কিশোর বয়সে যে কয়টি রহস্য কাহিনী মনে দাগ কেটে গিয়েছিলো সেই লিস্টের বেশ উপরের দিকেই থাকবে 'কবন্ধ বিগ্রহের কাহিনী' এবং 'ভয়ের মুখোশ'। দুটো কাহিনীরই লেখক ছিলেন শ্রদ্ধেয় হরিনারায়ণ চট্টোপাধ্যায়। টানটান অ্যাডভেঞ্চার আর ভৌতিক কাহিনী লেখার ব্যাপারে তিনি রীতিমত মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছিলেন। তখনকার দিনের (১৩৭৬ সাল) জনপ্রিয় মাসিক "শুকতারা" পত্রিকাতে ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হয়েছিলো "ভয়ের মুখোশ" উপন্যাসটি। কাহিনীর মূল চরিত্রে ছিলো দুই অদম্য সাহসী কিশোর, দীপক আর তপেন, ওরফে 'দিপু' আর 'তপু'। ক্লাস এইটে পড়া দুই দামাল কিশোরের অভিযান কাহিনীটি আমার জন্মের অনেক আগে প্রকাশিত হয়ে গিয়েছিলো। আমি অবশ্য এই কাহিনীটি অনেক পরে, লাইব্রেরি থেকে এনে প্রথম পড়েছিলাম। ।
শুকতারাতে প্রকাশিত হবার বছরেই অর্থাৎ 1970 সালেই 'আনন্দ পাবলিশার্স' থেকে বই হিসাবে প্রকাশিত হয়েছিলো এই অসাধারণ উপন্যাসটি। যদিও শুকতারাতে প্রকাশিত হবার সময়ে ছবিগুলি এঁকেছিলেন নারায়ণ দেবনাথ মহাশয়, কিন্তু আনন্দ পাবলিশার্স থেকে বই হিসাবে প্রকাশের সময় প্রচ্ছদ সহ ছবি আঁকার ভার পড়ে শ্রদ্ধেয় পূর্ণেন্দু পত্রী মহাশয়ের উপর।
বেশ কয়েকটি মজার ব্যাপার লুকিয়ে আছে এই কাহিনীটির পিছনে। প্রথমটি হলো শুকতারাতে প্রকাশিত হবার সময় কাহিনীটির নামের বানান ছিলো 'ভয়ের মুখোস' - অর্থাৎ দন্ত্য-'স' - কিন্তু বই হিসাবে যখন প্রকাশিত হয়েছিলো তখন সেই একই নামের বানান করা হয়েছিলো 'ভয়ের মুখোশ' - অর্থাৎ তালব্য-'শ' !! ব্যাপারটি ইচ্ছাকৃত, না কি প্রুফ রীডারের চোখ এড়িয়ে গেছে তা বলা শক্ত, তবে 'মুখোস'-এর থেকে 'মুখোশ' বানানটাই আমার মনে হয় ব্যাকরণের দিক থেকে সঠিক।
দ্বিতীয় মজার ব্যাপারটি হলো ১০৪ পাতার এই বড়ো কাহিনীটিতে কোনো পরিচ্ছেদ বা পর্বের উল্লেখ নেই - একদম সোজা, পাতার পর পাতা ধরে, ম্যারাথন দৌড়ের মতো ছুটে গিয়েছে কাহিনীর ধারা, যা খুব একটা চোখে পড়ে না। এটিও খুব সম্ভবত কোন এক অজানা কারণে লেখক এবং প্রুফ রীডারের চোখ এড়িয়ে গেছে।
মাত্র ১২ টাকা মূল্যের এই বইটিকে কিনতে আমাকে একসময় বেশ বেগ পেতে হয়েছিলো, যা আজকের দিনে পিছু ফিরে ভাবলে বেশ হাসিই লাগে।
বেশ কয়েকটি মজার ব্যাপার লুকিয়ে আছে এই কাহিনীটির পিছনে। প্রথমটি হলো শুকতারাতে প্রকাশিত হবার সময় কাহিনীটির নামের বানান ছিলো 'ভয়ের মুখোস' - অর্থাৎ দন্ত্য-'স' - কিন্তু বই হিসাবে যখন প্রকাশিত হয়েছিলো তখন সেই একই নামের বানান করা হয়েছিলো 'ভয়ের মুখোশ' - অর্থাৎ তালব্য-'শ' !! ব্যাপারটি ইচ্ছাকৃত, না কি প্রুফ রীডারের চোখ এড়িয়ে গেছে তা বলা শক্ত, তবে 'মুখোস'-এর থেকে 'মুখোশ' বানানটাই আমার মনে হয় ব্যাকরণের দিক থেকে সঠিক।
দ্বিতীয় মজার ব্যাপারটি হলো ১০৪ পাতার এই বড়ো কাহিনীটিতে কোনো পরিচ্ছেদ বা পর্বের উল্লেখ নেই - একদম সোজা, পাতার পর পাতা ধরে, ম্যারাথন দৌড়ের মতো ছুটে গিয়েছে কাহিনীর ধারা, যা খুব একটা চোখে পড়ে না। এটিও খুব সম্ভবত কোন এক অজানা কারণে লেখক এবং প্রুফ রীডারের চোখ এড়িয়ে গেছে।
মাত্র ১২ টাকা মূল্যের এই বইটিকে কিনতে আমাকে একসময় বেশ বেগ পেতে হয়েছিলো, যা আজকের দিনে পিছু ফিরে ভাবলে বেশ হাসিই লাগে।
ভয়ের মুখোশ (SIZE: 31.2 MB) |
ata boi hisabe prothom dekhlam.
ReplyDelete