটার গ্রাফিক্সের স্নেহ-ধন্য হয়ে আঁকা, নব্যযুগের "গ্রাফিক নভেল"-দের চেয়ে আমি কয়েক যুগ আগেকার, মান্ধাতা আমলের এইসব Franco-Belgian Comics চড়া দাম দিয়ে কিনতেও একপায়ে রাজী থাকবো !!
মহিমান্বিত রাণী "ম্যারী অ্যান্টোইনেট"-এর বহুমূল্য, রত্নখচিত নেকলেসটি বহু শতাব্দী আগেই ধ্বংস হয়ে গিয়েছিলো - এইটাই ছিলো ঐতিহাসিকদের বিশ্বাস। কিন্তু সম্প্রতি স্যার হেনরি উইলিয়ামসন, ফ্রান্সে অধিষ্ঠিত এক ব্রিটিশ ধনকুবের (ও সংগ্রাহক), সেটি আবিষ্কার করে ফেলেন। সদ্য আবিস্কৃত এই নেকলেসটি বর্তমানে কোন দেশের মিউজিয়ামে থাকা উচিত সেই নিয়ে কাগজে বিস্তর জল-ঘোলা হতে থাকে। এদিকে লন্ডন থেকে ব্লেক-মর্টিমার প্যারিসে এসে পৌঁছান তাঁদের চিরশত্রু "কর্নেল ওলরিক"-এর বিচারে সাক্ষ্য দিতে। জেল থেকে আদালতে নিয়ে যাবার সময় ওলরিক সুকৌশলে পুলিশ-ভ্যান থেকে উধাও হয়ে যেন হাওয়ায় মিলিয়ে যায়। আর তার পরেই শুরু হয়ে যায় ব্লেক-মর্টিমারদের সাথে তার চিরাচরিত ইঁদুর-বিড়াল খেলা। কখনো সে জেতে, আবার কখনো বা তার প্রতিপক্ষ। কিন্তু শেষ হাসি কে হাসবে, বা কেমন করে হাসবে, তা নিয়েই এই গল্প "নেকলেস কান্ড"....
ব্লেক ও মর্টিমারের দশম অভিযান |
উপসংহার:
চলুন তা'হলে এবারে শুরু করা যাক 'পড়াশুনা' - প্রথম বেশ কিছু পাতার বঙ্গানুবাদ এখানে আপলোড করা হলো। ছবির পাতায় ছোটো সাইজের ফন্ট ব্যবহার করতে বাধ্য হওয়ার জন্যে পাঠকদেরকে কিন্তু যথেষ্ঠ 'zoom' use করে এই কমিকস পড়তে হবে। কেমন লাগলো পড়ে তা জানালে অশেষ বাধিত থাকবো...
পরিশেষে জানাই যে ব্লেক-মর্টিমারের গল্পে "স্পীচ বাবল"-এর সংখ্যা অ্যাতো বেশী, আর সেগুলো অ্যাতো বেশী ডায়ালগে ভরা, যে মাঝে মাঝে গল্প পড়তেই মাথা ধরে যায়। সুতরাং অ্যামেচার অনুবাদকের দশা যে কি হতে চলেছে তা বলাই বাহুল্য !! তাই পরবর্তী অংশগুলির জন্যে পাঠকদেরকে অপেক্ষা করে চলতে হবে - হয়তো বা কয়েক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে, এবং অবশ্যই মাঝে মাঝে দু'চারটে ভালো-মন্দ কমেন্ট এখানে করে যেতে হবে !!
চলুন তা'হলে এবারে শুরু করা যাক 'পড়াশুনা' - প্রথম বেশ কিছু পাতার বঙ্গানুবাদ এখানে আপলোড করা হলো। ছবির পাতায় ছোটো সাইজের ফন্ট ব্যবহার করতে বাধ্য হওয়ার জন্যে পাঠকদেরকে কিন্তু যথেষ্ঠ 'zoom' use করে এই কমিকস পড়তে হবে। কেমন লাগলো পড়ে তা জানালে অশেষ বাধিত থাকবো...
>> প্রথম অংশ - ৯ পাতা (জুলাই, ২০১৫)
>> দ্বিতীয় অংশ - ৯ পাতা (জুলাই, ২০১৫)
>> তৃতীয় অংশ - ৮ পাতা (জুলাই, ২০১৫)
>> চতুর্থ অংশ - ৮ পাতা ( অক্টোবর, ২০১৫)
>> শেষ অংশ - ২৮ পাতা ( জুলাই, ২০১৬) ***
কুন্তলদা দুর্দান্ত । আবার আরেকটা ব্লেক এবং মর্টিমারের কাজ শুরু করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ।
ReplyDeleteবাংলাতে মাসিক বসুমতি পত্রিকাতে swordfish বেরচ্ছে । কিন্তু আমার খুব একটা যুতসই লাগছে না । যদিও আমি মাত্র একটা সংখ্যাই যোগার করতে পেরেছি ।
আর অধমের জন্য যদি ক্ষমা ঘেন্না করে এবং অবস্যই সময় সুযোগ পেলে যদি আর ১টি rip kirby দেন খুব ভালো লাগবে ।
অবশ্যই - কিন্তু রিপ কার্বি আপাতত: আর স্ক্যান করা নেই - আশা করি নেক্সট উইকের দিকে পোস্ট করা যাবে !!
DeleteKuntal Da Osadharon....Back to Blake & Mortimer... Ami Eti Modhei Horaser Kokho Translate Suru kore diyechi...THanks For This One...
ReplyDeleteApnake FB te MSG korechi Page Gulo Dekhe Bolben... :)
Deleteঅসাধারণ কাজ ,
ReplyDeleteasadharan kaj Kuntal da.chalie jan...aamra achi porar jonyo utshuk hoe.............
ReplyDeleteThis comment has been removed by the author.
ReplyDeleteBak ruddho.....speechless
DeleteAsankhyo Dhanyobad .... Nijer kajer madhye o tumi amader Katha mone rekhe abar B&M ke bangali korecho..
ReplyDeleteদারুণ লাগছে ভাই পড়তে - অনেক ধন্যবাদ :)
ReplyDeleteDurdanto kaaj hochche ! Baki-ta porar jonye roilaam !
ReplyDelete...Ashadaron lagche...Tritio angso kobe pabo?...Tor soichena..:)
ReplyDeleteBah...Besh Duronto Dotitei Egochhe Onubader Kaaj...Osadharon...Kuntal Da...
ReplyDeleteথ্যাংকস রূপক - তবে পরের পার্টের জন্যে সময় লাগবে - কাজের চাপ এক্বটু বেশী এখন - আশা করি তোমার অনুবাদের কাজও দ্রুতগতিতে চলছে...
ReplyDeleteHumm etota speed e noi tobe Choche motamuti 5-6 page moto hoyeche...Thanks
DeleteNew part is here !!! Thank you !!!
ReplyDeleteAnek Anek Dhanyabad
ReplyDeleteKuntal Da Choturtho Ongsher Opekkai Achi...
ReplyDeleteআরে, এটার কথা তো প্রায় ভুলেই গেছি !!! পুজোর পর হোপফুলি বসা যাবে !! :)
Deleteঅবশেষে এলো চতুর্থ অংশ...
ReplyDeleteAsadharon bolle kom bola hobe,porer part ta porar jonyo opekhai roilam
ReplyDeleteআগে খেয়াল করা হয়নি যে ব্লেক ও মর্টিমার চতুর্থ পর্ব আগের মাসেই আপডেট করেছেন,আজ দেখলাম...এই দীপাবলিতে আর কিছু হবে নাকি?? যাইহোক শুভ দীপাবলির শুভেচ্ছা জানাই আপনি ও আপনার পরিবারবর্গ কে এবং অবশ্যই এই ব্লগের সমস্ত পাঠকদেরও...সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ও ভালোভাবে দীপাবলি উদযাপন করবেন...
ReplyDeletekintu dada golper last part ta pelam na. golpota sesh holo na. baki part-ta kobe pabo ? darun kaaj.
ReplyDeleteAbhijit, Many Thanks for visiting my blog.
DeleteYes, I know - I need to squeeze out some time for it :) :)
অবশেষে... বহু, বহু দিনের পর আসতে চলেছে 'নেকলেস কান্ড'-এর পঞ্চম পর্ব (১২ পাতা) - কেমন হলো জানালে উৎসাহ পাবো, আর বাকিটা শেষ করারও ইচ্ছা হয়তো জেগে থাকবে !
ReplyDeleteইয়ে !!!! Many many thanks !!
ReplyDeleteDarun !! Darun !!
ReplyDelete