"নদী থেকে উঠে আসে পথ,
না কি পথ নেমে যায় নদীর ভিতরে ?
. . .তবুও কেন যে মনে মনে
থেকে যায় কাঁচা রাস্তা, ভাঙা পাড়
অমল কাদায়
পথ ও নদীর মধ্যে পড়ে থাকে
পাখির পালক..."
স্কুলজীবন ছেড়ে কলেজজীবনে ওঠার সেই গোলমালে ভরা সময়ে কি কারণে না-জানি আমি তারাপদ রায়ের লেখার বেশ ভক্ত হয়ে গেলাম - আসল কারণটা আমি ঠিক এখনও ধরে উঠতে পারিনি। তারাপদ রায় মূলত: ছোটোখাটো হাসির গল্প, যাকে 'রম্যরচনা' বলা হয়ে থাকে, সেই ধরণের 'আলতু-ফালতু' লেখা লিখে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। বেশ কিছু কবিতা এবং ছোট-বড় গল্পও তিনি লিখেছিলেন - তবে বাঙালীর নাক-উঁচু সাহিত্যিক জগতে কেউকেটা হয়ে উঠতে তিনি কখনোই পারেন নি, বা চানও নি। সে যাই হোক, একসময় দেখা গেলো একটা-দুটো করতে করতে, কলেজ স্ট্রীট থেকে তারাপদ রায়ের হাবিজাবি লেখা প্রায় সবকটা বইই আমি কিনে কিনে আলমারি ভরে ফেলেছি। শুধু বই কেনাই নয়, সদ্য কেনা নতুন বইয়ের কভার বাঁচানোর জন্যে আমি যথেষ্ট সময় নষ্ট করে সাদা প্লাস্টিকের ট্রান্সপ্যারেন্ট কভার দেওয়াও চালু করে দিয়েছি।
আলো-আঁধারি ভরা সন্ধ্যাবেলা, কি ঝুপঝুপে বৃষ্টির দিন, তারাপদ রায়ের একখানা বই হাতে করে নিয়ে বসলেই সময় কেটে যেতো হু হু করে - বিশেষ করে প্রথম যৌবনের সেই ব্যাচেলর-কাম-বেকার জীবনে, কারণ-অকারণে ধেয়ে আসা নাম-না-জানা, মন-ভার করা বিষণ্ণ সময়গুলোকে মেরামত করে তুলতে তারাপদ রায়ের লেখার কোনও জুড়ি ছিলো না !
প্রথম প্রকাশ: বইমেলা 1998 (১৪০৪) প্রচ্ছদ: সুধীর মৈত্র |
~ ~ ~ ~ ~ ~ ~
এরকম লেখা তারাপদ রায় আগে খুব একটা লেখেন নি - লেখা উচিত কিনা সেটা না'হয় পাঠকেরাই বিবেচনা করুক...
Ki bola uchit thik bujhe uthte parchhi na - khub khub sundar !
ReplyDeleteবহুদিন পরে আবার এই লেখাটা ফিরে পেলাম। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার কাজগুলোর আমি একজন ভক্ত। অনেক নতুন তথ্য ও ভুলে যাওয়া দিন আপনি তুলে ধরেন। আমি আমার কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
ReplyDeleteরিপ কার্বির পরের অংশটা কবে পাবো?
হে: হে: - সামনের সপ্তাহের দিকে - ব্লগে আসার জন্যে আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ
Deleteএটা পড়া নেই , ডাউনলোড করছি ।
ReplyDeleteভাল লাগল পড়ে - জীবনে ছোট ছোট আনন্দগুলোকে আমরা অবহেলা করে চলি - বড় বাড়ি, বড় গাড়ি, আইফোন, এসবের থেকে একটা ভারি সুন্দর লেখা পড়তে পাওয়া বা অলস সকালে বারান্দায় বসে এক কাপ চায়ে চুমুক দেওয়ার মধ্যে যে আনন্দ, তার কি কোনও তুলনা হয় ?
ReplyDelete