সায়েন্স ফিকশন বা বৈজ্ঞানিক কাহিনী এবং কমিকস আমাদের দেশে এখনো পর্যন্ত খুব বেশী সংখ্যায় প্রকাশিত হয় না। সত্যি কথা বলতে গেলে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীকে একটু খাটো চোখেই বরং দেখা হয়ে থাকে। 'শঙ্কু'-র অ্যাডভেঞ্চার কাহিনীগুলির সমাদর বা কাটতি 'ফেলুদা'র অ্যাডভেঞ্চারগুলির মতো কখনোই ছিলো না, হবেও না। কিন্তু তা স্বত্তেও বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীগুলি একবার পড়তে শুরু করে দিলে, খুব সহজে কিন্তু থামতে পারা যায় না, অন্তত আমার পক্ষে তো নয়ই !
সায়েন্স ফিকশন কাহিনীর বিষয়বস্তুগুলির মধ্যে অন্যতম পপুলার হলো 'টাইম ট্রাভেল', তারপরেই খুব সম্ভবত আসবে মানুষ ও যন্ত্রের মধ্যে ক্ষমতা দখলের চিরন্তন লড়াই - দুটি বিষয়ই আমার খুব পছন্দের। ছোটোবেলায় 'জনি সোকো অ্যান্ড হিস ফ্লায়িং রোবট' টিভি সিরিয়ালটি দেখার জন্যে সারা সপ্তাহ জুড়ে, লিট্যারালি হাঁ-করে বসে থাকতাম। গ্রহান্তরের মানুষেরা সুদূর অতীত আমাদের এই পৃথিবীতে আদৌ এসেছিলেন কি না, তা রীতিমত গবেষণা-তর্ক সাপেক্ষ বিষয়। একালের সুইস প্রত্নবিদ ডঃ এরিখ ফন দানিকেন নানান রকমের বেয়াড়া প্রশ্ন তুলে একসময় বেশ শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন।
আমাদের দেশের অন্যতম জনপ্রিয় মহাকাব্য "রামায়ন"-এ কুম্ভকর্ণ ছিলেন একটি বিচিত্র চরিত্র। বাল্মীকি তাকে 'যন্ত্র' বলে অভিহিত করেছিলেন। অঙ্গদের জবানিতে বলেছিলেন 'এ রাক্ষসের যুদ্ধ করবার ক্ষমতা নেই, এ একটা ভীষণ বিভীষিকা মাত্র'। বিভীষণকে দিয়ে তিনি বলিয়েছিলেন 'যন্ত্রমেতৎ সুমুছ্রিতম' - কিন্তু কেন? কুম্ভকর্ণের ধরন-ধারণ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে রাক্ষসের থেকে বরং রোবটের সাথেই তার অনেক বেশী মিল। চার্জ দেওয়া ব্যাটারিকে একটানা চালালে তার যেমন একটা নির্দিষ্ট আয়ু থেকে থাকে, কুম্ভকর্ণও ঠিক তেমনি ভাবে জেগে থাকতেন হাতেগুনে ঠিক একটানা ছয় মাস, আবার ঘুমাতে (না কি চার্জে ?) চলে যেতেন পরের ছয়মাস।
যন্ত্র ও মানুষের লড়াইয়ে সবসময়ই দেখানো হয়েছে যন্ত্ররাই ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে মানুষের উপর নির্মমভাবে চড়াও হয়েছে, কিন্তু সেই গল্পগুলির প্রায় সবকটিতেই আবার দেখা যায় আসল দোষটা কিন্তু ছিলো যন্ত্রের পিছনে লুকিয়ে থাকা কুচক্রী মানুষেরই।
আজকের এই পোস্টে থাকলো যন্ত্র ও মানুষের লড়াই নিয়ে রচিত বহুপঠিত একটি কমিকস, শক্তিময় বিশ্বাসের "হারানো গ্রহের যন্ত্রমানব"। একরঙা এই কমিকসটি বার বার করে পড়েও যেন পুরানো হয় না। আজকালকার মহাবলী "গ্রাফিক্ নভেল" রচয়িতারা এরকম সাধারন বিষয় নিয়ে দারুণ দু-একটা কমিকস লেখার দুঃসাহস দেখান না কেন ??
সায়েন্স ফিকশন কাহিনীর বিষয়বস্তুগুলির মধ্যে অন্যতম পপুলার হলো 'টাইম ট্রাভেল', তারপরেই খুব সম্ভবত আসবে মানুষ ও যন্ত্রের মধ্যে ক্ষমতা দখলের চিরন্তন লড়াই - দুটি বিষয়ই আমার খুব পছন্দের। ছোটোবেলায় 'জনি সোকো অ্যান্ড হিস ফ্লায়িং রোবট' টিভি সিরিয়ালটি দেখার জন্যে সারা সপ্তাহ জুড়ে, লিট্যারালি হাঁ-করে বসে থাকতাম। গ্রহান্তরের মানুষেরা সুদূর অতীত আমাদের এই পৃথিবীতে আদৌ এসেছিলেন কি না, তা রীতিমত গবেষণা-তর্ক সাপেক্ষ বিষয়। একালের সুইস প্রত্নবিদ ডঃ এরিখ ফন দানিকেন নানান রকমের বেয়াড়া প্রশ্ন তুলে একসময় বেশ শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন।
আমাদের দেশের অন্যতম জনপ্রিয় মহাকাব্য "রামায়ন"-এ কুম্ভকর্ণ ছিলেন একটি বিচিত্র চরিত্র। বাল্মীকি তাকে 'যন্ত্র' বলে অভিহিত করেছিলেন। অঙ্গদের জবানিতে বলেছিলেন 'এ রাক্ষসের যুদ্ধ করবার ক্ষমতা নেই, এ একটা ভীষণ বিভীষিকা মাত্র'। বিভীষণকে দিয়ে তিনি বলিয়েছিলেন 'যন্ত্রমেতৎ সুমুছ্রিতম' - কিন্তু কেন? কুম্ভকর্ণের ধরন-ধারণ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে রাক্ষসের থেকে বরং রোবটের সাথেই তার অনেক বেশী মিল। চার্জ দেওয়া ব্যাটারিকে একটানা চালালে তার যেমন একটা নির্দিষ্ট আয়ু থেকে থাকে, কুম্ভকর্ণও ঠিক তেমনি ভাবে জেগে থাকতেন হাতেগুনে ঠিক একটানা ছয় মাস, আবার ঘুমাতে (না কি চার্জে ?) চলে যেতেন পরের ছয়মাস।
'রোমাঞ্চকর চিত্রকাহিনী'তে প্রকাশিত কল্পবিজ্ঞান কাহিনী |
আজকের এই পোস্টে থাকলো যন্ত্র ও মানুষের লড়াই নিয়ে রচিত বহুপঠিত একটি কমিকস, শক্তিময় বিশ্বাসের "হারানো গ্রহের যন্ত্রমানব"। একরঙা এই কমিকসটি বার বার করে পড়েও যেন পুরানো হয় না। আজকালকার মহাবলী "গ্রাফিক্ নভেল" রচয়িতারা এরকম সাধারন বিষয় নিয়ে দারুণ দু-একটা কমিকস লেখার দুঃসাহস দেখান না কেন ??
No comments:
Post a Comment