বাংলা সাহিত্যের জগতে নারায়ণ সান্যালের সাথে আমার প্রথম পরিচয় ঘটে ব্যারিস্টার 'বাসু সাহেবের' হাত ধরে। মূলত: স্ট্যানলি গার্ডনার-সৃষ্ট "প্যেরী মেসন, বার-অ্যাট-ল"-এর আদলে গড়ে তোলা বাঙালি চরিত্র, ব্যারিস্টার বাসু সাহেবের সওয়াল-জবাবের মাধ্যমে, ওকালতি প্যাঁচে জটিল রহস্যগুলির বিশ্বাসযোগ্য সমাধান, বাঙালি পাঠকসমাজে এক সম্পূর্ণ অন্য জগতের স্বাদ এনে দেয়। সত্যজিৎ রায়ের ফেলুদার মতো না-হলেও নারায়ণ সান্যালের 'কাঁটা সিরিজ' বাংলা গোয়েন্দা গল্পের জগতে অচিরেই যথেষ্ঠ আলোড়ন তুলে ফেলে - যার ফলস্বরূপই ১৯৭৪ সালে 'যাত্রিক'-এর পরিচালনায় বাংলা ছায়াছবি, 'যদি জানতেম'-এর আবির্ভাব ঘটে। নারায়ণ সান্যালের বিখ্যাত উপন্যাস, 'নাগচম্পা' অবলম্বনে চিত্রায়িত এই রহস্যমূলক ছবিটির মুখ্য চরিত্রগুলিতে অভিনয় করেছিলেন মহানায়ক উত্তমকুমার ('বাসু সাহেব'), রুমা গুহঠাকুরতা ('রাণু দেবী'), সৌমিত্র চ্যাটার্জী ('কৌশিক মিত্র') ও সুপ্রিয়া চৌধুরী ('সুজাতা') এবং আরও অনেক বিশিষ্ঠ অভিনেতা। তবে শুধু রহস্য উপন্যাসই নয়, সাহিত্যের ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিকে লেখা নারায়ণ সান্যালের বইগুলি পড়লে মনের মধ্যে প্রশ্ন জাগতে বাধ্য যে একই লেখক কি রকম ভাবে, কি অসীম দক্ষতায় সেই বইগুলির সৃষ্টি করেছিলেন। এত ভার্সাটাইল লেখক বাংলা সাহিত্যের জগতে খুব একটা বেশী দেখা যায় নি।
নারায়ণ সান্যালের লেখা বইগুলি মূলত: 'মিত্র ঘোষ', 'দেজ পাবলিশার্স' ও 'দেব সাহিত্য কুটির' থেকে বার হতো। এখনও পর্যন্ত সেগুলো যথেষ্ঠ সুলভ মূল্যেই সর্বত্র পাওয়া যাচ্ছে - তাই সেগুলি নিয়ে নতুন করে কোন ব্লগ বা পোস্ট লেখার তেমন কোন মানে হয় না। কিশোর গোয়েন্দা হিসাবে নারায়ণ সান্যাল ষাটের দশকের শেষ দিকে সৃষ্টি করেছিলেন 'শার্লক হেবো' বলে আরেকটি মজার চরিত্র, যেটি সেই সময়ে অতোটা পপুলার হয়ে ওঠেনি - অন্তত: কাঁটা সিরিজের গল্পগুলির মতো নয়। এই পোস্টে আমি সেই স্বল্পখ্যাত 'শার্লক হেবো'-র কয়েকটি রহস্যকাহিনী একসাথে তুলে ধরলাম। এই গল্পগুলি অন্যান্য কয়েকটি বাংলা (বাংলাদেশী) ব্লগেও ফ্রী-তেই পাওয়া যাচ্ছে - কিন্তু সেগুলোর স্ক্যান কোয়ালিটি তেমন ভালো নয় - একই scanned copy নানান ব্লগারদের ব্লগে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে !! অগত্যা আমার নতুন এই বিড়ম্বনা।
'শার্লক হেবো'-কে নিয়ে নারায়ণ সান্যাল সর্বসমেত চারটি গল্প লিখেছিলেন: 'গুরুবিদায় পর্ব', 'আদি পর্ব', 'পলাশপুর পর্ব', এবং সব শেষে 'শার্লক হেবো ফিরে এলেন', যেটি ১৩৮১ সালে দেব সাহিত্য কুটিরের 'মণিদীপা' পূজাবার্ষিকীতে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিলো। 'হেবোর' চরিত্রের মধ্যে 'হোমসের' ক্ষুরধার বুদ্ধির সাথে সাথে 'পাগলা দাশুর' অস্তিত্বও কিছুটা লক্ষ্য করা যায়, যেটা আমার মনে হয় এই সিরিজের এক উপরি পাওনা !!
১৯৯২-র কলকাতা বইমেলায় শার্লক হেবোর এই চারটি গল্প একত্রে করে 'উজ্জ্বল সাহিত্য মন্দির' থেকে 'শার্লক হেবো' নাম একটি বই বার হয়েছিলো - যেটিতে প্রখ্যাত কার্টুনিস্ট চন্ডি লাহিড়ীর সাথে সাথে, স্বয়ং নারায়ণ সান্যাল নিজেও কয়েকটি ছবি এঁকেছিলেন। এই পোস্টে সেই বই থেকে ছবিগুলি একসাথে করে দেওয়া হলো।
১৩৬৫ সালের কার্তিক মাসের শুকতারা সংখ্যায় 'হেবোর' সর্ব প্রথম কাহিনীটি প্রকাশিত হয়। সেই কাহিনিটিতে লেখক 'শার্লক' না-বলে 'সার্লক' লিখেছিলেন। সেই গল্পটি আকারে ছিলো অনেক ছোট এবং পরবর্তীকালে সেটাই লেখক 'আদি পর্ব' হিসাবে আরও বড়ো করে প্রকাশ করেন। কেন যে ঠিক তা করেছিলেন, সেটা এখন কেবলই অনুমান নির্ভর। শার্লক, থুড়ি সার্লকের সেই সর্ব প্রথম কাহিনীটিও এখানে আলাদা ভাবে দেওয়া হলো। আমার বিশ্বাস খুব কম পাঠকই এই কাহিনীটি আগে কখনো পড়েছেন।
তাহলে, আর দেরী কেন? শার্লক হেবোর হাত ধরে চলুন ঘুরে আসা যাক সত্তর দশকের সেই সোনার দিনগুলোতে...
নারায়ণ সান্যালের লেখা বইগুলি মূলত: 'মিত্র ঘোষ', 'দেজ পাবলিশার্স' ও 'দেব সাহিত্য কুটির' থেকে বার হতো। এখনও পর্যন্ত সেগুলো যথেষ্ঠ সুলভ মূল্যেই সর্বত্র পাওয়া যাচ্ছে - তাই সেগুলি নিয়ে নতুন করে কোন ব্লগ বা পোস্ট লেখার তেমন কোন মানে হয় না। কিশোর গোয়েন্দা হিসাবে নারায়ণ সান্যাল ষাটের দশকের শেষ দিকে সৃষ্টি করেছিলেন 'শার্লক হেবো' বলে আরেকটি মজার চরিত্র, যেটি সেই সময়ে অতোটা পপুলার হয়ে ওঠেনি - অন্তত: কাঁটা সিরিজের গল্পগুলির মতো নয়। এই পোস্টে আমি সেই স্বল্পখ্যাত 'শার্লক হেবো'-র কয়েকটি রহস্যকাহিনী একসাথে তুলে ধরলাম। এই গল্পগুলি অন্যান্য কয়েকটি বাংলা (বাংলাদেশী) ব্লগেও ফ্রী-তেই পাওয়া যাচ্ছে - কিন্তু সেগুলোর স্ক্যান কোয়ালিটি তেমন ভালো নয় - একই scanned copy নানান ব্লগারদের ব্লগে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে !! অগত্যা আমার নতুন এই বিড়ম্বনা।
'শার্লক হেবো'-কে নিয়ে নারায়ণ সান্যাল সর্বসমেত চারটি গল্প লিখেছিলেন: 'গুরুবিদায় পর্ব', 'আদি পর্ব', 'পলাশপুর পর্ব', এবং সব শেষে 'শার্লক হেবো ফিরে এলেন', যেটি ১৩৮১ সালে দেব সাহিত্য কুটিরের 'মণিদীপা' পূজাবার্ষিকীতে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিলো। 'হেবোর' চরিত্রের মধ্যে 'হোমসের' ক্ষুরধার বুদ্ধির সাথে সাথে 'পাগলা দাশুর' অস্তিত্বও কিছুটা লক্ষ্য করা যায়, যেটা আমার মনে হয় এই সিরিজের এক উপরি পাওনা !!
পাবলিশার্স: উজ্জ্বল সাহিত্য মন্দির |
গুরুবিদায় পর্ব |
আদি পর্ব |
পলাশপুর পর্ব |
তাহলে, আর দেরী কেন? শার্লক হেবোর হাত ধরে চলুন ঘুরে আসা যাক সত্তর দশকের সেই সোনার দিনগুলোতে...
১) শার্লক হেবোর তিন কাহিনী
২) সার্লক হেবোর সর্বপ্রথম কাহিনী (শুকতারা - কার্তিক, ১৩৬৫) ***
narayan sanyal amar onyotomo prio lekhok ........ bises kore kantai-kantai series to darun valo lage ..........
ReplyDeletesharlok hebo debar jonyo dhanyobad ..........
amar akta kotha mone hoi NARAYAN SANYALer boi ABP theke prokashito hoi ni bole k onar prochar kom ..........
১৩৬৫ সালের কার্তিক মাসের শুকতারা সংখ্যায় 'হেবোর' সর্ব প্রথম কাহিনীটি প্রকাশিত হয়। সেই কাহিনিটিতে লেখক 'শার্লক' না-বলে 'সার্লক' লিখেছিলেন। সেই গল্পটি আকারে ছিলো অনেক ছোট এবং পরবর্তীকালে সেটাই লেখক 'গুরুবিদায় পর্ব' হিসাবে আরও বড়ো করে প্রকাশ করেন। কেন যে ঠিক তা করেছিলেন, সেটা এখন কেবলই অনুমান নির্ভর। সার্লকের সেই সর্ব প্রথম কাহিনীটিও এখানে আলাদা ভাবে দেওয়া হলো। আমার বিশ্বাস খুব কম পাঠকই এই কাহিনীটি আগে কখন পড়েছেন।
Deletedada aami NS er blind fan........hate gona 2-3 te boi chhara onar sab lekhai molat theke molat porechhi........eto research kore eto rokom topic e r keu likhechhen kina amar jana nei........Sharlok Hebor 2-3 te golpo porechhi......sab gulo mone hoi pora noi! khub khub valo lagchhe egulo pea.onek dhonyobad.......by d way, apnar collection e NS er 'Muskil Asan' boi ta ki achhe?ota National Library chhara kothao nei.....(amar jnanoto).........boi ta out of print o.........
ReplyDeleteSom0303 - 'Muskil Asan' was a drama and His very first book, published in long long time ago (1954) - unfortunately I have never read it too !!
Deletejani dada...........NS er fan bole onek chestha choritro kore onar besh kichhu kom procholito boi pore felechhi....kintu 'Muskil Asan' er ekhono hadis korte parchhi na....National library, kolkata te 1ta copy achhe bole oder catalouge dekhachchhe! chesthai achhi jodi pora jai!
DeleteNS amar bhoyonkor rokom priyo.........Debdashi, udbastu samosya theke oitihashik, stapotyo theke rahosyo...sahityer bivinno dike eto valo research kora lekhok ami antoto dekhi ni......ami onar boi pele sab chhere aage pore feli!
Sherlok Hebo kokhono porini/sunini age,tai thanks! By da way,tomar scan dekhchi '10 ti upponaya' theke neowa,tahole Ujjal-er boitar molat dekha jabe?? jodi out-of-print na hoy,kinbo...
ReplyDeleteHojO - Ujjal-er boitar cover ekhane dilam - mone hoy ota ekhono paoa jachche - tobe khub swostay boita ora bajare cherechhilen.
Deletethanks for the update...will look for this!!
ReplyDeleteOnek dhonnobad janai apnake 'Sherlock/Sherlok' Hebo boi ti r eto bhalo print ebhave deoar jonno .
ReplyDeleteInternet e baki jegulo paoa jai , segulor sotti e khub baje obostha ....
Bangla Sahitya -r SwarnaJug r phirbe kina jani na , tobe apnader antorik sahajye je kichuta holeo sei sob boi porar sujog abar paoa jachhe , etai onek.... :)
Ekta choto onurodh chilo....
Jodi sombhov hoi / paoa jai - ei 2 to boi ektu blog e dite parben ki ..
'Nakshatra Lok -er Debatama'
'Aji Hote ShotoBorsho Pore'....
2 toi science fiction ebong besh bhalo boi...
ebook hisebe pele khub i bhalo hoi....
Apni o apnar blog dirghojibi hok....
Bhalo thakben
Sherlock Hebo amader sobar priyo..jara chotobelay boi porte bhalo bastam, tader protyker bhetorei akjon kore Sherlock Hebo lukiye chilo, tai na? mon kharap lage ei bhebe je Narayan Sanyal Mohashay kano je ei kota matro lekha likhlen Heboke nye..
ReplyDeletebangla sahitye Knata series amar mone hoy Byomkesh-er goenda golper porei ase..aksamay jonopriyotao chilo prochur..kintu akhon Basu saheb bangalider kache ar tamon porichito nam non..asole onar hoye dhak petanor keu nei to!!