ভূত-প্রেত, আত্মা, প্রেতাত্মা, অশরীরী, শ্মশান, হানাবাড়ি, ড্রাকুলা ইত্যাদি হরেক রকমের গল্পে ভরা ছিলো আজ থেকে বছর চল্লিশেক আগেকার রাতগুলো। শীতের রাতে লেপ-কম্বল মুড়ি দিয়ে, বা বর্ষার সন্ধ্যায় টিপটিপে বৃষ্টির সাথে পাল্লা দিয়ে, হ্যারিকেনের স্বল্প আলোতে ভূতের গল্প পড়তে পড়তে সময়কালের হিসেব যেতো গুলিয়ে - শিরদাঁড়া দিয়ে যেন বরফের শীতল স্রোত বয়েই চলতো। বাড়িতে ঠাকুমা বা জ্যেঠুরা এলে আমরা, অর্থাৎ বাচ্চারা সবাই মিলে বায়না জুড়ে, সাগ্রহে অপেক্ষা করে থাকতাম একটা দারুণ ভয়ের ভূতের গল্প শুনবো বলে। রাতের অন্ধকারে ভূতের ঘাড় মটকানির হাত থেকে বাঁচার জন্যে আমরা তাঁদের গায়ের সাথে সিঁটকে থেকে, মনে মনে 'রামনাম' জপ করে চলতাম - ক্ষিদে, বাথরুম, ঘুম সব মাথায় উঠতো !! ভূতের ভয় এতোটাই তীব্র হয়ে উঠতো যে সেই বাচ্চা বয়সে মাঝে মাঝে ভর দুপুর বেলাতেও নির্জন দোতলার ঘর থেকে এক ছুটে পালিয়ে নীচে নেমে মায়ের ঘরে এসে চুপচাপ বসে থাকতাম। ভয়ের চোটে বহুবার মনে মনে প্রতিজ্ঞা করতাম যে আর কখনও ভূতের গল্প পড়বো না বলে, কিন্তু কি এক অদ্ভূত, অমোঘ আকর্ষণে আবার শুরু করতাম ভূতের গল্প পড়া। বিদেশী লেখকদের লেখা ভূতের গল্পগুলোর মধ্যে আইরিশ লেখক ব্রাম স্টোকারের 'ড্রাকুলা' কাহিনী আমাদের মধ্যে সম্পূর্ণ অন্য এক মাত্রার ভীতির সঞ্চার করেছিলো। সেই কাহিনী আজও একা একা পড়বো কি না সন্দেহ আছে !
বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে সাথে ভূতের ভয় আজকাল ছেলেদের মধ্যে তেমন করে আর দেখা যায় না। ইলেকট্রিক লাইট আর ঘন জনবসতির পাল্লায় পড়ে বন, উলুঘাস, জলা-জঙ্গল, নিম-বটগাছ তো দূরের কথা, ছোটোখাটো মাঠঘাটও আজকাল আর দেখা যায় না। মাঝে মাঝে তাই মনে প্রশ্ন জাগে যে ছোটবেলাকার সেই সব গা-ছমছম করানো ভূত-প্রেত-আত্মারা আজ গেলো কোথায়? বর্তমানের এই বিরক্তিকর, একঘেয়ে জগৎ ত্যাগ করে কি তারা সকলেই পাকাপাকিভাবে তাদের অতিলৌকিক জগতে চলে গেলো?
আজকালকার লেখকদের লেখা ভূতের গল্পগুলো পড়লেও মনে ভয়ের থেকে বরং বিরক্তিবোধই বেশী জাগে। সত্যিকারের ভয় জাগানো ভূতের গল্প পড়তে তাই আমাদের বারে বারেই ফিরে যেতে হয় সেই ফেলে-আসা দিনগুলোর গল্পগুলোতে।
এই পোস্টে তুলে ধরা হলো সেই হারানো দিনের গা-ছমছম করা এক প্রেতাত্মার গল্প: "হারেমের শয়তান" - গল্পটির রচনাকাল খুব কম করে হলেও আজ থেকে পঞ্চাশ, কি তারও বেশী বছর আগেকার।
বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে সাথে ভূতের ভয় আজকাল ছেলেদের মধ্যে তেমন করে আর দেখা যায় না। ইলেকট্রিক লাইট আর ঘন জনবসতির পাল্লায় পড়ে বন, উলুঘাস, জলা-জঙ্গল, নিম-বটগাছ তো দূরের কথা, ছোটোখাটো মাঠঘাটও আজকাল আর দেখা যায় না। মাঝে মাঝে তাই মনে প্রশ্ন জাগে যে ছোটবেলাকার সেই সব গা-ছমছম করানো ভূত-প্রেত-আত্মারা আজ গেলো কোথায়? বর্তমানের এই বিরক্তিকর, একঘেয়ে জগৎ ত্যাগ করে কি তারা সকলেই পাকাপাকিভাবে তাদের অতিলৌকিক জগতে চলে গেলো?
আজকালকার লেখকদের লেখা ভূতের গল্পগুলো পড়লেও মনে ভয়ের থেকে বরং বিরক্তিবোধই বেশী জাগে। সত্যিকারের ভয় জাগানো ভূতের গল্প পড়তে তাই আমাদের বারে বারেই ফিরে যেতে হয় সেই ফেলে-আসা দিনগুলোর গল্পগুলোতে।
এই পোস্টে তুলে ধরা হলো সেই হারানো দিনের গা-ছমছম করা এক প্রেতাত্মার গল্প: "হারেমের শয়তান" - গল্পটির রচনাকাল খুব কম করে হলেও আজ থেকে পঞ্চাশ, কি তারও বেশী বছর আগেকার।
bhalo golpo, choto belai porle aro hoyto bhalo lagto..harinarayan chattpadhyay-er amandamela shuktara-i berono golpogulo ak samay jamon khub bhoyer lagto..
ReplyDeleteei golpota kar lekha ebong kotha theke diyechen seta janar agroho roylo..boglamamar dracula nye lekha golper sathe mil ache, tai na?
Suman - eta "Rajkumar Maitra"-er lekha - prokashit hoyechilo DSK-r "Jhor Jol Bristi" sonkolon theke.
DeleteTar mane thik-i andaaj korechilam..Boglamamao to Rajkumar Maitrar-i sristi..uni ak-i plot ke duti alada golpe nye enechen..Boglamama o dracula ar haremer shoitan..
Delete